1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইমার্সিভ আর্টের জগতে দর্শকরাই স্রষ্টা

১১ এপ্রিল ২০২৪

মিউজিয়াম বা আর্ট গ্যালারিতে গিয়ে শিল্পকর্ম দেখার শখ অনেকেরই আছে৷ আজকের ডিজিটাল যুগে শিল্পকর্মের মধ্যে নিমগ্ন হওয়ার অভিজ্ঞতাও আর বিরল নয়৷ জাপানে এক গোষ্ঠী দর্শক ও শিল্পকর্মের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ব্যবস্থা করেছে৷

জাপানে টিমল্যাবের মিউজিয়াম
এই ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্ম আসলে একাধিক গোলক দিয়ে তৈরি, যেগুলি সঞ্চালন অনুযায়ী আলো সৃষ্টি করে৷ কোনো মানুষ গোলকের কাছে গেলে বাবল আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং সেই আলো সবচেয়ে কাছের বাবলে ছড়িয়ে পড়ে৷ অন্যান্য সঞ্চালনের কারণে সৃষ্ট আলোর সঙ্গে সেই আলোর মেলবন্ধন ঘটেছবি: Pan Zhiwang/HPIC/dpa/picture alliance

‘টিমল্যাব বর্ডারলেস' ঠিক সশরীরে যাওয়ার জগত নয়, বরং উপলব্ধি করার জায়গা৷ টোকিও শহরের সেই মিউজিয়ামে ডিজিটাল আর্ট প্রদর্শিত হয়৷ শিল্পকর্মের সামনে না দাঁড়িয়ে অতিথিদের তার ভেতরে যেতে আমন্ত্রণ জানানো হয়৷

সেই ইমার্সিভ ইনস্টলেশন-কে ‘বাবল ইউনিভার্স' বলা হয়৷ দর্শক নড়াচড়া করলেই সেই জগত জীবন্ত হয়ে ওঠে৷ শারীরিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই শিল্পীর কনসেপ্ট ও দর্শনের অভিব্যক্তির স্বাদ পাওয়া যায়৷ টিম ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা তোশিউকি ইনোকো বলেন, ‘‘মানুষ মনে করে, জগতে বিচ্ছিন্ন সত্তা রয়েছে যেগুলির নিজস্ব স্বাধীন অস্তিত্বও রয়েছে৷ টিমল্যাব বর্ডারলেসের আওতায় আমরা শিল্পকর্মের মাধ্যমে এক অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করতে চাই৷ সেখানে পৃথিবী আসলে অবিচ্ছিন্ন৷ পৃথিবীর সেই ধারাবাহিকতাকে সুন্দর হিসেবে অনুভব করা যায়৷''

সেই প্রযুক্তির ফল হিসেবে দর্শকরা শুধু পর্যবেক্ষক থাকেন না৷ তারা শিল্পকর্মে অবদানও রাখেন৷ তোশিউকি ইনোকো বলেন, ‘‘আমার মতে, যেখানে অন্য মানুষের উপস্থিতি শিল্পকর্ম বদলে দেয় এবং আপনার মধ্যেও কোনো ধরনের পরিবর্তন আনে, সেখানে শিল্পকর্ম ও আপনার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ অন্যান্য মানুষ এমন অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে ধারাবাহিকতার একটা আবহ অনুভব করা যায়৷''

জাপানের ডিজিটাল আর্ট

04:13

This browser does not support the video element.

টোকিওয় টিমল্যাবের স্টুডিওতে শিল্পীরা নতুন ইমার্সিভ সৃষ্টিকর্ম ডিজাইন করে চলেছেন৷ বৈচিত্র্যে ভরা সেই টিম শিল্প সৃষ্টির নতুন উপায় নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালোবাসে৷ টিমল্যাবের মুখপাত্র তাকাশি কুদো জানান, ‘‘টিম ল্যাব বিশেষজ্ঞদের এক গোষ্ঠী৷ আমরা হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, থ্রিডি অ্যানিমেটর, স্থপতি, গণিতবিদ, অ্যালগোরিদম বিশেষজ্ঞ, নানা ধরনের প্রোগ্রামার, উদ্ভিদবিদ ইত্যাদি৷ আমরা নানা মিডিয়া, মনিটর, প্রোজেক্টর, এলইডি, রোবটিক্স – অনেক কিছু ব্যবহার করি৷ আমরা কিছু সৃষ্টির চেষ্টা করি৷''

ইমার্সিভ আর্ট জগতে টিমল্যাবই একমাত্র ‘প্লেয়ার' নয়৷ আরো বেশি শিল্পী, গ্যালারি ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ইমার্সিভ আর্ট প্রকল্প সৃষ্টি করছে৷ জাপাানি ফটোগ্রাফার মিকা নিনাগাওয়া তাঁদেরই একজন৷

প্রশ্ন হলো, ইমার্সিভ আর্ট কেন এত মানুষকে আলোড়িত করে? উত্তরে কিউরেটর ও ইতিহাসবিদ হিসেবে চোগাকাটে কাজারিয়ান বলেন, ‘‘আমার মতে, অতীতের তুলনায় আমরা শিল্পের ক্ষেত্রে অনেকটা অলস হয়ে পড়েছি৷ গভীর চিন্তা ও সংলাপের লক্ষ্যে আমাদের উদ্যম অনেক কমে গেছে৷ ঐতিহ্যবাহী শিল্পের রূপের ক্ষেত্রে আমাদের শিল্পকর্মের কাছে যেতে হয়৷ অন্যদিকে এমন ইমার্সিভ চমকের ক্ষেত্রে শিল্পকর্মই আমাদের কাছে আসছে, আমাদের নিমগ্ন করছে৷ দ্বিতীয় কারণটা সাম্প্রতিক৷ সেটা হলো সোশাল মিডিয়া৷ এই সব শিল্পকর্ম ইনস্টাগ্রামের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত৷ সেই প্রেক্ষাপটে একটা তৃতীয় কারণও রয়েছে৷ আমার মতে, সেটা হলো কোভিড৷ আমরা সে সময়ে বাস্তব জগত থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় স্বাভাবিক অনুভূতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম৷ সবকিছু ফ্ল্যাট স্ক্রিনের উপর ঘটছিল৷ তাই আমার মনে হয় বাইরে বেরিয়ে আমাদের গোটা শরীর নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের তাগিদ জন্মাচ্ছিল৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ