ইন্টারনেট পরিষেবা এতই মন্থর যে পড়াশোনাই করতে পারছেন না কাশ্মীরের ছাত্রছাত্রীরা। সরকার অবশ্য মানতে নারাজ।
বিজ্ঞাপন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ স্কুল-কলেজে তালা ঝুলিয়েছে। দীর্ঘ লকডাউনের পর নতুন করে তা খোলার প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনই সব স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী অনলাইন ক্লাস করছে। কিন্তু কাশ্মীর? কী অবস্থা সেখানকার শিক্ষার্থীদের? গোটা জম্মু এবং কাশ্মীর উপত্যকায় মাত্র দুইটি জেলায় ফোর জি ইন্টারনেট কানেকশন আছে। অন্যত্র দীর্ঘদিন ইন্টারনেট ছিল না। এখন এলেও তা টু জি স্পিড। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, টু জি স্পিডের ইন্টারনেটে ঘরে বসে পড়াশোনা করা, ক্লাস করা কার্যত অসম্ভব। কিন্তু সরকার তা মানতে চাইছে না।
সম্প্রতি সংসদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, টু জি ইন্টারনেট ই-লার্নিং বা ইন্টারেনটে পড়াশোনার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টু জি ইন্টারনেটে একটি বই ডাউনলোড হতেই বহু সময় লেগে যায়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্লাস বা ওই ধরনের বিষয় তো অনেক দূরের কথা। কাশ্মীরের ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, গত এক বছর তাঁদের পড়াশোনার প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই চেষ্টা করছেন কাশ্মীর ছেড়ে দেশের অন্য কোনও রাজ্যে বা বিদেশে গিয়ে শিক্ষাগ্রহণ করতে।
কাশ্মীরে ‘ইন্টারনেট এক্সপ্রেস’
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ১৬২ দিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে৷ তাই ইন্টারনেটের খোঁজে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা রেলপথ পাড়ি দিচ্ছেন কাশ্মীরীরা৷
ছবি: picture-alliance/AP/C. Anand
সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারনেট বন্ধ
গতবছরের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারতের নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷ এরপর বিক্ষোভ প্রতিরোধের নামে ঐ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়৷ এখনও তা অব্যাহত আছে৷ ফলে ১৬২ দিন ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না কাশ্মীরীরা৷ কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের শাসনামলে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ ঘটনা৷
ছবি: DW/P. Samanta
ইন্টারনেটের খোঁজে
জম্মুর বানিহাল শহরে সরকার কয়েকটি ইন্টারনেট ক্যাফে খুলেছে৷ ট্রেনে করে সেখানে যাতায়াতে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে৷ কিন্তু তাতে কী! অনেক কাশ্মীরী সেটিই করছেন৷ কারণ ইন্টারনেটতো ব্যবহার করতে হবে৷ ছবিতে বানিহাল স্টেশনে যাত্রীদের দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/A.
‘ইন্টারনেট এক্সপ্রেস’
যে ট্রেনে করে কাশ্মীরীরা বানিহাল যাতায়াত করেন সেটির নাম তাঁরা দিয়েছেন ‘ইন্টারনেট এক্সপ্রেস’৷ এক ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ৪.২ ডলার বা সাড়ে তিনশ টাকা খরচ করেন তাঁরা৷
ছবি: picture-alliance/AP/C. Anand
‘এই সুযোগ হাতছাড়া করা যায় না’
১৮ বছর বয়সি আবরার আহমেদ বানিহালের ইন্টারনেট ক্যাফেতে গিয়ে অনলাইনে চাকরির আবেদন জমা দিয়েছেন৷ থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে তিনি জানান, ইন্টারনেট ব্যবহারের এই সুযোগ হাতছাড়া করার উপায় নেই৷ কারণ পরিবার চালাতে তাঁকে একটি চাকরি পেতেই হবে৷ গতবছর রাজমিস্ত্রি বাবা দুর্ঘটনায় এক পা হারানোর পর ছয় সদস্যের পরিবার চালানোর দায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে৷
ছবি: Reuters/A.
অনেক ভিড়
কাশ্মীরের বুড়গামে সরকার প্রতিষ্ঠিত একটি ইন্টারনেট ক্যাফের সামনের লাইন এটি৷
ছবি: Reuters/A.
বিপুল আর্থিক ক্ষতি
কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মজিদ মীর জানিয়েছেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে এখন পর্যন্ত ২.৪ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২০ হাজার তিনশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে৷ চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার জন৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Mustafa
6 ছবি1 | 6
২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে উপত্যকা থেকে বিশেষ আইন তুলে দেওয়ার পরে এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করার পরে দীর্ঘ লকডাউন শুরু হয় সেখানে। তখনও করোনার প্রকোপ শুরু হয়নি। গোটা বিশ্বে সব চেয়ে বেশিদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল সেখানে। বন্ধ ছিল স্কুল কলেজ সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, গত এক বছরে কার্যত তাঁরা পড়াশোনাই করতে পারেননি। করোনা কালে দেশের সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে শুরু হয় ইন্টারনেটে ক্লাস। কিন্তু কাশ্মীরের মাত্র দুইটি জেলায় ফোর জি ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হয়। বাকি এলাকায় এখনও টু জি।
কাশ্মীরে বহুদিনের সংঘাত, বহুদিনের ক্ষত
স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে যেন গলার ফাঁস হয়ে রয়েছে কাশ্মীর৷ তাই কাশ্মীর সংক্রান্ত ঘটনাবলী আজ নিজেরাই ইতিহাস৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Bhat
১৯৪৭
বলা হয় দেশবিভাগের পর পাকিস্তান থেকে আগত উপজাতিক যোদ্ধারা কাশ্মীর আক্রমণ করে৷ তখন কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সাথে সংযোজনের চুক্তি করেন, যা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়৷
ছবি: dapd
১৯৪৮
ভারত জাতিসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে পর, ৪৭ ক্রমিক সংখ্যক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়৷ ঐ প্রস্তাব অনুযায়ী গোটা কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে৷
ছবি: Keystone/Getty Images
১৯৪৮
কিন্তু পাকিস্তান প্রস্তাব অনুযায়ী, কাশ্মীর থেকে সৈন্যাপসারণ করতে অস্বীকার করে৷ অতঃপর কাশ্মীরকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়৷
ছবি: Getty Images
১৯৫১
ভারতীয় কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে সমর্থন করা হয়৷ অতঃপর ভারত বলে, আর গণভোট অনুষ্ঠানের কোনো প্রয়োজন নেই৷ জাতিসংঘ ও পাকিস্তানের মতে, গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৫৩
কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ শেখ আব্দুল্লাহ গণভোটের সমর্থক ছিলেন ও ভারতের সঙ্গে সংযোজনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন৷ ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ জম্মু-কাশ্মীরের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের সংযোজনকে পাকা করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Khan
১৯৬২-৬৩
১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীন আকসাই দখল করে৷ তার আগের বছর পাকিস্তান কাশ্মীরের ট্রান্স কারাকোরাম ট্র্যাক্ট এলাকাটি চীনকে প্রদান করে৷
ছবি: Getty Images
১৯৬৫
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়৷ কিন্তু যুদ্ধশেষে উভয় দেশের সেনা তাদের পুরোনো অবস্থানে ফিরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Singh
১৯৭১-৭২
আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ৷ যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সিমলা চুক্তি সম্পাদিত হয় ১৯৭২ সালে৷ যুদ্ধবিরতি রেখাকে লাইন অফ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিণত করা হয় ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ সমাধান সম্পর্কে ঐকমত্য অর্জিত হয়৷
ছবি: AP
১৯৮৪
ভারত সিয়াচেন হিমবাহ নিজ নিয়ন্ত্রণে আনার পর পাকিস্তান তা একাধিকবার দখল করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হতে পারেনি৷
ছবি: AP
১৯৮৭
জম্মু-কাশ্মীরে বিতর্কিত নির্বাচনের পর রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়৷ ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থাকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করে, কিন্তু পাকিস্তান সে দোষারোপ চিরকাল অস্বীকার করে এসেছে৷
ছবি: AP
১৯৯০
গওকাদল সেতুর কাছে ভারতীয় সিআরপি রক্ষীবাহিনী কাশ্মীরি বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালালে পর শতাধিক আন্দোলনকারী নিহত হন৷ প্রায় সমস্ত হিন্দু কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে চলে যান৷ জম্মু-কাশ্মীরে সেনাবাহিনীকে আফসা বা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/Tauseef Mustafa
১৯৯৯
কাশ্মীর ভ্যালিতে গোটা নব্বই-এর দশক ধরে অশান্তি চলে৷ ১৯৯৯ সালে আবার ভারত-পাকিস্তানের লড়াই হয়, এবার কারগিলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
২০০১-২০০৮
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলাপ-আলোচনার যাবতীয় প্রচেষ্টা প্রথমে নতুন দিল্লির সংসদ ভবন ও পরে মুম্বই হামলার ফলে ব্যর্থ হয়৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/F. Khan
২০১০
ভারতীয় সেনার গুলি লেগে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পর কাশ্মীর ভ্যালি উত্তেজনায় ফেটে পড়ে৷ বিক্ষোভ চলে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে, প্রাণ হারান অন্তত ১০০ জন৷
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/U. Asif
২০১৩
সংসদ ভবনের উপর হামলার মুখ্য অপরাধী আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ এর পর যে বিক্ষোভ চলে, তা-তে দু’জন প্রাণ হারায়৷ এই বছরই ভারত আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় মিলিত হয়ে উত্তেজনা উপশমের কথা বলেন৷
ছবি: Reuters
২০১৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ উপস্থিত থাকেন৷ কিন্তু এর পর নতুন দিল্লিতে পাকিস্তানি হাই কমিশনার কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে মিলিত হওয়ায় ভারত আলাপ-আলোচনা স্থগিত রাখে৷
ছবি: Reuters
২০১৬
আজাদ কাশ্মীর ভিত্তিক হিজবুল মুজাহিদীন-এর অধিনায়ক বুরহান ওয়ানি-র মৃত্যুর পর কাশ্মীরে স্বাধীনতা সমর্থকরা আবার পথে নেমেছেন৷ এই আন্দোলনে এ পর্যন্ত অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ও বিক্ষোভ অব্যাহত আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.S.Hussain
২০১৯
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর গাড়িবহরে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে৷ এতে ৪২ জওয়ান নিহত হন৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সীমান্তের ভেতরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/P. Kumar Verma
২০১৯
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নং ধারা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের কাছে কিছু বিশেষ অধিকার ছিল। ৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৩৭০ ধারাটি অবসানের দাবি তোলেন৷ বিল পাস হয়। একই দিনে তাতে সই করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ ফলে, কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা' বাতিল হয়। তাছাড়া মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারায়। জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।
ছবি: Reuters
19 ছবি1 | 19
সরকারের বক্তব্য, নিরাপত্তা এবং দেশের সার্বভৌমত্বের কারণেই সেখানে টু জি ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে। যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বাড়তে না পারে। গণ্ডগোল তাতে বন্ধ হয়নি। গোলাগুলিও বন্ধ হয়নি। কিন্তু মাঝখান থেকে সমস্যায় পড়ছেন ছাত্রছাত্রীরা। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, ইন্টারনেট স্লো হওয়ায় হাসপাতালগুলিতেও কাজে সমস্যা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ মেশিনগুলি ঠিক মতো আপডেট নিতে পারছে না।
কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য দাবি করেছে, ফিক্সড লাইনে ফাস্ট ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে কাশ্মীরে। কিন্তু মোবাইলে টু জির বেশি দেওয়া হচ্ছে না নিরাপত্তার কারণে। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের বক্তব্য, সরকার যাই বলুক, বাস্তবে ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কয়েক মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য বলেছিল, ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া মানুষের অধিকার। সরকার তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করতে পারে না। সরকারের বক্তব্য, তারা বঞ্চিত করছে না। টু জি ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, যে ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে, তাতে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করা অসম্ভব।