1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইপিজেড-এ শ্রমিক সমিতি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৭ জুলাই ২০১৪

রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) শ্রমিকরাও এখন থেকে দর-কষাকষি করার জন্য সমিতি করার সুযোগ পাবেন৷ অর্থাৎ তাঁরা নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দর-কষাকষির জন্য শ্রমিক কল্যাণ সমিতি করতে পারবেন৷

Näherin Textilverarbeiterin Bangladesch billige Kleidung
ছবি: Reuters

সোমবার বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা ইপিজেড শ্রম আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়৷ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়৷

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ‘‘এই আইনের খসড়া অনুযায়ী সমিতির মাধ্যমে শ্রমিকদের দর-কষাকষি করার ক্ষমতা থাকবে৷ সমিতি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কারখানার ৩০ শতাংশ শ্রমিককে ইপিজেড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে৷ আর তারপর আবেদনকারীদের মধ্যে ভোট হবে৷ তাদের ৫০ শতাংশ যদি সমিতির পক্ষে থাকে, তাহলেই সমিতি হবে৷''

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইন হলে শ্রমিকদের অধিকার বাড়বে৷ তিনি জানান, ‘‘আইনটি বাংলাদেশ শ্রম আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, কিন্তু অভিন্ন নয়৷''

ইপিজেড শ্রম আইনের খসড়ার ১৬টি অধ্যায়ের ২০৪টি ধারায় শ্রমিকদের নিয়োগ, চাকরির শর্তাবলি, প্রসূতি সুবিধা, কাজের পরিবেশ, কর্মঘণ্টা, মজুরি, ইপিজেড-এর শ্রম আদালত গঠনসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে৷

গত বছরের এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসের পর শ্রমিক নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের বিশেষ করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার বিষয়টি সামনে আসে৷ সরকার এর আগে পোশাক কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের বিধান করলেও ইপিজেড এর বাইরে ছিল৷ তবে তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্রেতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি ফিরে পেতে ইপিজেড-এ ট্রেড ইউনিয়নের চাপ বাড়ছিল৷ ইপিজেড-এর বাইরে নতুন আইনে এখন পর্যন্ত ২৫০টি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা হয়েছে৷

তবে অভিযোগ রয়েছে যে, আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের অধিকার দেয়া হলেও নানাভাবে ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে৷ এছাড়া শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত না হতে কৌশলে চাপ দিচ্ছেন মালিক পক্ষ৷

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘ট্রেড ইউনিয়নের আবেদনের ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি আদায় করাই কঠিন হয়ে পড়ছে, কারণ তাঁরা চাকরি হারানোর ভয় পাচ্ছেন৷'' ইপিজেড এলাকায় এটা আরো কঠিন হবে বলে জানান তিনি৷

তিনি বলেন, ‘‘ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে সরকারের ইতিবাচক প্রচারণা দরকার৷ শ্রমিকদের মধ্যে এই আস্থা আনতে হবে যে ট্রেড ইউনিয়ন করলে হয়রানির শিকার হতে হবে না৷ শুধু তাই নয়, মালিকদেরও বুঝতে হবে যে ট্রেড ইউনিয়ন হলে তাঁদেরও সুবিধা৷ কারণ ট্রেড ইউনিয়ন হলে শ্রমিকরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাবি-দাওয়া আদায় করবে৷ আন্দোলনের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না৷''

সিরাজুল ইসলামের মতে, ‘‘ক্রেতা বা বিদেশিদের দেখানোর জন্য নয়, ট্রেড ইউনিয়নের ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে সরকারকে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ