1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তথ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবার উপায়

২৭ জুন ২০১৮

গুগল, ফেসবুকের যুগে নিজেদের তথ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ কার্যত লোপ পেয়েছে৷ ইন্টারনেটে আমাদের চিহ্ন সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে অন্যরা উপার্জন করছে৷ তবে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে কিছু উপায় রয়েছে৷

Datenschutz
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul

ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার উপায়

04:18

This browser does not support the video element.

ইন্টারনেটে প্রতিটি পদক্ষেপের ছাপ থেকে যায়৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অ্যাপ ও তথ্যের দালালরা সেই তথ্য সংগ্রহ করে তা কাজে লাগায়৷ প্রতি বছর এই ক্ষেত্রে আনুমানিক প্রায় ১২ হাজার কোটি ইউরো মূল্যের আর্থিক আদানপ্রদান ঘটে এবং সেই অঙ্ক বেড়েই চলেছে৷ ব্যবহারকারীদের না জানিয়েই তাদের আচরণ স্বচ্ছ করে তোলাই এই ব্যবসার মূলমন্ত্র৷

আইটি অধিকার বিশেষজ্ঞ পল বার্নাল বলেন, ‘‘ইন্টারনেটে প্রাইভেসির অভাব অন্যতম বড় ঝুঁকি৷ অর্থাৎ আমাদের না জানিয়ে অনেক কিছু ঘটে৷ ঋণের আবেদন নামঞ্জুর বা চাকরি পাবার পথে চূড়ান্ত তালিকায় স্থান না পাওয়ার মতো ঘটনা আমাদের অজান্তেই ঘটছে৷ কারণ আমাদের সম্পর্কে তথ্যের নাগাল পেয়ে বিচ্ছিন্নভাবে তা ব্যবহার করা হচ্ছে৷''

কিন্তু ফেসবুক ও গুগল ঠিক কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে? ব্যক্তিগত তথ্য যে কেউ নিজেই ডাউনলোড করতে পারে৷ গুগল থেকে নিজের সম্পর্কে বেশ কয়েক গিগাবাইট তথ্য পাওয়া যেতে পারে৷ গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আমাদের খোঁজের ইতিহাস জমা থাকে৷ মোবাইল ফোন মেরামতির প্রয়োজন পড়লে গুগল সে খবরও জানতে পারে৷

আমরা যে সব জায়গায় গেছি, সেই তথ্যও জমা রাখে গুগল৷ শহরের মধ্যে আমাদের গতিবিধির উপরেও  নজর রাখা হয়৷ ফেসবুকের কাছে আমাদের ব্যক্তিগত বার্তাওজমা থাকে৷ এমনকি ইমোজিও বাদ পড়ে না৷

গুগল ও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য অন্যদের হাতেও তুলে দিতে পারে৷ সেই তথ্য কীভাবে কাজে লাগানো হবে, ব্যবহারকারী তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না৷ পল বার্নাল বলেন, ‘‘আরও ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো, কীভাবে সেই তথ্য ব্যবহার করা হয়৷ তাছাড়া সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে শুধু ব্যবহারকারী নয়, প্রায় সবার উপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা হয়৷ তারা এতটাই নিয়ন্ত্রণ করে, যে এটা অনেকটা লুকানো স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মতো৷ হুমকি ও বাধ্য করার বদলে প্রভাব বিস্তার ও খোঁচা মেরে সেই কাজ করা হয়৷''

তবে এমন মাত্রার প্রভাব থেকে অন্তত কিছুটা রেহাই পাবার উপায় রয়েছে৷ কর্মী লেইল জাহারা নিয়মিত প্রাইভাসি সেটিং পরীক্ষার পরামর্শ দেন৷ ফেসবুক যে সব অ্যাপকে তথ্য দেয়, সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন৷

যারা আরও এক ধাপ এগোতে চান, তাঁদের জন্য অন্য একটি পদ্ধতির পরামর্শ দেন তিনি৷ লেইল মনে করেন, ‘‘আমার সম্পর্কে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, তা নিয়ে খেলতে আমি ভালোবাসি৷ কারণ মনে রাখতে হবে, যে এই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যববার করলে তথ্য সৃষ্টি হয়৷ কিছু প্লাগইন ও অন্যান্য উপায়ে সংগৃহিত তথ্য এলোমেলো করে দেওয়া যায়৷''

তথাকথিত ‘ডেটা নয়েস'ইন্টারনেটে ব্যবহারকারীর গতিবিধি আড়াল করে৷ফলে আপনার প্রোফাইল সৃষ্টি করা কঠিন হয়ে পড়ে৷

ডেটাওয়ালেট নামের অ্যাপ অন্য একটি পথ বাতলে দেয়৷ ব্যবহারকারীরা তার মাধ্যমে ফেসবুকের মতো ইন্টারনেট অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারেন৷ সেই অ্যাপ তখন সেই প্ল্যাটফর্ম থেকে তথ্য শুষে নেয়৷ ব্যবহারকারী নিজেই পরিচয় গোপন করে সেই তথ্য বিক্রি করতে পারেন৷ ডেটাওয়ালেট কোম্পানির মুখপাত্র ইয়ানিক সোকোলভ বলেন, ‘‘আমার মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শুধু কোম্পানিগুলিকে আমাদের তথ্য না দিয়ে তার উপর নিয়ন্ত্রণ, তার মালিকানা নিজের হাতে নিয়ে গোটা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটছে৷ অবশ্যই অন্য প্ল্যাটফর্মের কাছেও সেই তথ্য থেকে যাচ্ছে৷ কারণ যতদিন আপনি ফেসবুকে থাকবেন, ততদিন আপনি আপনার তথ্য তাদের ব্যবহার করতে দিচ্ছেন৷ অ্যাপের মধ্যে সেই তথ্য থাকলে আপনি নিজে তার ব্যবহার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷ সেই তথ্য থেকে আপনি কিছু উপার্জনও করতে পারেন৷''

এভাবে খুব বেশি অর্থ উপার্জন সম্ভব কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়৷ তবে নিয়ন্ত্রণের পথে এটা অবশ্যই একটি পদক্ষেপ৷ ‘তথ্যের স্বায়ত্তশাসন' নিশ্চিত করতে অবশ্য অ্যালগোরিদমের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার প্রয়োজন৷ পল বার্নাল বলেন, ‘‘গুগলের সার্চ অ্যালগোরিদম বা ফেসবুকের নিউজ কিউরেশন অ্যালগোরিদম যেভাবে কাজ করে, সেগুলিকে তারা গোপন বাণিজ্যিক তথ্য হিসেবে গণ্য করে৷ তাই কেউ তাতে উঁকি মারার অধিকার পায় না৷ অর্থাৎ এক্ষেত্রে আমাদের কার্যত কোনো স্বনিয়ন্ত্রণ নেই৷''

তথ্যের চিহ্ন এড়িয়ে চলা অসম্ভব৷ তবে সেই তথ্যের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি৷

আলিস কোন/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ