গুগল, ফেসবুকের যুগে নিজেদের তথ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ কার্যত লোপ পেয়েছে৷ ইন্টারনেটে আমাদের চিহ্ন সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে অন্যরা উপার্জন করছে৷ তবে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে কিছু উপায় রয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার উপায়
04:18
ইন্টারনেটে প্রতিটি পদক্ষেপের ছাপ থেকে যায়৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অ্যাপ ও তথ্যের দালালরা সেই তথ্য সংগ্রহ করে তা কাজে লাগায়৷ প্রতি বছর এই ক্ষেত্রে আনুমানিক প্রায় ১২ হাজার কোটি ইউরো মূল্যের আর্থিক আদানপ্রদান ঘটে এবং সেই অঙ্ক বেড়েই চলেছে৷ ব্যবহারকারীদের না জানিয়েই তাদের আচরণ স্বচ্ছ করে তোলাই এই ব্যবসার মূলমন্ত্র৷
আইটি অধিকার বিশেষজ্ঞ পল বার্নাল বলেন, ‘‘ইন্টারনেটে প্রাইভেসির অভাব অন্যতম বড় ঝুঁকি৷ অর্থাৎ আমাদের না জানিয়ে অনেক কিছু ঘটে৷ ঋণের আবেদন নামঞ্জুর বা চাকরি পাবার পথে চূড়ান্ত তালিকায় স্থান না পাওয়ার মতো ঘটনা আমাদের অজান্তেই ঘটছে৷ কারণ আমাদের সম্পর্কে তথ্যের নাগাল পেয়ে বিচ্ছিন্নভাবে তা ব্যবহার করা হচ্ছে৷''
কিন্তু ফেসবুক ও গুগল ঠিক কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে? ব্যক্তিগত তথ্য যে কেউ নিজেই ডাউনলোড করতে পারে৷ গুগল থেকে নিজের সম্পর্কে বেশ কয়েক গিগাবাইট তথ্য পাওয়া যেতে পারে৷ গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আমাদের খোঁজের ইতিহাস জমা থাকে৷ মোবাইল ফোন মেরামতির প্রয়োজন পড়লে গুগল সে খবরও জানতে পারে৷
দেশে দেশে ইন্টারনেটে নিয়ন্ত্রণ-লড়াই
অনলাইনে ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করতে জার্মানি একটি ‘সামাজিক মাধ্যম আইন’ করতে চায়৷ জার্মান সংসদে এ নিয়ে আলোচনা চলছে৷ এরই মধ্যে এর সমালোচনাও শুরু হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Kastl
মুক্তমত, নাকি অবৈধ বিষয়বস্তু?
ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য, প্রপাগান্ডা, অ্যাক্টিভিজম ইত্যাদি অনলাইনে হরহামেশাই চলে৷ এগুলো নিয়ে দেশে দেশে বিতর্ক কম হয়নি৷ নানা দেশে তাই সামাজিক মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপও এসেছে৷ অনেকে এটাকে মুক্ত মতের উপর হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Kastl
সামাজিক মাধ্যম আইন
জার্মানির আইনমন্ত্রী হাইকো মাস সামাজিক মাধ্যমের জন্য একটি আইনের প্রস্তাবনা তৈরি করেছেন৷ সে আইনে বিদ্বেষমূলক পোস্ট অপসারণ না করলে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানির বিপুল জরিমানার কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু এতে বিগড়ে বসেছে ফেইসবুক৷ তারা বলছে, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং ভুয়া খবর ঠেকানোর দায় তাদের একার নয়৷ সরকারকেও এই দায়িত্ব নিতে হবে৷ আইনটি এখন পর্যালোচনার জন্য জার্মান সংসদীয় কমিটিতে রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Hase
ভুলে যাওয়ার অধিকার
২০১৪ সালে ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিসের জারি করা এক আদেশে বলা হয়, গুগল, বিং-এর মতো সার্চ ইঞ্জিনকে তাদের অনুসন্ধানের ফলাফলে কোনো বিশেষ কিছু বাদ দিতে ইউরোপীয় নাগরিকরা অনুরোধ জানাতে পারবেন৷ গুগল সেই আদেশ বাস্তবায়ন করলেও আগে এ বিষয়ে বেশ অনাগ্রহ দেখিয়েছে৷ তখন তারা বলেছে, এটা ইন্টারনেটকে মুক্ত বিশ্বের আবদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে ফেলবে৷
ছবি: picture-alliance/ROPI/Eidon/Scavuzzo
ইউক্রেনের নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেন গত মে মাসে রাশিয়ার সামাজিক মাধ্যম ও ওয়েবসাইটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ বিষয়টি দেশটির লাখ লাখ মানুষের উপর প্রভাব ফেলে৷ অনেকেই তাদের ডাটা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ এর প্রতিবাদে তরুণরা রাস্তায় নেমে আসে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/Str
প্রসঙ্গ: সেফ হারবার
২০১৫ সালে ইউরোপীয় কোর্ট অব জাস্টিস এক রায়ে ইউএস এবং ইইউ’র মধ্যকার চুক্তি ‘সেফ হারবার’কে অকার্যকর ঘোষণা করে৷ যে চুক্তি বলে কারো ব্যক্তিগত তথ্য পূর্বানুমতি ছাড়াই হস্তান্তর করা যায়৷ অস্ট্রেলীয় আইনের ছাত্র ম্যাক্স স্ক্রিম ফেইসবুকের বিরুদ্ধে একটি মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন৷ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) সাবেক ঠিকাদার অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেন তথ্য ফাঁস করায় তিনি এই ব্যবস্থা নিচ্ছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Warnand
কঠোর চীন
চীনে সরকার কঠোরভাবে সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে৷ ফেসবুক, টুইটার, ইনসটাগ্রামের মতো হাজার হাজার ওয়েবসাইট দেশটির সরকার নিষিদ্ধ করে রেখেছে৷ সেখানকার সরকার নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করেছে৷ যেমন, ইউবো, উইচ্যাট৷ জনবহুল এই দেশটিতে এখন এগুলোরও কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Imaginechina/Da Qing
6 ছবি1 | 6
আমরা যে সব জায়গায় গেছি, সেই তথ্যও জমা রাখে গুগল৷ শহরের মধ্যে আমাদের গতিবিধির উপরেও নজর রাখা হয়৷ ফেসবুকের কাছে আমাদের ব্যক্তিগত বার্তাওজমা থাকে৷ এমনকি ইমোজিও বাদ পড়ে না৷
গুগল ও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য অন্যদের হাতেও তুলে দিতে পারে৷ সেই তথ্য কীভাবে কাজে লাগানো হবে, ব্যবহারকারী তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না৷ পল বার্নাল বলেন, ‘‘আরও ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো, কীভাবে সেই তথ্য ব্যবহার করা হয়৷ তাছাড়া সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে শুধু ব্যবহারকারী নয়, প্রায় সবার উপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা হয়৷ তারা এতটাই নিয়ন্ত্রণ করে, যে এটা অনেকটা লুকানো স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মতো৷ হুমকি ও বাধ্য করার বদলে প্রভাব বিস্তার ও খোঁচা মেরে সেই কাজ করা হয়৷''
তবে এমন মাত্রার প্রভাব থেকে অন্তত কিছুটা রেহাই পাবার উপায় রয়েছে৷ কর্মী লেইল জাহারা নিয়মিত প্রাইভাসি সেটিং পরীক্ষার পরামর্শ দেন৷ ফেসবুক যে সব অ্যাপকে তথ্য দেয়, সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন৷
যারা আরও এক ধাপ এগোতে চান, তাঁদের জন্য অন্য একটি পদ্ধতির পরামর্শ দেন তিনি৷ লেইল মনে করেন, ‘‘আমার সম্পর্কে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, তা নিয়ে খেলতে আমি ভালোবাসি৷ কারণ মনে রাখতে হবে, যে এই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যববার করলে তথ্য সৃষ্টি হয়৷ কিছু প্লাগইন ও অন্যান্য উপায়ে সংগৃহিত তথ্য এলোমেলো করে দেওয়া যায়৷''
আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষের সুযোগ-সুবিধা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে তথ্য চুরির ঘটনা৷ ফোর্বস জানাচ্ছে কোন সাতটি উপায়ে আপনি খুব সহজেই ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/davidevison
পাসওয়ার্ড নিজের কাছে রাখুন
কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের পাসওয়ার্ড যেন কখনই এক না হয়৷ আর ব্যাংক কার্ড-এর সঙ্গে যেন এই পাসওয়ার্ডের মিল না থাকে৷ এছাড়া কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে কোনো পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না৷ এর ফলে আপনার তথ্য চুরির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়৷ বাড়ির বাইরে গেলে এগুলি ‘লক’ করে যাবেন৷
ছবি: Sergey Nivens - Fotolia.com
নামে ‘গুগল অ্যালার্ট’ ব্যবহার করুন
এটা খুব সহজ পন্থা, আপনি যদি দেখতে চান ইন্টারনেটে আপনার সম্পর্কে সবাই কী বলছে৷ সোজা এই ঠিকানায় যান – http://www.google.com/alerts এবং আপনার নাম লিখুন৷ তারপর আপনার নামের বিভিন্ন ধরন লিখে, তার আগে ও পরে ‘কোটেশন মার্ক’ জুড়ে দিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
ব্যবহারের পর লক্ষ্য রাখা
আপনি যদি অন্য কারো কম্পিউটার বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন৷ আপনার পর যিনি সেটা ব্যবহার করবেন, তিনি যাতে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারে – সেটা খেয়াল রাখুন৷ আপনি যদি এটা করতে ভুলে যান, তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে৷
ছবি: AFP/Getty Images
ফোন, ই-মেল বা জিপ কোড ব্যবহার করতে না দেয়া
অচেনা কোনো মানুষ এই নম্বরগুলো জানতে চাইলে, আপনারা দেবেন না৷ দেখা যায় কোনো অফিস তাঁর কর্মীর কাছ থেকে এ সব তথ্য চাইলে, অনেকেই সেচ্ছ্বায় তা দিয়ে দেয়৷ বহু অফিস এ নিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করে৷ আপনার কিন্তু এ সব তথ্য না দেয়ার অধিকার আছে৷ তাই আপনি যদি এতে স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ না করেন, তবে দেবেন না৷
ছবি: picture-alliance/ZB
কার্ড নয় ক্যাশ
আপনি যদি চান আপনি যে পণ্যটি কিনছেন, সেই কোম্পানি আপনারা পরিচয় না জানুক, তবে নগদ অর্থে জিনিস কিনুন৷
ছবি: AP
ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য ‘ফ্রেন্ডস’ ব্যবহার করুন
ফেসবুকে সবসময় ‘সিকিউরিটি’ বা নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন৷ পোস্ট করার পর লক্ষ্য রাখুন আপনি আপনার ছবি বা মন্তব্য ‘ফ্রেন্ডস’ করে রেখেছেন, নাকি ‘পাবলিক’ করেছেন৷ আপনি যদি ‘স্পেশ্যাল’ নির্বাচন করেন এবং ঠিক করে দেন কে কে আপনার পোস্ট দেখতে পাবে, তবে সেটা আপনার তথ্য নিরাপত্তার জন্য তুলনামূলকভাবে ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Bozoglu
‘হিস্ট্রি’ এবং ‘কুকিস’ মুছে ফেলুন
আপনি সবশেষ কবে এটা করেছেন? আপনি যদি নিশ্চিত না হন, ব্রাউজারে গিয়ে এটা পরিবর্তন করুন৷ ব্রাউজারের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’-এ যান, সেখানে ‘নেভার রিমেমবার হিস্ট্রি’ নির্বাচন করুন৷ এর ফলে ইন্টারনেটে আপনাকে ‘ট্র্যাক’ করাটা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হবে৷ এছাড়া আপনি ‘অ্যাড অন’-ও ব্যবহার করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/davidevison
7 ছবি1 | 7
ডেটাওয়ালেট নামের অ্যাপ অন্য একটি পথ বাতলে দেয়৷ ব্যবহারকারীরা তার মাধ্যমে ফেসবুকের মতো ইন্টারনেট অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারেন৷ সেই অ্যাপ তখন সেই প্ল্যাটফর্ম থেকে তথ্য শুষে নেয়৷ ব্যবহারকারী নিজেই পরিচয় গোপন করে সেই তথ্য বিক্রি করতে পারেন৷ ডেটাওয়ালেট কোম্পানির মুখপাত্র ইয়ানিক সোকোলভ বলেন, ‘‘আমার মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শুধু কোম্পানিগুলিকে আমাদের তথ্য না দিয়ে তার উপর নিয়ন্ত্রণ, তার মালিকানা নিজের হাতে নিয়ে গোটা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটছে৷ অবশ্যই অন্য প্ল্যাটফর্মের কাছেও সেই তথ্য থেকে যাচ্ছে৷ কারণ যতদিন আপনি ফেসবুকে থাকবেন, ততদিন আপনি আপনার তথ্য তাদের ব্যবহার করতে দিচ্ছেন৷ অ্যাপের মধ্যে সেই তথ্য থাকলে আপনি নিজে তার ব্যবহার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷ সেই তথ্য থেকে আপনি কিছু উপার্জনও করতে পারেন৷''
এভাবে খুব বেশি অর্থ উপার্জন সম্ভব কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়৷ তবে নিয়ন্ত্রণের পথে এটা অবশ্যই একটি পদক্ষেপ৷ ‘তথ্যের স্বায়ত্তশাসন' নিশ্চিত করতে অবশ্য অ্যালগোরিদমের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার প্রয়োজন৷ পল বার্নাল বলেন, ‘‘গুগলের সার্চ অ্যালগোরিদম বা ফেসবুকের নিউজ কিউরেশন অ্যালগোরিদম যেভাবে কাজ করে, সেগুলিকে তারা গোপন বাণিজ্যিক তথ্য হিসেবে গণ্য করে৷ তাই কেউ তাতে উঁকি মারার অধিকার পায় না৷ অর্থাৎ এক্ষেত্রে আমাদের কার্যত কোনো স্বনিয়ন্ত্রণ নেই৷''
তথ্যের চিহ্ন এড়িয়ে চলা অসম্ভব৷ তবে সেই তথ্যের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি৷
আলিস কোন/এসবি
ডার্কনেটের ব্যবহার বাড়ছে
বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন হওয়ার পরও তথ্য পাওয়া মুশকিল৷ নিরাপত্তা সংস্থাগুলি যে প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করছে, তাতে সব সময় তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় পাওয়া নাও যেতে পারে৷
ছবি: Fotolia/Amir Kaljikovic
ইন্টারনেটে তথ্য
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রতিদিনই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কিছু না কিছু তথ্য যোগ করেন৷ স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলোও ব্যবহারকারীদের ধারণার চেয়ে বেশি তথ্য নিয়ে থাকে৷
ছবি: imago/Schöning
মেটাডাটা
গুপ্তচর বিভাগ বেশি আগ্রহী ‘মেটাডাটা’ সম্পর্কে৷ নেট ব্যবহারকারী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ওয়েবভিত্তিক বিষয়বস্তুর সঙ্গে পাওয়া যায়, যাকে বলা হয় মেটাডাটা৷
ছবি: Reuters
মেটাডাটার তথ্য
কে কাকে ই-মেল করছেন, সেই ব্যক্তির পরিচয়, সময় সম্পর্কে তথ্য থাকে মেটাডাটায় যা গুপ্তচর বিভাগ পেতে চায়৷ প্রেরক, ঠিকানা, তারিখ থেকে শুরু করে যে সার্ভার ব্যবহার করে ই-মেলটি করা হয়েছে, সেই তথ্যও এভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব৷
ছবি: Raigo Pajula/AFP/Getty Images
ডার্কনেটের ব্যবহার
ডার্কনেটের মাধ্যমে পরিচয় গোপন রেখে যোগাযোগ করা সম্ভব৷ প্রযুক্তিগত কারণে এখনো সরকার বা নিরাপত্তা কর্মীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের সনাক্ত করতে পারেন না৷
ছবি: Fotolia/Gina Sanders
ফ্রিনেট
সবচেয়ে আলোচিত ডার্কনেটের নাম ফ্রিনেট৷ তাদের ওয়েবসাইটে গেলে বিনামূল্যে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যায়৷
ছবি: Reuters
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য
ফেসবুক এবং টুইটারে একজন ব্যবহারকারী শুধু নিজের সম্পর্কে সাধারণ তথ্যই জানান না, তাঁরা তাঁদের পছন্দ, অপছন্দ, এমনকি বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও জানান৷ ব্লগে সমাজ সচেতনতা, মানবাধিকার, সরকার বিরোধী লেখাও লেখা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাংলাদেশে ডার্কনেট
বাংলাদেশে ডার্কনেটের ব্যবহার আগে না হয়ে থাকলেও খুব শিগগিরই যে সেটা শুরু হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷