পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিলো, ইমরান খানের দল বিদেশ থেকে বেআইনি অর্থ পেয়েছে। এর জেরে নিষিদ্ধ হতে পারে ইমরানের দল।
বিজ্ঞাপন
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দল পিটিআই জানিয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিএমএন-এলের প্রধান নওয়াজ শরীফ দাবি করেছেন, ইমরানের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া হোক। তিনি বলেছেন, প্রমাণ হয়ে গেছে, ইমরান খান হলেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চোর।
কমিশন কী জানিয়েছে?
অভিযোগ হলো, ইমরানের দল বিদেশ থেকে অর্থ পেয়েছে, যা পাকিস্তানের আইনের বিরোধী। পাকিস্তানের মিডিয়া জানিয়েছে, কমিশনের তিন সদস্যের ট্রাইবুন্যালের সিদ্ধান্ত হলো, ইমরানের দল ৩৪টি বিদেশি সংস্থা বা ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ পেয়েছে। তারা কমিশনের কাছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়ে ভুয়া হলফনামা দিয়েছে। তারা ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা গোপন করেছে। এই অ্যাকাউন্টের ঘোষণাও তাদের করা উচিত ছিল। তারা ইমরানের দল পিটিআইয়ের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে, কেন তাদের তহবিল সিজ করা হবে না?
পিটিআই জানিয়েছে, প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই বেআইনি নয়।
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ
ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে এসেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা৷ এমন ঘটনা নতুন নয় দক্ষিণ এশিয়ায়৷ এর আগেও ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় জনপ্রিয় ক্রিকেটারদের রাজনীতির ময়দানে দেখা গেছে৷ ছবিঘরে তেমন কয়েকজনকে দেখে নিই চলুন৷
ছবি: bdnews24.com
ইমরান খান
ক্রিকেটারদের মধ্যে রাজনীতিতে সবচেয়ে সফল ইমরান খান৷ ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতা পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ইমরান খান৷ ১৯৯৬ সালে যোগ দেন রাজনীতিতে৷ গঠন করেন রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ৷ ২০১৮-র সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়৷ তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Yam G-Jun
অর্জুনা রানাতুঙ্কা
শ্রীলঙ্কার ১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা৷ অবসর গ্রহণের পর তিনি লঙ্কান বোর্ডের নানা দায়িত্ব পালন করেন৷ ২০০১ সালে রাজনীতিতে আসেন শ্রীলঙ্কান ফ্রিডম পার্টিতে যোগ দেয়ার মাধ্যমে৷ সে বছর কলম্বো থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন৷ পরে শিল্প, পর্যটন ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন৷ এখন তিনি বন্দর ও নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী৷
ছবি: AFP/Getty Images
সনত জয়াসুরিয়া
সনত জয়াসুরিয়া সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারদের একজন৷ মাশরাফির আগে তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি খেলোয়াড় থাকা অবস্থাতেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন৷ ২০১০ সালে তিনি মাতারা’র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন৷ মাহিন্দা রাজাপাকশে’র মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন৷
ছবি: AP
কীর্তি আজাদ
কীর্তি ভগবত ঝা আজাদ ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন৷ ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলেও ছিলেন বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভগমত ঝা আজাদের পুত্র কীর্তি৷ তৃতীয়বারের মতো তিনি এখন লোকসভার নির্বাচিত সদস্য৷
ছবি: imago/Hindustan Times
নভজোত সিং সিধু
সিধু’র ১৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৮৩ সালে৷ ২০০৪ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন৷ বিজেপির হয়ে অমৃতসর থেকে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেন৷ জিতেও যান৷ ২০১৬ সালে তিনি দল থেকে রাজ্যসভার জন্য মনোনীত হলেও বিজেপি ত্যাগ করেন৷ ২০১৭ সালে যোগ দেন কংগ্রেসে৷ পূর্ব অমৃতসর থেকে নির্বাচনও জেতেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Ali
মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন
ভারতের এই সাবেক অধিনায়কের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু ১৯৮৪ সালে৷ ২০০৯ সালে তিনি ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসে যোগ দেন৷ উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ নানা কারণে ভারতের আলোচিত ক্রিকেটারদের একজন তিনি৷
ছবি: AP
বিনোদ কাম্বলি
শচীন টেন্ডুলকারের স্কুলের বন্ধু বিনোদ কাম্বলি৷ নিজে ভারত দলে খেলতেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে৷ বলিউডে অভিনয়ও করেছেন৷ পরে লোক ভারতী পার্টিতে যোগ দেন৷ ২০০৯ সালের নির্বাচনে মুম্বাইয়ের ভিখরোলি থেকে অংশ নিয়ে হেরে যান৷
ছবি: Imago/Hindustan Times
মনসুর আলী খান পতৌদি
পতৌদিকে বলা হয় ভারতের সেরা অধিনায়কদের একজন৷ তাঁর সময়ে মাঠের সেরা ফিল্ডারও ছিলেন তিনি৷ ১৯৯১ সালে ভোপাল থেকে কংগ্রেসের হয়ে জাতীয় নির্বাচনেও লড়েন তিনি৷ তবে হেরে যান৷
ছবি: dapd
নাঈমুর রহমান দুর্জয়
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়৷ তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন৷ ২০১৪ সালের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷
ছবি: Naimur Rahman Durjoy
মাশরাফি বিন মর্তুজা
জয়সুরিয়ার পর মাশরাফিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি খেলা অবস্থাতেই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন৷ তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন৷ নড়াইল-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Karanikos
10 ছবি1 | 10
কী হতে পারে?
আইন বিশেষজ্ঞ ওসামা মালিক ডিডাব্লিউকে বলেছেন, পাকিস্তান সরকার এখন পিটিআই-কে বিদেশি অর্থে চলা রাজনৈতিক দল হিসাবে ঘোষণা করতে পারে। তবে তাদের সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিষয়টি পাঠাতে হবে। সর্বোচ্চ আদালত ১৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। মালিক জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিটিআই আদালতে যেতে পারে।
এবার কী হবে?
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার পর ইমরান খান দেশজুড়ে প্রচার চালিয়ে বলেছিলেন, শাহবাজ শরীফ সরকারকে বিদেশি শক্তিগুলি ক্ষমতায় এনেছে। তিনি বিদেশি শক্তির বিরোধিতা করেছিলেন বলে ক্ষমতা হারাতে হয়েছিল।
পাকিস্তানের কোন প্রধানমন্ত্রী কতদিন ক্ষমতায় ছিলেন
পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী তাদের ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি৷ নির্ধারিত মেয়াদের আগেই নানা কারণে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়েছে তাদের৷ ইমরান খান ছিলেন ২২তম প্রধানমন্ত্রী৷
ছবি: STF/AFP/GettyImages
লিয়াকত আলী খান: ৪ বছর, ২ মাস
লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী৷ ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট নির্বাচিত হন৷ ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন৷ মৃত্যুর আগে ৪ বছর ২ মাস প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷
ছবি: Wikipedia/US Department of State
খাজা নাজিমুদ্দিন: ১ বছর ৬ মাস
লিয়াকত আলী খান নিহত হওয়ার একদিন পর ১৯৫১ সালের ১৭ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করেন খাজা নাজিমুদ্দিন৷ ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল নাজিমুদ্দিনকে গভর্নর জেনারেল প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন৷
ছবি: Douglas Miller/Keystone/Hulton Archive/Getty Images
মোহাম্মদ আলী বগুড়া: ২ বছর ৩ মাস
১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী বগুড়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন৷ কিন্তু, ১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি৷
ছবি: gemeinfrei/wikipedia
চৌধুরী মোহাম্মদ আলী: ১ বছর ১ মাস
১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট পাকিস্তানের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হন তিনি৷ ১৯৫৬ সালের সংবিধানে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য পাকিস্তানে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর নাম এখনো উচ্চারিত হয়৷ কিন্তু, ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দলের সদস্যদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি পদত্যাগ করেন৷
ছবি: akg images/picture alliance
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী: ১ বছর, ১ মাস
১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন তিনি৷ কিন্তু, ইস্কান্দার মির্জার সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর পদত্যাগ করেন৷
ছবি: gemeinfrei/Wikipedia
ইব্রাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগার: ২ মাসের কম
ইব্রাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগার ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন৷ ১৬ই ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন তিনি৷
ছবি: gemeinfrei/wikimedia
মালিক ফিরোজ খান নুন: ১০ মাসের কম
১৯৫৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর ফিরোজ খান নুনকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে উন্নীত করেন ইস্কান্দার মির্জা৷ কিন্তু, ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক আইন জারির সময় নুনকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করেন৷
ছবি: Fox Photos/Hulton Archive/Getty Images
নুরুল আমিন: ১৩ দিন
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর দীর্ঘ ১৩ বছর সামরিক আইন জারির পর স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খানের প্রশাসনের অধীনে নুরুল আমিনকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়৷ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজয়ের পর ২০ ডিসেম্বর আমিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷
ছবি: gemeinfrei/wikipedia
জুলফিকার আলী ভুট্টো, ৩ বছর ১১ মাস
১৯৭৩ সালের ১৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হন তিনি৷ তিনি ১৯৭৭ সালে পুনরায় সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন৷ কিন্তু, সামরিক অভ্যুত্থানের পর তিনি কারাবন্দি হন এবং ১৯৭৯ সালে ৫ জুলাই ফাঁসি হয় তার৷
ছবি: imago/ZUMA/Keystone
মুহাম্মদ খান জুনেজো: ৩ বছর, ২ মাস
মুহাম্মদ খান জুনেজো ১৯৮৫ সালের ২৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷ তবে, ১৯৮৮ সালের ২৯ মে জুনেজোর সরকার বরখাস্ত করা হয়৷
ছবি: Sven Simon/IMAGO
বেনজির ভুট্টো: ১ বছর ৮ মাস
জুলফিকার আলী ভুট্টোর মেয়ে বেনজির ভুট্টো ১৯৮৮ সালের ২ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন৷ ১৯৮৯ সালে তার দল অভিশংসন থেকে বেঁচে যায়৷ কিন্তু, ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি গুলাম ইসহাক খান তাকে সরিয়ে দেন৷
ছবি: ZUMA Wire/IMAGO
নওয়াজ শরীফ: ২ বছর, ৭ মাস
১৯৯০ সালের ৬ নভেম্বর দায়িত্ব নেন তিনি৷ কিন্তু, ১৯৯৩ সালে আবারও রাষ্ট্রপতি গুলাম ইসহাক খান একটি নির্বাচিত সরকারকে বরখাস্ত করেন৷ পরে সুপ্রিম কোর্ট শরীফের সরকারকে পুনর্বহাল করেন৷ কিন্তু, ১৯৯৩ সালের ১৮ জুলাই নওয়াজ শরীফ এবং গুলাম ইসহাক খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/K. M. Chaudary
নওয়াজ শরীফ: ২ বছর, ৮ মাস
১৯৯৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হন৷ তবে, ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন৷
ছবি: K.M. Chaudary/AP/dpa/picture alliance
মীর জাফরুল্লাহ খান জামালি: ১ বছর, ৭ মাস
২০০২ সালের নভেম্বরে জাফরুল্লাহ খান জামালি স্বৈরশাসক পারভেজ মোশারফের অধীনে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন৷ কিন্তু, ২০০৪ সালের ২৬ জুন মোশাররফ তাকে বরখাস্ত করেন৷
ছবি: Aamir Qureschi/AFP
চৌধুরী সুজাত: ২ মাস
চৌধুরী সুজাত ২০০৪ সালের ৩০ জুন পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হন৷ শওকত আজিজ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সুজাত৷
ছবি: Bilawal Arbab/dpa/picture alliance
শওকত আজিজ, ৩ বছর ২ মাস
শওকত আজিজ ২০০৪ সালের ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন৷ পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ করে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি দায়িত্ব ত্যাগ করেন৷
ছবি: Yu Jie/HPIC/picture alliance
ইউসুফ রাজা গিলানি: ৪ বছর, এক মাস
২০০৮ সালের ২৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী হন৷ তার দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন অর্জন করে৷ কিন্তু, ২০১২ সালে শীর্ষ আদালত অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷
ছবি: AP
রাজা পারভেজ আশরাফ: ৯ মাস
পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকারের অবশিষ্ট মেয়াদ শেষ করতে গিলানির কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজা পারভেজ আশরাফ৷ ২০১২ সালের ২২ জুন থেকে ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন৷
ছবি: dapd
নওয়াজ শরীফ: ৪ বছর, ২ মাস
২০১৩ সালের ৫ জুন তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন তিনি৷ পাকিস্তানের পূর্ববর্তী সব প্রধানমন্ত্রীর তুলনায় এখন পর্যন্ত তিনি সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক অভিশংসিত হওয়ার আগে তিনি ৪ বছর ৫৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন৷
ছবি: Reuters/F. Mahmood
শাহীদ খাকান আব্বাসি: ১ বছরের কম
নওয়াজ শরীফকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে শাহীদ খাকান আব্বাসিকে ২১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ ২০১৭ সালের আগস্টে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ কিন্তু, ২০১৮ সালের ৩১ মে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়৷ কারণ নতুন নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়৷
ছবি: Reuters/J. Moon
ইমরান খান: ৩ বছর ৭ মাস
২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ইমরান খান৷ ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান ইমরান খান৷
ছবি: Anjum Naveed/AP/dpa/picture alliance
21 ছবি1 | 21
ইতিমধ্যে পাকিস্তানে জিনিসের দাম হুহু করে বেড়েছে। বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। রুপির দাম কমেছে, ঋণের বোঝায় দেশের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শাহবাজ শরিফ সরকারের হাতে একটা অস্ত্র এসে গেল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। নির্বাচন কমিশনের রায়ের ফলে ইমরান খানের অবস্থা খারাপ হবে বলে ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা মনে করছেন।