1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে ইন্টারনেট

২ মার্চ ২০১২

ব্লগারদের চাবুক দিয়ে মারা, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আটক করার জন্য ইরানে নামানো হয়েছে সাইবার পুলিশ৷ এদের কাজ হলো ইন্টারনেটের ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করা – তা যেভাবেই হোক না কেন৷

ছবি: FARS

ইন্টারনেট ব্যবহরাকারীদের রাখা হবে চোখে চোখে৷ এসব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ কয়েকদিন আগেই ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা নজার জানিয়েছিলেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যেমে যারা জানাচ্ছে যে আসন্ন নির্বাচন বয়কট করা উচিত, তাদের শাস্তি দেয়া হবে৷

সাইবার পুলিশ নজর রাখছেছবি: FARS

এর উত্তরে তেহরানের ইন্টারনেট অ্যাকটিভিস্ট এহসান নোরুজি জানান, ‘‘সরকার চেষ্টা করছে বিরোধীদল যেন ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সাহায্য নিতে না পারে৷ ইন্টারনেট যেন সরকারকে কোনো ধরণের সমস্যায় না ফেলে, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে৷ কারণ এই ইন্টারনেটের সাহায্যেই সবাইকে সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় এবং সংঘবদ্ধ করা সম্ভব৷''

২০০৯ সালে ইরানে বিতর্কিত নির্বাচন এবং মধ্য প্রাচ্যে আরব জাগরণের পর, ইরান সরকার বেশ ভাল করেই ইন্টারনেট এবং সামাজিক নেটওয়ার্কের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল৷ গত কয়েক বছর ধরেই ইরানে ইন্টারনেটের ওপর নজরদারির ব্যবস্থা জোরদার করা হয়৷ রোধ করা হয় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশের পথ৷ এর পাশাপাশি রয়েছে অত্যন্ত ধীর গতির ইন্টারনেট সংযোগ৷ এসব ওয়েবসাইটে সাধারণ মানুষরা যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্যই ওয়েব অ্যাকটিভিস্টদের আটক করা হচ্ছে৷

ব্লগারদের পথ রোধ করা হচ্ছেছবি: AP

এতোদিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র বিশেষ একটি ফিল্টার সিস্টেমের সাহায্যে ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে পারতো৷ এবং প্রায় সময়েই দেখা যেত যে তাও ব্লক করা৷ অর্থাৎ সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না৷ এছাড়া এই সিস্টেমের আওতায় জিমেল, গুগল, এমনকি ইউটিউব-এও প্রবেশ করা যায় না৷ আবর জাগরণের পরপরই ২০১১ সালে ইরান সরকার ‘হালাল ইন্টারনেট'-এর নাম করে বিভিন্ন ওয়াবসাইট ব্লক করে দেয়৷ যুক্তি দেখানো হয় যে, এসব ওয়েবসাইটে যা দেখানো হচ্ছে বা যেসব তথ্য প্রদান করা হচ্ছে - তা হালাল নয়৷ এ প্রসঙ্গে এহসান নুরুজি আরো বলেন,‘‘২০০৯ সালের নির্বাচনের পরই ইন্টারনেট নজরদারিতে অত্যন্ত কড়া নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে৷ ইদানিং যা করা হচ্ছে তা একেবারে নজিরবিহীন৷ এর মধ্যে দিয়ে সরকার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ইন্টারনেট পুরোপুরি কেড়ে নিতে৷''    

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ