1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইনফ্লুয়েন্সাররাই আসলে ফ্যাশন জগতের তারকা 

৪ জানুয়ারি ২০২২

ইনফ্লুয়েন্সাররাই আজকের যুগের তারকা হয়ে উঠছে৷ লাখ লাখ ফলোয়ার থাকলে বিশাল বাণিজ্যিক সুযোগ খুলে যাচ্ছে৷ জার্মানির এক নারী মডেল ও ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলির সহযোগী হয়ে উঠেছেন৷

DW Euromaxx | Leonie Hanne
ছবি: DW

৩৩ বছর বয়সি জার্মান ইনফ্লুয়েন্সার লেওনি হানে প্যারিসে ডিয়র ব্র্যান্ডের ফ্যাশন শোয় কাজ করছেন৷

নামী ব্র্যান্ডের হাল ফ্যাশনের পোশাক পরে তিনি একেবারে প্রথম সারিতে বসেন৷ কয়েক বছর ধরে তিনি এই ফরাসি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করছেন৷ লেওনি বলেন, ‘‘আমি আসলে রূপালি সাজ চেয়েছিলাম৷ কিন্তু দেখা গেল, অন্যতম সেরা এক ভিআইপিও একই সাজে সেজেছেন৷ তাই ডিয়র থেকে আজ সকালে ফোন করে আমাকে সাজ বদলানোর অনুরোধ করা হলো৷ ভাগ্য ভালো, আমার কাছে বিকল্প পোশাক ছিল৷ তাই রঙিন সাজ দিয়েই এ যাত্রা কাজ চালাতে হচ্ছে৷''

প্যারিস ফ্যাশন উইকের মতো ব্যস্ত সময়ে একের পর এক অ্যাপয়েন্টমেন্টের চাপ থাকে৷ সেই অভিজ্ঞতার কিছু ঝলক তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেখা যায়৷ প্রায় ৪০ লাখ ফলোয়ারের কারণে লেওনি ইউরোপের অন্যতম সেরা ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন৷ লেওনি হানে মনে করেন, ‘‘ভাগ্যক্রমে আমার ফলোয়াররা সত্যি আমার কাজের প্রতি আগ্রহ রাখেন৷ যেমন আমি গত বছরের তুলনায় প্যারিসে এসে এত পোস্ট করেও নিজের আরও উন্নতি করেছি৷ মনে হতে পারে, মানুষের জন্য এত কিছু সত্যি বড্ড বাড়াবাড়ি৷ কিন্তু কমিউনিটির প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝতে পারছি, তাদের কত আনন্দ হচ্ছে৷ তখন কঠিন পরিশ্রম সত্ত্বেও অনেক প্রেরণা পাই৷ জানি, অনেক মানুষ আমার ছবি দেখে পরের পোশাক, পরের সাজ দেখতে চান৷ তখন সত্যি খুব আনন্দ হয়৷''

এ যুগে যারা ফ্যাশন জগতের ‘আসল’ তারকা

04:30

This browser does not support the video element.

তাঁর মতো ইনফ্লুয়েন্সারই আজদের যুগের তারকা৷ লেওনি হানের নিজস্ব ড্রাইভার রয়েছে৷ কোথাও গেলে ফাইভ স্টার হোটেলে থাকেন৷ বড় বড় ব্র্যান্ড তাঁকে খুব খাতির করে৷ কিন্তু এমন জীবনযাত্রা বিলাসবহুল মনে হলেও এর পেছনে পরিশ্রম কম নয়৷ লেওনি বলেন, ‘‘গ্ল্যামারের ঠিক বিপরীতই প্রকৃত বাস্তব৷ অর্থাৎ দেখলে চটকদার মনে হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাস্তবে মোটেই তা ছিল না৷ আমরা ভেনিসে ছিলাম, কান চলচ্চিত্র উৎসবে গেলাম৷ দেখে মানুষ ভাবলো, এটাই তো সেরা জীবনযাত্রা৷ কিন্তু আসলে পাঁচ ঘণ্টার পরিশ্রম, তারপর লাল গালিচার উপর তিন মিনিট, অনেক দৌড়ঝাঁপ৷ মানুষ ভাবতে পারে, সারা দিন এমন সুন্দর পোশাক পরার সুযোগ হয়৷ কিন্তু বাস্তবে সেই অভিজ্ঞতা একেবারে আলাদা৷ কিন্তু বাইরে গ্ল্যামারের এই খোলস দেখানোও কাজের মধ্যে পড়ে৷''

লেওনি হানে একের পর এক ফ্যাশন শোয়ে ঢুঁ মারার সময় গাড়িতেই পোশাক বদলাতে বাধ্য হন৷ দিনে বেশ কয়েকবার তাঁকে নতুন আউটফিট পরতে হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘ড্রাইভারকে বাইরে যেতে বলতে হয়৷ তখন শুধু আমার বয়ফ্রেন্ডই সঙ্গে থাকে৷ আমি পোশাক বদলাই৷ গাড়ি থেকে নামার আগে সে দেখে বলে সব ঠিক আছে না৷ ভুলত্রুটি হলে সব দোষ তারই৷ ড্রাইভার ছাড়া পর পর কয়েকটি শো করা সম্ভবই নয়৷ কারণ পোশাক বদলানো সম্ভবই হতো না৷ শো থেকে হোটেল, হোটেল থেকে আবার শোয়ে যাওয়াই যেতো না৷ শোয়ে নজর কাড়তে হলে গাড়ির ক্যারিয়ারে সাজসজ্জা প্রস্তুত রাখতে হয়৷''

জীবনসঙ্গী ও ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে আলেক্সান্ডার গালিয়েভস্কি সব সময়ে লেওনির পাশেই থাকেন৷ হামবুর্গে উচ্চশিক্ষার সময়ে দু'জনের আলাপ হয়েছিল৷ গত ছয় বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করছেন৷ লেওনি হানে মনে করেন, ‘‘অনেকেই ব্লগিং বিষয়টি খাটো করে দেখেন৷ এর পেছনে ব্যবসার সম্ভাবনা তারা দেখতেই পান না৷ আমরা তো নিজেরাই ইচ্ছামতো আমাদের কর্মসূচি পরিকল্পনা করি, প্রকল্পের পরিকল্পনা করি৷ কীভাবে ইমেজ পেশ করবো তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করি৷ সেই প্রক্রিয়ায় অনেক ব্যবসায়িক বুদ্ধি লাগে৷''

লেওনি চিরকাল ফ্যাশনের বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন৷ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এখানে প্রথম বুটিক খোলার পর আমি সেখানে কাজ করেছিলাম৷ আমি মডেল এজেন্সিতেও কাজ করেছি৷ কিন্তু আমি আসলে অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী৷ মাথা ঠাণ্ডা করে সবকিছু বিশ্লেষণ করি৷ সে সময়ে আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার মতামতের তেমন কোনো গুরুত্ব নেই৷ মুখ বন্ধ করে নির্দেশ অনুযায়ী শুধু কাজ করে যেতে হবে৷''

আজ পরিস্থিতি বদলে গেছে৷ লিওনি হানে একাধারে মডেল ও ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন৷ কাজ, আনন্দ ও ব্যক্তিগত জীবন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে৷ তবে ফলোয়াররা সব সময়ে তাঁর পাশেই আছেন৷

কাটিয়া লিয়র্শ/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ