মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পিও মধ্য এশিয়া সফরে গেলেন৷ তিনি বৃহস্পতিবার পৌঁছেছেন ইউক্রেনে৷ তাঁর এই সফরকে কুবই গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷
বিজ্ঞাপন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টপ্রস্তাব নিয়ে সেনেটে যখন আলোচনা চলছে, তখন ইউক্রেন সহ মধ্য এশিয়া সফরে গেলেন দেশের পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পিও ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর ইউক্রেন সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারণ, যে সব কারণে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হয়েছে, তার মধ্য়ে অন্যতম হল, ইউক্রেনের প্রাপ্য ৪০ কোটি ডলারের ঋণ আটকে রেখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৷ ঋণ দেওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিয়ের জিয়েলইয়েনস্কি ওপর শর্ত আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প ৷ বলা হয়েছিল, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের ছেলে হান্টার বিডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালু করতে হবে ৷ তাঁর প্রকাশিতব্য বইয়ে অ্যামেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন লিখেছেন, ''ট্রাম্পের শর্তই ছিল, ঋণ পেতে হলে বিডেনের বিষয়ে খবর দিতে হবে ৷'' হার্ভার্ডের রাশিয়ান অ্যান্ড ইউরেশিয়ান সার্ভিস সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ডিযার আউতালের মতে, ''পম্পিওর ইউক্রেন সফর হল ড্যামেজ কন্ট্রোল এক্সসারসাইজ বা ক্ষতি সামলানোর প্রয়াস ৷''
রাজনীতির বাইরে থেকে রাষ্ট্রের নেতৃত্বে
ইউক্রেনের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন কৌতুকাভিনেতা ভলোদিমিয়ের জিয়েলইয়েনস্কি৷ রাজনীতির বাইরে থেকে এসে রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার এমন নজির আছে বিশ্বব্যাপী৷ তাঁদের কেউ অভিনেতা, কেউ সংগীত শিল্পী কেউবা ছিলেন ধনী ব্যবসায়ী৷
ছবি: AFP/Getty Images/S. Supinsky
টিভি পর্দা থেকে বাস্তবে
ইউক্রেনের জনপ্রিয় একটি টেলিভেশন শো ‘সার্ভেন্টস অব দ্যা পিপল’৷ ভলোদিমির জেলেনস্কি সেখানে শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি বনে যান৷ পর্দার এই ঘটনাকেই এবার বাস্তবের মঞ্চে রূপ দিতে যাচ্ছেন জিয়েলইয়েনস্কি৷ প্রথম দফার নির্বাচনে তিনি রাষ্ট্রপতির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন৷ দেশব্যাপী জনপ্রিয় এই অভিনেতা নির্বাচনি প্রচারে নিজেকে ক্লাউন হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/S. Supinsky
চলচ্চিত্রের রাখাল বালক
ছবির মানুষটিকে চিনতে পেরেছেন? তিনি রোনাল্ড রেগান৷ ১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন৷ হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা থেকে যিনি রাজনীতিবিদ বনেছেন৷ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Keystone
সংগীত শিল্পীর কাঁধে রাষ্ট্রের ভার
১৯৮০’র দশকে হাইতিতে সংগীত শিল্পী হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান মিশেল মার্তেলি৷ পরিচিত ছিলেনে ‘সুইট মিকি’ নামে৷ চোখ ধাঁধানো পোশাক আর মঞ্চে প্যান্ট খুলে ফেলার জন্যও পরিচিত ছিলেন তিনি৷ ২০১১ থেকে ২০১৬ সালে এই মানুষটিই হাইতির রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান৷ ২০১০ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তাঁর নেতৃত্বেই আবারো ঘুরে দাঁড়ায় ক্যারিবীয় দেশটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. M. Casares
পিয়ানিস্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী
পোল্যান্ডের বিখ্যাত পিয়ানিস্ট ও কম্পোজার ইগনাৎসি ইয়ান হনাসে ইয়ান পাদ্যাব়্যাফস্কি৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পোলিশ ন্যাশনাল কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি৷ বিশ্বযুদ্ধের পর তাঁকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়৷ এসময় তিনি পোল্যান্ডের পক্ষে ভার্সাই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন৷ অবশ্য দায়িত্বের এক বছরের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেন পাদ্যাব়্যাফস্কি৷
ক্রিকেটের কিংবদন্তি
নিজে কিংবদন্তিতুল্য ক্রিকেটার ছিলেন৷ ১৯৯২ সালে দেশকে এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপের ট্রফি৷ ১৯৯৬ সালে গঠন করেন নিজের রাজনৈতিক দল৷ ২০১৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানে সরকার গঠন করেন৷ ইমরান খান বনে যান দেশটির প্রধানমন্ত্রী৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Holland
বিশ্বখ্যাত ফুটবলার
লাইবেরিয়ার ফুটবলার জর্জ উইয়াহ ইউরোপের বড় বড় ক্লাবের হয়ে মাঠে লড়েছেন৷ ১৯৯৫ সালে প্রথম কোনো আফ্রিকান হিসেবে ফিফা বর্ষসেরার খেতাব জেতেন৷ ফুটবল থেকে অবসরের পর যোগ দেন রাজনীতির মাঠে৷ ২০০৫ সালে ব্যর্থ হলেও লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ২০১৭ সালে৷
ছবি: picture-alliance/DPPI Media
কলঙ্কিত গণমাধ্যম টাইকুন
প্রথম জীবনে প্রমোদতরীতে পিয়ানোবাদক ও সংগীত শিল্পীর কাজ করে পড়াশোনার খরচ যোগাতেন৷ এরপর খ্যাতি কুড়ান আবাসন আর মিডিয়া টাইকুন হিসেবে৷ কুখ্যাতিও অর্জন করেছেন রাজনৈতিক দল করে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে৷ যদিও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েননি৷ ১৯৯৪ সাল থেকে চার দফা তিনি ইটালির সরকারপ্রধান ছিলেন৷
ছবি: Reuters
টিভি তারকা হোয়াইট হাউসে
১৯৭০ এবং ১৯৮০’র দশকেই আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক পরিচিতি পান ট্রাম্প৷ ২০০৩ সালে তিনি জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান ‘দি অ্যাপ্রেন্টিস’ এর সঞ্চালনা শুরু করেন৷ ২০১৫ সালে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের সুযোগ পান৷ নির্বাচনি প্রচারের চমক শেষ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পৌঁছে দিয়েছে হোয়াইট হাউসে৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
তরুণদের অনুপ্রেরণা
১৯৯৯ সালে সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন উগান্ডার ববি ওয়াইন৷ পরে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব আফ্রিকাতেই৷ ২০১৭ সাল থেকে উগান্ডার সংসদ সদস্য তিনি৷ দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে আসা ইয়োয়েরি মুসাভিনির বিরুদ্ধে তরুণদের তিনি সংগঠিত করতে পেরেছেন৷ তবে ২০২১ সালে তিনি বিতর্কিত নির্বাচনে মুসাভিনির কাছে হেরে যান৷
ছবি: AFP/Getty Images/I. Kasamani
9 ছবি1 | 9
পম্পিওর আগেই এই সফর করার কথা ছিল ৷ কিন্তু ট্রাম্প সে সময় সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ায় সফর পিছিয়ে দেন পম্পিও ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সফরে ইউক্রেনের জন্য কিছু ভালো খবর শোনাতে পারেন তিনি৷ অ্য়ামেরিকাতেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামলানোর ক্ষেত্রে যা সাহায্য করবে ৷ এখনও পর্যন্ত ১৭ জন আধিকারিক তাঁদের সাক্ষ্যতে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে চাপ দিয়ে তদন্ত শুরু করিয়েছিলেন ট্রাম্প ৷ কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সব দাবি উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ ৷ আউতাল মনে করেন, ''ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যদি বলেন, ট্রাম্প তাঁকে চাপ দেননি, তা হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অনেকটাই ভারমুক্ত হবেন ৷ রিপাবলিকানরা বলছেন, ট্রাম্পতদন্ত শুরুর চাপ দেওয়ার জন্য ঋণের টাকা বন্ধ করেননি ৷ ''
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পম্পিও কিয়েভে গিয়ে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও সংহতির ক্ষেত্রে পূর্ণ মার্কিন সমর্থনের কথা জানাবেন ৷ রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে লড়ে প্রাণ হারানো দেশপ্রেমীদের সম্মান জানাতে পম্পিও সেন্ট মাইকেল চার্চেও যাবেন ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনি ইউক্রেনকে মার্কিন সাহায্য দেওয়া নিয়েও কথা বলবেন ৷ ইউক্রেনের জন্য এই সাহায্য খুবই জরুরি ৷ কিয়েভের বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্সি খুশচ জানিয়েছেন, ''ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উচিত তাঁর অগ্রাধিকারের কথাটা জানানো ৷ অ্যামেরিকার সঙ্গে বানিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে কৌশলগত সম্পর্ক চায় ইউক্রেন ৷ ওয়াশিংটন সত্যিই ইউক্রেনের জন্য ভাবে, সেটা প্রমাণ করতে চাইবেন পম্পিও ৷ ''
ছবিতে রুশ-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব
কের্শ প্রণালী থেকে তিন ইউক্রেনীয় জাহাজ আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে৷ এই দ্বন্দ্ব আর শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, ইউরোপ ছাড়িয়ে এর উত্তাপ ছুঁয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Volskii
যেভাবে শুরু
ছবিতে দেখা যাচ্ছে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সাথে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের সংযোগ স্থাপনকারী সেতুর ওপর রুশ জেট বিমান উড়ছে৷ ইউক্রেনের তিন কার্গো জাহাজ আটকের পর এভাবেই মহড়া দেয় রুশ বিমানবাহিনী৷
ছবি: Reuters/P. Rebrov
আটক জাহাজ
ইউক্রেনের জাহাজ তিনটি কৃষ্ণ সাগর থেকে কের্শ প্রণালী হয়ে আজভ সাগরে যাচ্ছিল৷ এক চুক্তি অনুযায়ী কের্শ প্রণালীতে রাশিয়া ও ইউক্রেন, দুই দেশেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে৷ কিন্তু রাশিয়ার দাবি, বারবার সাবধান করা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সীমা লঙ্ঘন করে রাশিয়ার সীমানায় ঢুকে পড়েছিল জাহাজগুলো৷
ছবি: Reuters/A. Dmitrieva
আটক নাবিক
জাহাজগুলোতে থাকা নাবিকদের আটক করেছে রুশ নৌবাহিনী৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ক্রাইমিয়ার আদালতে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্রাইমিয়ার সিম্ফারপোলে আদালতে এক আটক ইউক্রেনীয় নাবিককে নিয়ে যাচ্ছেন রাশিয়ার এফএসবির নিরাপত্তা সদস্য৷
ছবি: Reuters/P. Rebrov
ইচ্ছাকৃত উসকানি!
আদালতে শুনানিতে ইউক্রেনের নাবিক ইউরি বুদসিলোকে তাঁর আইনজীবীর সাথে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে৷ পুরো ঘটনার জন্য ইউক্রেন রাশিয়াকে দায়ী করলেও রুশ সেনাবাহিনীর দাবি, বারবার সাবধান করা সত্ত্বেও রুশ জলসীমায় ঢুকে পড়ে ইউক্রেনের জাহাজ৷ এই বক্তব্যের সমর্থনে আটক নাবিকদের স্বীকারোক্তিও প্রচার করা হয়েছে রুশ গণমাধ্যমে৷ তবে ‘ভয় দেখিয়ে’ এমন কথা বলতে নাবিকদের বাধ্য করা হয়েছে, দাবি ইউক্রেনের৷
ছবি: Reuters/P. Rebrov
মার্শাল ল’
রাশিয়ার ‘অনভিপ্রেত’ ও ‘আগ্রাসী’ মনোভাবের কড়া জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেংকো৷ তাঁর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে রুশ সীমান্তের বেশ কিছু এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির পার্লামেন্ট৷ পাশাপাশি, আজভ সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে ন্যাটোকে আহ্বান জানিয়েছেন পোরোশেংকো৷
ছবি: Reuters/V. Ogirenko
প্রতিবাদ, বিক্ষোভ
জাহাজ আটকের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে৷ বিশেষ করে উগ্র ডানপন্থি দলগুলো আয়োজন করেছে বিক্ষোভ কর্মসূচির৷ কিয়েভে পার্লামেন্ট ভবন এবং রুশ দূতাবাসের সামনে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ডানপন্থিরা৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রুশ দূতাবাসে ইউক্রেনের পতাকা ওড়ানোর চেষ্টা করছেন এক বিক্ষোভকারী৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Gimanov
6 ছবি1 | 6
খুশচের এই কথা বলার কারণ, ন্যাশনাল পাবলিক ব্রডকাস্টার মেরি লুইসি কেলির সঙ্গে পম্পিওর সাম্প্রতিক ঝামেলা ৷ কেলির প্রশ্ন ছিল, ইউক্রেনের জন্য কতটা ভাবে অ্যামেরিকা? তার জবাবে পম্পিও কিছু বাছাই করা গালাগালি পর্যন্ত দিয়েছেন বলে কেলির অভিযোগ ৷ তাই একদিকে ইউক্রেনের জন্য যে তিনি ভাবেন, তা বোঝাতে হবে পম্পিওকে ৷ আর ট্রাম্পের বিপত্তারণ হয়ে উঠতে হবে ৷ কিয়েভ থেকে তিনি বেলারুশ ও দুটি মধ্য এশিয়ার অঞ্চল সফর করবেন ৷ এরপর পম্পিও যাবেন কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তান ৷ প্রতিটি জায়গাই অ্যামেরিকার বিদেশনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ এই অঞ্চলে রাশিয়া ও চীনের প্রভাব কমিয়ে অ্য়ামেরিকার প্রভাব বাড়ানোটাও তাঁর লক্ষ্য থাকবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷