পাকিস্তানে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়ে ভোটের সিদ্ধান্ত এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। সেনা জানিয়েছে, তারা রাজনীতিতে নেই।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানে রোববার নাটকীয় পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেয়া হয়েছে। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ডেপুটি স্পিকার খারিজ করে দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রস্তাব মেনে নিয়ে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়ে ভোটের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এরপরই বিষয়টি গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর বান্দিয়াল জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সব নির্দেশ খতিয়ে দেখতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওই কথা বলেছেন। বর্তমান অবস্থা বলতে, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেয়া ও তারপর ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেয়াই বুঝিয়ছেন মুখপাত্র। মামলার বিচার করছেন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
সংবাদপত্র ডন জানাচ্ছে, প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের পর আইনজীবী আসাদ রহিম বলেছেন, আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেয়ার বিষয়টি ঝুলে রইল।
ইমরান খান: জানা-অজানা কিছু তথ্য
ইমরান খান পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দলের একসময়ের অধিনায়ক আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী৷ ছবিঘরে থাকছে তাঁর সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Rousseau
পুরো নাম
ইমরান খান নামেই সবার কাছে পরিচিত তিনি৷ কিন্তু তাঁর পুরো নাম কি জানেন? আহমেদ খান নিয়াজী ইমরান হচ্ছে তাঁর পারিবারিক নাম৷
ছবি: Reuters/C. Firouz
খেলা শুরু
১৯৫২ সালের ৫ অক্টোবর লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন ইমরান খান৷ ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট ছিলেন ইমরান৷ ১৯৬৮ সালে ষোল বছর বয়সে লাহোরের হয়ে সারগোরার বিরুদ্ধে প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Dinodia Photo Library
জাতীয় দলে ডাক
ক্রিকেটের প্রতি ইমরান খানের আগ্রহ এবং লেগে থাকাই তাঁকে দ্রুত স্থান করে দেয় পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলে৷ ১৯৭০ সালে যখন দলে ডাক পান, তখনও তাঁর পড়াশোনাই শেষ হয়নি৷
ছবি: Getty Images
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়
বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন বলা হয় তাঁকে৷ তাঁর অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয় করে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Holland
রাজনীতি
১৯৯৬ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন ইমরান৷ গঠন করেন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি৷ গত নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এবার অন্যদের পেছনে ফেলে তাঁর দল উঠে এসেছে শীর্ষে৷
ছবি: Aamir QureshiAFP/Getty Images
ব্যক্তিগত জীবন
শুধু খেলা বা রাজনীতি নয়, ব্যক্তি জীবনের নানা খবর দিয়েও বরাবরই সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ইমরান খান৷ ৬৫ বছর বয়সে তৃতীয়বার বিয়ে করেন ইমরান৷ ভবিষ্যতবক্তা বুসরা মানেকার আগে ব্রিটিশ সেলিব্রেটি জেমিমা গোল্ডস্মিথ এবং পাকিস্তানি টিভি অ্যাংকর রেহাম খান ইমরানের স্ত্রী ছিলেন৷
ছবি: PIT
অভিযোগের পাহাড়
নির্বাচনের ঠিক আগে আগে ইমরানের দ্বিতীয় স্ত্রী রেহাম খান তাঁর আত্মজীবনীতে ইমরানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ আনেন৷ রেহামের অভিযোগ, ইমরানের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়ালেই কেবল নারীরা দলে বড় পদ পেতে পারেন৷
ছবি: Facebook/Imran Khan Official
পাকিস্তানের ট্রাম্প!
ইমরান খানকে অনেকেই পপুলিস্ট বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন৷ জঙ্গিবাদের প্রতি তাঁর উদার দৃষ্টিভঙ্গীরও সমালোচনা করেন অনেকে৷ ধারণা করা হয় তালেবানের মতো বেশকিছু উগ্রপন্থি দলের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলেন ইমরান৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B.K. Bangash
অ্যামেরিকার সমালোচক
সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অ্যামেরিকার ভূমিকা এবং তাতে পাকিস্তানের অংশগ্রহণের বড় সমালোচক ইমরান৷ পাকিস্তানের অনেক সমস্যার পেছনে দেশটির অ্যামেরিকাপ্রীতিই বড় কারণ বলে একাধিক বক্তব্যে বলেছেন তিনি৷
ছবি: YouTube/PTI Scotland
দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান
দুর্নীতির বিরুদ্ধে বরাবরই সরব ইমরান খান৷ বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ছিলেন তাঁর আক্রমণের মূল লক্ষ্য৷ লন্ডনে বাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার সাজায় নওয়াজ শরীফ ও তাঁর মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ এখন পাকিস্তানের কারাগারে আছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Mughal
তরুণদের মন জয়
পাকিস্তানের তরুণদের মন দ্রুতই জয় করে নিয়েছেন ইমরান খান৷ তাঁর ‘নতুন পাকিস্তান’ স্লোগান তরুণ প্রজন্মের মুখে মুখে৷ ২০১২ সালে এশিয়া সোসাইটির জরিপে ‘এশিয়া’স পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন ইমরান৷
ছবি: AP
11 ছবি1 | 11
ইমরান খান
ইমরান খানকেই কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে প্রেসিডেন্ট সচিবালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বলা হয়েছে, সংবিধানের ২২৪এ(৪) অনুচ্ছেদ অনুসারে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জিও টিভি জানাচ্ছে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেয়ার পর ইমরান খানও আর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট টুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ইমরানই কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
রোববার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট একটি নির্দেশ দেয়। সেখানে অবশ্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বর্তমান অবস্থা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সেখানে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নোটিস দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, সংবিধানের পাঁচ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা বলে যে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেয়া হয়েছে, সেই সিদ্ধান্ত কতটা সাংবিধানিক?
পাঁচ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিককে সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকতে হবে, প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা।
নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, কোনো রকম অভিযোগ নথিবদ্ধ করা হয়নি, অন্যদের কথাও শোনা হয়নি। বিচারপতিরা বলেছেন, আমরা এটাও খতিয়ে দেখতে চাই, এভাবে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করা কি সংবিধানের ৬৯ অনুচ্ছেদের মধ্যে পড়ে? ৬৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে পার্লামেন্টের ভিতরের সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালত কিছু করতে বা বলতে পারে না।
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ
ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে এসেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা৷ এমন ঘটনা নতুন নয় দক্ষিণ এশিয়ায়৷ এর আগেও ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় জনপ্রিয় ক্রিকেটারদের রাজনীতির ময়দানে দেখা গেছে৷ ছবিঘরে তেমন কয়েকজনকে দেখে নিই চলুন৷
ছবি: bdnews24.com
ইমরান খান
ক্রিকেটারদের মধ্যে রাজনীতিতে সবচেয়ে সফল ইমরান খান৷ ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতা পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ইমরান খান৷ ১৯৯৬ সালে যোগ দেন রাজনীতিতে৷ গঠন করেন রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ৷ ২০১৮-র সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়৷ তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Yam G-Jun
অর্জুনা রানাতুঙ্কা
শ্রীলঙ্কার ১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা৷ অবসর গ্রহণের পর তিনি লঙ্কান বোর্ডের নানা দায়িত্ব পালন করেন৷ ২০০১ সালে রাজনীতিতে আসেন শ্রীলঙ্কান ফ্রিডম পার্টিতে যোগ দেয়ার মাধ্যমে৷ সে বছর কলম্বো থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন৷ পরে শিল্প, পর্যটন ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন৷ এখন তিনি বন্দর ও নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী৷
ছবি: AFP/Getty Images
সনত জয়াসুরিয়া
সনত জয়াসুরিয়া সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারদের একজন৷ মাশরাফির আগে তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি খেলোয়াড় থাকা অবস্থাতেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন৷ ২০১০ সালে তিনি মাতারা’র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন৷ মাহিন্দা রাজাপাকশে’র মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন৷
ছবি: AP
কীর্তি আজাদ
কীর্তি ভগবত ঝা আজাদ ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন৷ ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলেও ছিলেন বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভগমত ঝা আজাদের পুত্র কীর্তি৷ তৃতীয়বারের মতো তিনি এখন লোকসভার নির্বাচিত সদস্য৷
ছবি: imago/Hindustan Times
নভজোত সিং সিধু
সিধু’র ১৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৮৩ সালে৷ ২০০৪ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন৷ বিজেপির হয়ে অমৃতসর থেকে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেন৷ জিতেও যান৷ ২০১৬ সালে তিনি দল থেকে রাজ্যসভার জন্য মনোনীত হলেও বিজেপি ত্যাগ করেন৷ ২০১৭ সালে যোগ দেন কংগ্রেসে৷ পূর্ব অমৃতসর থেকে নির্বাচনও জেতেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Ali
মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন
ভারতের এই সাবেক অধিনায়কের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু ১৯৮৪ সালে৷ ২০০৯ সালে তিনি ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসে যোগ দেন৷ উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ নানা কারণে ভারতের আলোচিত ক্রিকেটারদের একজন তিনি৷
ছবি: AP
বিনোদ কাম্বলি
শচীন টেন্ডুলকারের স্কুলের বন্ধু বিনোদ কাম্বলি৷ নিজে ভারত দলে খেলতেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে৷ বলিউডে অভিনয়ও করেছেন৷ পরে লোক ভারতী পার্টিতে যোগ দেন৷ ২০০৯ সালের নির্বাচনে মুম্বাইয়ের ভিখরোলি থেকে অংশ নিয়ে হেরে যান৷
ছবি: Imago/Hindustan Times
মনসুর আলী খান পতৌদি
পতৌদিকে বলা হয় ভারতের সেরা অধিনায়কদের একজন৷ তাঁর সময়ে মাঠের সেরা ফিল্ডারও ছিলেন তিনি৷ ১৯৯১ সালে ভোপাল থেকে কংগ্রেসের হয়ে জাতীয় নির্বাচনেও লড়েন তিনি৷ তবে হেরে যান৷
ছবি: dapd
নাঈমুর রহমান দুর্জয়
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়৷ তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন৷ ২০১৪ সালের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷
ছবি: Naimur Rahman Durjoy
মাশরাফি বিন মর্তুজা
জয়সুরিয়ার পর মাশরাফিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি খেলা অবস্থাতেই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন৷ তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন৷ নড়াইল-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Karanikos
10 ছবি1 | 10
আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে
প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন কোনোভাবেই খারাপ না হয়। সব রাজনৈতিক দল যেন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। তিনি জানিয়েছেন, কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বা মন্ত্রক যেন অসাংবিধানিক পদক্ষেপ না নেয়। তারা যেন পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা না করে। তিনি জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সচিব যেন আদালতকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা জানান।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি(পিপিপি)-র আবেদন গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আদালত ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখবে। তবে ডেপুটি স্পিকারকে সাসপেন্ড করে দেয়ার আবেদন তিনি খারিজ করে দিয়েছেন।
সেনার বক্তব্য
পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। সেনার মুখপাত্র শুধু জানিয়েছেন, সেনা রাজনীতির মধ্যে নেই।