1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন দ্যা ল্যান্ড অফ ব্লাড অ্যান্ড হানি

২৩ ডিসেম্বর ২০১১

বসনিয়ার যুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি ছবি ‘ইন দ্যা ল্যান্ড অফ ব্লাড অ্যান্ড হানি’৷ ছবির পরিচালনায় রয়েছেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি৷

American actress and UN Goodwill Ambassador Angelina Jolie waits for the start of a media conference at the World Economic Forum in Davos, Switzerland, Saturday Jan. 29, 2005. (AP Photo/Michel Euler)
মার্কিন অভিনেত্রী এবং জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলিছবি: AP

এই প্রথম ছবি পরিচালনা করলেন জোলি এবং সুনামও কুড়ালেন৷ এই ছবি বৃহস্পতিবার দেখানো হল বসনিয়া-হ্যারৎসেগোভিনার রাজধানী সারায়েভোতে৷ ছবি দেখার পর অনেকের মনেই ফিরে এলো ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সালের যুদ্ধ বিধ্বস্ত সেই দিনগুলোর কথা৷ 

রুকিয়া ভ্রোকালো ছবিটি দেখার পর জানান,‘‘আমি কিছু বলার মত ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না৷ আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না৷'' রুকিয়া সারায়েভোর যুদ্ধের শিকার৷ তিনি বেঁচে গেছেন কিন্তু স্মৃতি থেকে ভয়াবহ দিনগুলো মুছে ফেলতে পারেননি৷ তিনি আরো জানান,‘‘ছবিতে যখন গ্রেনেড বিস্ফোরণ দেখাচ্ছিল আমার শুধু যুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলোর কথা মন পড়ছিল৷ আমার মনে হচ্ছিল যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি, যুদ্ধ চলছে৷''

ছবি দেখার পর আরো অনেকেই বাকরুদ্ধ হয়ে যান৷ নিঃশব্দে তারা হল থেকে বেরিয়ে আসেন৷ তারা কোন ধরণের মন্তব্যও করতে চাননি৷ বোঝা যাচ্ছিল ছবিটি অনেককেই  যুদ্ধের কথা, প্রিয়জন হারানোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে৷

মিরহা নামের আরেক ভদ্রমহিলা জানান,‘‘ছবিটি বাস্তবধর্মী৷ বেশ ভালভাবেই তৈরি করা হয়েছে৷ আমার যুদ্ধের সেই সময়গুলো পার করে এসেছি৷ ছবিটি দেখার পর অনেকেই ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়েছেন৷ সবার কাছে মনে হচ্ছে যুদ্ধের সেই দিনগুলো আবারো ফিরে এসেছে৷''

একটি বসনীয় পরিবারের পাশে জোলিছবি: AP

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বসনিয়া-হ্যারৎসেগোভিনার রাজধানী সারায়েভোতেই ছবির শ্যুটিং করেছেন৷ এই প্রথম পরিচালনা তাঁর৷ সুনামও কুড়িয়েছেন৷ আগামী ফ্রেব্রুয়ারি মাসে ছবিটি ইউরোপে মুক্তি পাবে৷ তখন তিনি আবারো বসনিয়ায় যেতে চান৷

জোলি বলেন, ‘‘অনেক ছবির প্রিমিয়ারে আমি গিয়েছি কিন্তু এবারের অভিজ্ঞতা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা৷ আমি ফেব্রুয়ারি মাসে আবারো এখানে আসতে চাই যখন ছবিটি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পাবে৷''

ছবির শ্যুটিং যেন বসনিয়ায় না হয় সে জন্য প্রতিবাদ উঠেছিল৷ বসনিয়ার অনেক মহিলা যারা যুদ্ধের শিকার, তারা চাচ্ছিলেন হাঙ্গেরিতে ছবির শ্যুটিং হোক৷ এছাড়া অনেক বসনিয়ান সার্ব দাবি করেছে, ছবিটি নিষিদ্ধ করার জন্য৷ তাদের অভিযোগ, ছবিতে তাদের ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে৷  

ছবিটি স্থানীয় ভাষায় তৈরি করা হয়েছে৷ ইংলিশ সাবটাইটেল থাকবে সঙ্গে৷ তবে ইংরেজি ভাষাতেও ছবিটি কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পাবে৷ শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে অ্যামেরিকায় ৷  

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ