1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলেছে সাইবার যুদ্ধ

ভোল্পগাং ডিক / এসি১৮ নভেম্বর ২০১৩

এডোয়ার্ড স্নোডেন হাটে হাঁড়ি ভাঙার পর দুনিয়া চমকে উঠেছিল৷ কিন্তু জার্মান ফেডারাল অপরাধ দপ্তর তাদের হৈমন্তী সম্মেলনে সাইবার যুদ্ধের অনেক বড় বিপদ সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছে৷

ILLUSTRATION - Ein Mann sitzt am 25.04.2013 in Köln (Nordrhein-Westfalen) vor einem Rechner mit Computer Quellcode auf dem Bildschirm. Weltweit haben Angriffe von Computer Hackern und die Cyber Kriminalität insgesamt zugenommen. Foto: Oliver Berg/dpa
ছবি: picture-alliance/dpa

বাহন হলো ইন্টারনেট৷ সেই বাহনে চড়ে আসতে পারে সন্ত্রাস আর অন্তর্ঘাত: বিমান ভেঙে পড়তে পারে; বিপজ্জনক রাসায়নিক তৈরির কারখানায় কম্পিউটার-চালিত প্রক্রিয়া বদলে দেওয়া যেতে পারে; আণবিক চুল্লিতেও কম্পিউটার প্রোগ্রামের রদবদল করা যেতে পারে৷ স্পর্শকাতর এবং ক্ষেত্রবিশেষে গোপনীয় সব কম্পিউটার প্রক্রিয়া হ্যাক করার প্রচেষ্টা সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে৷

বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সান্ড্রো গাইকেনছবি: picture-alliance/dpa

ভিসবাডেনের সম্মেলনে পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বিভাগের প্রায় ৫০০ জন বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ তাঁরা শুনছিলেন সাইবার যুদ্ধের সর্বাধুনিক কায়দাকানুনের কথা৷ মধ্যপ্রাচ্যে কয়েকটি গোষ্ঠী নাকি তথাকথিত ‘ভুয়ো পতাকা অভিযানের' মাধ্যমে অপরাপর দেশকেও সংঘাতের মধ্যে টেনে আনার চেষ্টা করছে৷ পদ্ধতিটি হলো, ইন্টারনেটে অপর একটি দেশের ডিজিটাল কাঠামোর নকল করে ভুয়ো তথ্য পেশ করা৷ পরিসংখ্যান বলে, ২০১১ সালে নাকি ২৩১টি এই ধরনের ‘ভুয়ো পতাকা অভিযান' চালানো হয়েছিল৷

ভিসবাডেনের সম্মেলনে আগত পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সম্ভবত ইন্টারনেটে কিভাবে অপরাধীদের পিছনে ধাওয়া করা যায়, সে সম্পর্কে কিছু জানবার-শোনবার আশা করছিলেন৷ কিন্তু বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সান্ড্রো গাইকেন'এর মতো মানুষ, যিনি বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটির গণিত ও আইটি বিভাগে কম্পিউটার নিরাপত্তার বিষয়টি পড়িয়ে থাকেন৷ আইকেন স্পষ্ট বললেন: ‘‘আমাদের (অর্থাৎ জার্মানিতে) আইটি-নিরাপত্তা অতি খারাপ, অংশত শিশুসুলভ অপরিপক্ক পর্যায়ের৷''

ভিসবাডেনের সম্মেলনে পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বিভাগের প্রায় ৫০০ জন বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলছবি: DW/W.Dick

গাইকেন স্বীকার করেন যে, সাইবার যুদ্ধে আক্রমণের লক্ষ্য প্রধানত বিভিন্ন রাষ্ট্র ও গুপ্তচর বিভাগ হলেও, তাঁর চিন্তা একদল হ্যাকারকে নিয়ে, যারা সরকারিভাবে কম্পিউটার নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত কিন্তু টাকা পেলে অন্য অনেক কিছু করতে রাজি৷ ফাইন্যান্স সেক্টর এখন এই হ্যাকারদের প্রিয় লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কম্পিউটার নিরাপত্তা কোম্পানিগুলির কম্পিউটারে ঢুকে তাদের ‘‘সোর্স কোড'' চুরি করা; কিংবা হাই ফ্রিকোয়েন্সি ট্রেডিং'এর প্রোগ্রাম কোড চুরি করতে পারলে তো কথাই নেই৷ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলি আবার সাধারণত এ'ধরনের খবরসবর চেপেই রাখে, জামানতকারীরা যা'তে আতঙ্কিত না হয়ে ওঠেন৷

এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কি করা যায়, পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের এই স্বাভাবিক প্রশ্নের উত্তরে গাইকেন বললেন: অপরাধীদের ধরার জন্য প্রযুক্তি আছে ঠিকই, কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ নেই৷ ফেডারাল অপরাধ দপ্তরের প্রধান ইয়র্গ সিয়ের্কে মনে করেন, তদন্তকারী পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন - বিশেষ করে অপরাধীদের সংক্রান্ত তথ্য জমিয়ে রাখার ব্যাপারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ