ইমলিশের ইউগেন্ট কাফে- যেখানে শিশুরা আসে স্কুলের পরে
৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮স্কুলের পরে এখানে শিশুরা আসে, এখানে তাদের হোম ওয়ার্ক করতে সহায়তা করা হয় এছাড়া শিশুরা এখানে নানা ধরনের খেলাধুলা করে৷ এই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করছেন বাংলাদেশের মেয়ে লায়লা খালেদ পূর্বা৷
প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে পূর্বা জানান, এটি জার্মান যুব মন্ত্রনালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান৷ পরিবার ও স্কুলের পরে শিক্ষা এবং তাদের অবসর সময় কাটানোর জন্য আসতে পারে৷ বাচ্চারা আসে স্কুলের পরপরই৷ লাঞ্চ শেষ করে ওরা দুপুর তিনটা পর্যন্ত হোমওয়ার্ক করে৷ স্কুলের হোম ওয়ার্ক করতে আমরা সাহায্য করি৷ তাদের যদি বুঝতে অসুবিধা হয়, তাহলে আমরা পড়াটা বুঝিয়ে দিই৷
তিনি জানান, এরপর শিশুরা এখানে নানা ধরনের খেলায় মেতে ওঠে৷ আমরা সবাই মিলে খেলা করি৷
বাংলাদেশের শিশুদের সঙ্গে জার্মান শিশুদের পার্থক্যের বিষয়ে পূর্বা জানান, এখানকার শিশুরা সুবিধা পায়৷ অর্থনৈতিক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে বা সৃষ্টিশীল কাজের দিক থেকে এরা অনেক বেশী সুবিধা পায়৷ আর বাংলাদেশের শিশুরা সুবিধা বঞ্চিত৷ তিনি জানান প্রায় এক বছর যাবত জার্মান শিশুদের সঙ্গে কাজ করছেন৷
তিনি জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে যে সব বাচ্চারা আসে তাদের চার ভাগের তিন ভাগ বাচ্চা জার্মান৷ আর এক ভাগ অন্য দেশ থেকে এখানে আসা বাচ্চা৷ দুই ধরনের বাচ্চার পারিবারিক এবং সামাজিক অবস্থান ভিন্ন৷ এ ক্ষেত্রে আমাদের ইউগেন্ট কাফে দুই পরিবেশের বাচ্চাদের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন তৈরী করে৷
তিনি বলেন, মাঝে মাঝে অনেক বাচ্চা নানা সমস্যা নিয়ে আসে৷ আমরা এ সব অবস্থা বুঝে তার সঙ্গে বন্ধুর মত আচরণ করি৷ তারা তাদের সমস্যাগুলো নির্ভয়ে আমাদেরকে বলে৷ সে সমস্যা সমাধানে তাদের পরিবার অথবা তার স্কুল কিংবা অনেক সময় মন্ত্রনালয়ের সহায়তা নেয়া হয়৷