বাংলাদেশের হাল আমলের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘চিরকুট’-এর সদস্য, গিটারিস্ট ইমন চৌধুরী৷ সম্প্রতি তাঁর কিছু চমৎকার যন্ত্রসংগীত মুগ্ধ করেছে লাখো সংগীতপ্রেমীকে৷ তাঁর প্রথম চমকটি ছিল গিটোলিন৷
বিজ্ঞাপন
গিটোলিন কী? গিটার ও ভায়োলিনের সমন্বয়কে গিটোলিন বলে৷ গত মার্চে এই দুইয়ের সমন্বয়ে একটি পূর্ণ মিউজিক ট্র্যাক করে এর ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন ইমন৷ পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘এখনো পর্যন্ত এই গিটার স্টাইলটি নিয়ে কোথাও সেভাবে পূর্ণাঙ্গ কাজ হয়নি বললেই চলে, চেষ্টা করেছি কিছু করার, ধন্যবাদ সৃষ্টিকর্তাকে সবকিছুর জন্য ...৷’’
সোয়া ৫ মিনিটের মতো দৈর্ঘ্যের ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইমন ভায়োলিনের বো দিয়ে গিটারে সুর তুলছেন৷ তাঁর সেই সুরের দ্যোতনায় মুগ্ধ সংগীতপ্রেমীরা ভিডিওটি সেদিন থেকেই লাইক, শেয়ার করতে থকেন, কমেন্টও করতে থাকেন ভিডিওতে৷ এ পর্যন্ত ২ লাখ ১৪ হাজার বার দেখা হয়েছে ভিডিওটি৷ শেয়ার হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশিবার৷
শ্রোতাদের এত ভালোবাসা পেয়ে উজ্জীবিত ইমন এর তিন মাস পর গত জুনে আবারো এক উপহার নিয়ে এলেন৷ এবার ছোট্ট একটি ট্র্যাক৷ সেখানে সেতার ও গিটারের সমন্বয়ে ‘লাভ অ্যান্ড পিস’ নামের একটি ট্র্যাক৷ অদ্ভুত সুন্দর সেই ট্র্যাকটিও ভালোবেসেছেন মানুষ৷ ইমন সেই পোস্টে লিখেছেন, ‘‘চেনা-অচেনা বহু মানুষের ভালোবাসা পাই সবসময়, সত্যি অবাক লাগে নিঃস্বার্থভাবে মানুষ এত ভালবাসে কিভাবে! জন্মদিনে সবার শুভকামনা পেয়ে সত্যি আমি খুব ধন্য, তাই ভালবাসাস্বরূপ সবার জন্য আমার এই ছোট্ট উপহার!’’
তাঁর ভিডিওতে কমেন্ট করেছেন হাজার হাজার শ্রোতা৷ একজন লিখেছেন, ‘‘অসাধারণ! হৃদয় ছুঁয়ে যায়৷’’ আরেকজন লিখেছেন, ‘‘আপনার নির্মিত সংগীতের স্বচ্ছতা এবং পরিমিতিবোধ ঈর্ষণীয়৷ গভীর কোনো বোধ থেকে এই মুর্ছনা উৎসারিত...৷’’
জেডএ/এসিবি
বিশ্ববিখ্যাত ব্যান্ডগুলোর ভাঙা-গড়া
যশ, অর্থ ও প্রতিপত্তি যখন তুঙ্গে থাকে, তখন অনেকেই তা ঠিক সামাল দিতে পারেন না৷ সে কারণেই যুগে যুগে বিখ্যাত সব ব্যান্ড ভেঙেছে৷ অনেকে ব্যান্ডের ছায়ায় না থেকে নিজের আলাদা ক্যারিয়ার গড়েছেন৷ ছবিঘরে দেখে নিন তারই এক ঝলক৷
ছবি: Getty Images/AFP
দ্য বিটলস
১৯৬৯ সালেই ব্যান্ড ছেড়ে দেন লেজেন্ড গায়ক জন লেনন৷ তবে ১৯৭০ সালে সতীর্থ পল ম্যাককার্টনি একক অ্যালবামের ঘোষণা দেয়ার আগ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি৷
ছবি: picture-alliance/AP
দ্য ঈগলস
১৯৮০ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ব্যান্ডের তকমা দ্য ঈগলসের গায়ে৷ মূল দুই সদস্য বার্নি লেডন ও রেন্ডি মাইজনার ব্যান্ড ছেড়ে দেন৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, দলের ভেতরের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে৷ কর্তৃত্ব আর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেদের দ্বন্দ্ব এতটাই চরমে পৌঁছে যায় যে, ১৪ বছর একসাথে থাকার পর ভেঙে যায় ব্যান্ডটি৷
ছবি: Imago/UnitedArchives
গানস অ্যান’ রোজেস
জনপ্রিয়তা আর বাণিজ্যিক সাফল্যের শিখরে থাকা অবস্থাতেই ভেঙে যায় গানস অ্যান’ রোজেস৷ গায়ক রোজ ও গিটরিস্ট স্ল্যাশের মধ্যকার দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছে৷ দু’জনেই আধিপত্য বজায় রাখতে গিয়ে ব্যান্ডটা ভেঙ্গে ফেলেন৷
ছবি: Imago/ZUMA Press
পিংক ফ্লয়েড
১৯৮৩ সালে প্রথম ভাঙে এই বিখ্যাত দলটি৷ দু’বছর পর আবার দলকে এক করার চেষ্টা করেন ডেভিড গিলমোর ও নিক মেসন৷ কিন্তু ব্যান্ডটির অমর সৃষ্টি ‘দ্য ওয়াল’ গানের মূল নায়ক রজার ওয়াটার্স নিজের একক ক্যারিয়ার নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন৷ শুধু তাই নয়, তিনি ব্যান্ডটি আবার একত্রিত হচ্ছে, তা-ও মেনে নিতে পারেননি৷ মামলা ঠুকে দেন অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে৷ পরে অবশ্য কোর্টের বাইরেই ফয়সালা হয়৷
ছবি: Reuters/S. Wermuth
স্পাইস গার্লস
গান ও মিউজিক ভিডিও দিয়ে লাখো তরুণের মন মাতানো স্পাইস গার্লসও এক থাকতে পারেনি৷ ১৯৮৮ সালে গ্যারি হ্যালিওয়েল (জিনজার স্পাইস) ঘোষণা দেন যে, তিনি বিশেষ কারণে দল ছেড়ে দিচ্ছেন৷ এরপর কিছুদিন একক ক্যারিয়ার চালিয়ে গেলেও দলটি বেশিদিন আর টিকতে পারেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Owen
দ্য এভারলি ব্রাদার্স
প্রায় দুই দশক গান গেয়ে পুরো পৃথিবী মাতান৷ এরপর তাঁদের মধ্যে কে বড়, তাই নিয়ে বাঁধে ঝগড়া৷ সেই ঝগড়ার কারণে দলটিই ভেঙে দিয়ে আলাদা আলাদা ক্যারিয়ার নিয়ে এগিয়ে যান৷
ছবি: Getty Images
ওয়েসিস
ব্যান্ডের দুই সহোদর গীতিকার নোয়েল ও লিয়াম গ্যালাঘারের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রায়ই সহিংস হয়ে উঠতো৷ যখন নোয়েল নিজের নাম ‘অলসো লিয়াম’-এ পরিবর্তন করলেন, তখন ব্যান্ডটিকে ধরে রাখা গেল না৷ ভেঙ্গে গেল৷
ছবি: AP
এন সিঙ্ক
ব্যান্ডটি বেশ ভালোই নাম কুড়িয়েছিল৷ কিন্তু অন্যতম সদস্য জাস্টিন টিম্বারলেক যখন ২০০২ সালে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম বের করলেন, তখনই শঙ্কায় পড়লো ব্যান্ডের ভবিষ্যৎ৷ এরপর ২০০৪ সালে ঘোষণা দিয়েই ব্যান্ড ছেড়ে বেরিয়ে এলেন টিম্বারলেক৷