ইন্টারপোলের লাল তালিকায় ৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি অপরাধীর নাম আছে৷ তবে মিন্টু মিয়া হচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি, যার নাম মানবপাচারকারী হিসেবে ঐ তালিকায় স্থান পেয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
মিন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশে চাকরি পেতে আগ্রহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা এবং অবৈধভাবে তাদের আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, এমনকি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ চলতি সপ্তাহে তার নাম তালিকায় যোগ করে ইন্টারপোল৷ বর্তমানে সারা বিশ্বের সাত হাজার ৩৬৮ জন অপরাধীর নাম লাল তালিকায় রয়েছে৷
মিন্টু মিয়াসহ ছয়জন মানবপাচারকারীর নাম ইন্টারপোলের লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ সৈয়দা জান্নাত আরা৷ ‘‘এই পাচারকারীরা বিদেশে চাকরি দেয়ার নাম করে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে টাকা নেয়৷ এরপর লিবিয়ায় তাদের আটকে রেখে আরও অর্থের জন্য তাদের উপর নির্যাতন চালায়,’’ বলে জানান জান্নাত আরা৷
বাংলাদেশে যে ১০ জেলার নারীরা বিদেশে বেশি যায়
২০০৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সাত লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ জন নারী শ্রমিক কাজ নিয়ে বিদেশ গেছেন৷ এই সুযোগ সবচেয়ে বেশি মিলেছে ঢাকা বিভাগের নারীদের৷ গত ১৩ বছরে কোন দশটি জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি নারী বিদেশে গেছেন দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/Ashish Chakraborty
১. ঢাকা
সবচেয়ে বেশি নারী শ্রমিক বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকা থেকে৷ ২০০৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার নারী এই জেলা থেকে কাজ নিয়ে গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে৷ (ছবি: ঢাকায় অবস্থিত একটি তৈরি পোশাক কারখানা)
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/M. Hasan
২. মানিকগঞ্জ
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকার পাশের জেলা মানিকগঞ্জ৷ ৫০ হাজার নারী সেখান থেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন জীবিকার তাগিদে৷ (ছবি: মানিকগঞ্জের মৃত্তিকা শিল্প)
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
৩. নারায়ণগঞ্জ
গত ১৩ বছরে নারায়ণগঞ্জ থেকে ৪৭ হাজার ৩৩০ জন নারী শ্রমিক বিদেশে গেছেন৷ (ছবি: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন)
ছবি: Samir Kumar Day
৪. ফরিদপুর
চতুর্থ অবস্থানে আছে ঢাকা বিভাগেরই আরেক জেলা ফরিদপুর৷ সেখান থেকে ৪৬ হাজার ১৯৩ জন নারী কাজ নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন৷ (ছবি: ফরিদপুরের এক নারী কৃষক)
ছবি: DW/Muhammad Mostafigur Rahman
৫. গাজীপুর
পঞ্চম অবস্থানে ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুর৷ ২০০৫ সাল থেকে সেখানকার ৩৬ হাজার ৫৯১ জন নারী বিদেশে গেছেন৷ (ছবি: গাজীপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানা)
ছবি: DW/Rodion Ebbighausen
৬. হবিগঞ্জ
ঢাকা বিভাগের বাইরে নারীরা সবচেয়ে বেশি বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে হবিগঞ্জ থেকে৷ গত ১৩ বছরে যার সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪১০ জন৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Khukon Thaunaujam
৭. ব্রাম্মণবাড়িয়া
২০০৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ব্রাম্মণবাড়িয়া থেকে বিদেশে পাড়ি জমানো নারীদের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ১২১ জন৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan
৮. কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ থেকে ২৫ হাজার নারী বিদেশে গেছেন কাজের সূত্রে৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: AP
৯. কুমিল্লা
বিদেশে নারী শ্রমিক যাওয়ার দিক থেকে নবম অবস্থানে আছে কুমিল্লা৷ জেলার ২৪ হাজার ৬৭৮ জন নারী গত ১৩ বছরে বিদেশে যান৷ (ছবি: ময়নামতির পুরাকীর্তি, কুমিল্লা)
ছবি: Muhammad Mostafigur Rahman
১০. বরিশাল
কাজের খোঁজে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন বরিশালের নারীরাও৷ সেখান থেকে ২০ হাজার ৫৩৮ জন গেছেন গত ১৩ বছরে৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: dw
10 ছবি1 | 10
তিনি বলেন, ‘‘ইন্টারপোলে তাদের বিস্তারিত তথ্য দেয়ার কারণে তাদের চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হবে, কারণ যে দেশেই তারা যাক না কেন সেখানেই তাদের আটকের চেষ্টা করা হবে৷’’
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর আশরাফুল ইসলাম ইন্টারপোলে পাচারকারীদের নাম দেয়ার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন৷ ‘‘আশা করছি, এই উদ্যোগ মূল অপরাধীদের ধরতে সহায়তা করবে এবং পাচার হয়ে বাংলাদেশিদের এখানে আসা বন্ধ হবে৷ এই উদ্যোগ সফল হচ্ছে কিনা, তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে,'' বলেন তিনি৷
গত মে মাসে লিবিয়ায় ২৪ জন বাংলাদেশিকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনার পর মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ৷ জুন মাসে অন্তত ৫০ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এটি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ‘সবচেয়ে বড় অভিযান’ বলে দাবি করছে পুলিশ৷
আটকদের মধ্যে একজন শীর্ষ পাচারকারী রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঐ পাচারকারী প্রায় চারশ বাংলাদেশিকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছিল৷
মানবপাচার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চলতি বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচার রুখতে বাংলাদেশ তৎপরতা বাড়িয়েছে৷ হাজার হাজার মামলা নিষ্পত্তি করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, যদিও অভিযুক্তের সংখ্যা এখনও কম৷
জেডএইচ/কেএম (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)
ইউরোপের স্বপ্ন বন্দি বসনিয়ার জঙ্গলে
ইউরোপে অভিবাসনের প্রত্যাশায় এসে বসনিয়ায় আটকা পড়েছেন কয়েকশো বাংলাদেশি৷ ডয়চে ভেলের আরাফাতুল ইসলাম ও অনুপম দেব কানুনজ্ঞ তুলে ধরেছেন তাদের মানবেতর জীবনের দিনলিপি৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
জঙ্গলে বসবাস
এটি বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর ভেলিকা ক্লাদুসার একটি জঙ্গল৷ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশো বাংলাদেশি৷ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন তারা৷ লক্ষ্য ক্রোয়েশিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করা৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
পলিথিনের তাঁবু
সেখানে কোন স্থাপনা নেই৷ স্থানীয় সুপার মার্কেট থেকে পলিথিন কিনে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাত কাটানোর সাময়িক ব্যবস্থা করেছেন তারা৷ এক একটি তাঁবুতে ১০ থেকে ১২ জন থাকেন৷ সোমবার সকালে সেখানে তাপমাত্রা ছিল দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ ঠাণ্ডা বা বৃষ্টি কোনটি থেকেই রক্ষা পাওয়ার সুযোগ নেই এই আচ্ছাদনে৷
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW
‘পুলিশ সবকিছু কেড়ে নেয়’
ইয়াসিন নামে একজন জানান, ওমান থেকে স্পিড বোটে করে তিনি ইরান থেকে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে আসেন৷ তারপর গ্রিস থেকে আসেন বসনিয়াতে৷ ‘‘সর্বশেষ গত তিনদিন আগে ক্রোয়েশিয়া প্রবেশের চেষ্টা করি৷ সে সময় কিছুটা (ক্রোয়েশিয়ার) ভিতরে ঢুকেছিলাম৷ কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাই৷ পুলিশ আমার সবকিছু কেড়ে নেয়৷ শুধু আন্ডারওয়্যার পরা অবস্থায় আমাকে এখানে ফেরত পাঠায়৷’’
ছবি: Arafatul Islam/DW
লাখ টাকা খরচ
মোটা অংকের টাকা খরচ করে দালালদের মাধ্যম ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন তারা৷ ‘‘১৮ থেকে ২০ লাখ খরচ করে এখানে এসেছি৷ বিভিন্ন দেশে দালালদের এ টাকা দিতে হয়েছে আমাদের৷ এ মুহূর্তে দেশে গেলে নিঃস্ব হয়ে যাব আমরা,’’ জানালেন একজন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
গোসলের সুযোগ
আশেপাশে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা৷ বৃষ্টিতে নীচু জমিতে পানি জমেছে, যা গোসল আর কাপড় ধোয়ার সুযোগ করে দিয়েছে অভিবাসন প্রতাশীদের৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
মিরাল ক্যাম্প
কাছেই আছে জাতিসংঘের ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা’ আইওএম পরিচালিত মিরাল ক্যাম্প৷ ক্যাম্পে মোট সাতশ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে৷ এদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পাকিস্তানি অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ বাংলাদেশিদের হার ২৮ শতাংশ৷ এছাড়া মরক্কো, আফগানিস্তান, সিরিয়া, আলজেরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরাও আছেন সেখানে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা
ক্যাম্পের ব্যবস্থাপক আইওএম কর্মকর্তা মিতে চিলকোভস্কি জানান, ক্যাম্পের বাসিন্দাদের দিনে তিন বেলা খাবার দেয়া হয়৷ পাশাপাশি তাদের অন্য সামগ্রীও দেয়া হয়৷ এছাড়া স্থানীয় ডাক্তারদের দিয়ে ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে থাকা আহত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চিকিৎসা দেয়া হয়৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
নির্যাতন
বসনিয়া সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ক্রোয়েশিয়ার পুলিশের বাধা ও তাদের হাতে নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন ক্যাম্পে বাস করা বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷ যেমন সিলেট থেকে আসা শফিক মিয়া তার ডানহাতে থাকা কুকুরের কামড়ের ক্ষত দেখিয়েছেন৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কুকুর ছেড়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ ছবিতে নির্যাতনের চিহ্ন দেখাচ্ছেন মিরাল ক্যাম্পে থাকা আরেক বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী৷
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW
পরিত্যাক্ত কারখানা
বেশিরভাগেরই ঠাই মেলেনি মিরাল ক্যাম্পে৷ তাদের বড় একটি অংশই আশ্রয় নিয়েছেন জঙ্গলে৷ সেখানেও এখন থাকার জায়গা নেই৷ বাকিরা তাই বেছে নিয়েছেন পাশের একটি পরিত্যাঙ্ক কারখানা ভবন৷
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW
শতাধিক
এই কারখানা ভবনেও শতাধিক বাংলাদেশির দেখা পেয়েছেন ডয়চে ভেলের দুই সংবাদকর্মী৷ বাংলাদেশির পাশাপাশি আফ্রিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে আসা শরণার্থীরাও আছেন সেখানে৷
ছবি: DW
দেয়াল, ছাদবিহীন ভবন
কারখানা ভবনটির চারপাশের একটি বড় অংশেই দেয়াল নেই৷ এমনকি ছাদের অনেকটা অংশই ফাঁকা৷ যার কারণে অনায়াসে বৃষ্টির পানি ঢুকছে সেখানে৷ আছে শীতের প্রকোপও৷
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW
পুলিশের তাড়া
অভিবাসীদের অভিযোগ কারখানাতে অনেক সময় পুলিশ আসে৷ সেসময় তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যেতে হয় সেখান থেকে৷ পরে আবারো এসে আশ্রয় নেন তারা৷
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
ভবনটির মেঝেতে জমে আছে পানি৷ পাশেই ময়লার স্তূপ৷ এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই দিনের পর দিন কাটাচ্ছেন ইউরোপের স্বপ্নে বিভোর মানুষগুলো৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
এক জায়গায় সব
অস্বাস্থ্যকর সেই পরিবেশে রান্না, খাওয়া আর থাকার ব্যবস্থা৷ খাবার কিনতে হয় স্থানীয় সুপার মার্কেট থেকে৷ তবে সেজন্যেও বহু কাঠখড় পোহাতে হয়৷ অনেকের কাছে নেই পর্যাপ্ত টাকাও৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
ছিনতাইয়ের ভয়
মানবেতর এই পরিস্থিতিতে আরেক বিপদ ছিনতাই৷ রাতের বেলা বাইরে বের হয়ে ছিনতাইয়ের কবলে পড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
স্থানীয়দের সহযোগিতা
তবে অনেক সময় স্থানীয়দের কেউ কেউ সহযোগিতাও করেন৷ ছবির ব্যক্তির সামনে রাখা চুলাটি সেভাবেই মিলেছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
অবশেষে সহায়তার দেখা
গত কয়েক মাসে ক্যাম্পের বাইরে থাকা এই শরণার্থীরা আন্তর্জাতিক কোন সংস্থা থেকে মানবিক সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ৷ তবে ১৯ অক্টোবর আইওএম এর একটি দল সেখানে উপস্থিত হন৷ ছয়শো জনকে তারা কিছু খাবার আর স্লিপিং ব্যাগ দিয়েছেন৷ প্রথমবারের মতো এমন সহায়তা মিলেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশিরা৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
প্রাথমিক চিকিৎসা
সীমান্ত অতিক্রম করতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন৷ আবার ক্রোয়েশিয়া পুলিশের নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগও করেছেন কেউ কেউ৷ তেমনই একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছিলেন রেডক্রসের কর্মীরা৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
‘গেম মারা’
আটকা পড়া অভিবাসন প্রত্যাশীরা দালালের মাধ্যমে দল বেঁধে চেষ্টা করেন সীমান্ত অতিক্রমের৷ এটিকে তারা বলে থাকেন ‘গেম মারা’৷ তবে বেশিরভাগই ব্যর্থ হোন৷ ক্রোয়েশিয়া পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আবার ফিরে আসেন জঙ্গলেই৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
ইউরোপ কত দূর
এই বাংলাদেশিদের কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে ঢুকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন দুই-তিন বছর ধরে৷ এর মধ্যে দালালকে দিয়েছেন ১৫-২০ লাখ টাকা করে৷ তবুও দেখা মেলে না প্রত্যাশিত গন্তব্য ফ্রান্স বা ইটালির৷ একজন বলেছেন, ‘‘ওমান, দুবাইর সাগর পাড়ি দেয়ার পর পেছনে যাওয়ার উপায় নাই৷ ইটালি ম্যাপে দেখতে অনেক ছোট লাগে, কিন্তু যেতে অনেক সময় লাগে৷ অনেক কষ্ট৷’’
ছবি: Arafatul Islam/DW
আর যেন কেউ না আসে
বেশিরভাগই জানিয়েছেন তারা এভাবে এসে ভুল করেছেন৷ টাকা দিয়ে বিপদ কিনেছেন৷ এতটা অবর্ণনীয় কষ্টে পড়তে হবে কেউ ভাবেননি৷ তাদের মতো কেউ যেন আর অবৈধপথে পাড়ি না জমায় সেই অনুরোধ জানান৷