1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্দিরা গান্ধীর ২৭-তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

৩১ অক্টোবর ২০১১

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ২৭-তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গোটা দেশ তাঁকে স্মরণ করলো সশ্রদ্ধ চিত্তে যার নেতৃত্ব দিলেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল৷

Indira Gandhi, Prime Minister of India, is shown in a 1967 photo. (AP Photo/HO) (Photo für Kalenderblatt)
ইন্দিরা গান্ধীছবি: AP

নতুন দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রমুখ৷

১৯৮৪-র আজকের দিনে দেহরক্ষীর গুলিতে শহীদ হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী৷ তাঁর মৃত্যুর ২৭-তম বার্ষিকীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশ আজ তাঁকে স্মরণ করে সশ্রদ্ধচিত্তে৷ মূল অনুষ্ঠান হয় আজ সকালে যমুনা নদীর পাড়ে ইন্দিরা গান্ধীর সমাধি শক্তিস্থলে৷ পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবি সিং পাটিল, উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, লোকসভার স্পীকার মীরা কুমার, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী,রাহুল গান্ধী ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা৷ আয়োজিত হয় সর্বধর্ম প্রার্থনাসভা ও ভক্তিগীতির অনুষ্ঠান৷

জাতীয় সংহতি ও পরিবেশরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মোহন ধারিয়ার হাতে ইন্দিরা গান্ধী স্মারক পুরস্কার তুলে দেন সোনিয়া গান্ধী৷

ঢাকায় সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানেও ইন্দিরা গান্ধীকে স্মরণ করা হয়ছবি: DW

প্রিয়দর্শিনী ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনবার ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ এবং ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সাল অবধি৷ঐ বছরেই তিনি নিজের দেহরক্ষী বিয়ান্ত সিং এবং সতবন্ত সিং-এর গুলিতে প্রাণ হারান৷ ঐ বছরেই পাঞ্জাবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে অপারেশন ব্লুস্টার-এর আদেশ দিয়েছিলেন তিনি৷ আত্মগোপন করে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ধরতে অমৃতসর স্বর্ণমন্দিরে হানা দেয় সেনা৷ সম্ভবত তারি বদলা নিতে শিখ দেহরক্ষীরা তাঁকে হত্যা করে৷

অপর দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হয় হত্যাকারী বিয়ান্ত সিং৷ ধরা পড়ে সতবন্ত সিং৷ বিচারে তাঁর আর তাঁর সহযোগী চক্রী কেহার সিং-এর ফাঁসি হয় ৮৯ সালে৷ ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ড ভারতের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়৷

ইন্দিরার জন্ম ১৯১৭ সালে৷ ৩৮-এ যোগ দেন অবিভক্ত কংগ্রেস দলে৷ বিয়ে ১৯৪২-এ সাংবাদিক ও রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীকে৷ বিয়ের পরই জেলে যান ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে৷ ইন্দিরা গান্ধীর ব্যক্তিত্ব ছিল কোমলে কঠোরে অনন্য৷ বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধে তাঁর ভূমিকার কথা দুই বাংলার মানুষ চিরদিন মনে রাখবে৷ শিল্পোন্নয়নে ইন্দিরা গান্ধীর নীতি ছিল নেহেরু অনুসৃত সমাজতান্ত্রিক পথ৷ দেশে খাদ্যাভাবের মোকাবিলা করতে আনেন সবুজ বিপ্লব৷ নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতকে পরমাণু শক্তিধর করতে প্রথম পরমাণু পরীক্ষা চালান ১৯৭৪ সালে৷

দেশে জরুরি অবস্থা জারি ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়৷ তাঁর জনপ্রিয়তা পড়ে যায় দ্রুত৷ স্বৈরাচারী ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় নিন্দিত হন সর্বস্তরে৷ তা সত্ত্বেও তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যকাল আজ পর্যন্ত বিশ্বে দীর্ঘতম৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ