অধিকাংশ শরণার্থীর মতো আলীও জার্মানিতে এসেছেন মূলত প্রাণ বাঁচাতে৷ ভাগ্যটা ভালো, এসেই পেয়ে যান লেনা নামের এক জার্মান তরুণীর দেখা৷ বাকিটা বানিজ্যিক চলচ্চিত্রের গল্পের মতো৷ আলী আর লেনা এখন বিয়ে করে সংসার পাতার অপেক্ষায়৷
বিজ্ঞাপন
২০১৫ সালে সিরিয়া, ইরাক এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে প্রায় ১১ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছে জার্মানিতে৷ এমন জনস্রোত সামলাতে গিয়ে দেখা দিয়েছে সংকট৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এমন সংকটে আর পড়েনি৷ ইউরোপের জন্যও এ এক মহাসংকট৷ সংকট নিরসনের উদ্যোগ হিসেবে ইউরোপে শরণার্থীদের আসার পথ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হতে পারে৷
কিন্তু আলী আর লেনার প্রেমের গল্প শুনলে অনেকেই হয়ত চাইবেন জার্মানিতে যত খুশি শরণার্থী আসুক৷ আগমনে যদি আরো অনেক মানবমানবীর সুমধুর মিলনের গল্প জমে, মন্দ কী!
আলী জার্মানিতে এসেছেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে৷ ইরাক থেকে তুরস্ক, তুরস্ক থেকে রাবারের নৌকায় বলকান অঞ্চল হয়ে গ্রিসে, গ্রিস থেকে মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি আর অস্ট্রিয়া ঘুরে অবশেষে যেদিন মিউনিখে এলেন প্রাণশক্তি বলতে কিছু আর ছিলনা৷ মিউনিখ থেকে ট্রেনে বার্লিন পৌঁছে শরীর চলছিলই না৷
বার্লিন কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনেই ‘শরণার্থীদের স্বাগতম' লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন লেনা৷ সঙ্গে কয়েকজন বন্ধুও ছিল৷ সদ্য আসা শরণার্থীদের কোনোভাবে সহায়তা করতেই রেল স্টেশনে গিয়েছিলেন তাঁরা৷
ইউক্রেনীয়-রুশি প্রেমকাহিনী
ইউক্রেন আর রাশিয়ার সংঘাত দু’দেশের মানুষকে পরস্পরের কাছ থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে৷ তবে দম্পতি আর প্রেমিক-প্রেমিকারা সেতুবন্ধনের কাজ করে চলেছেন ঠিক আগের মতোই৷
ছবি: Oksana Yushko
আর্টুর আর অক্সানা
‘আমি (এই ছবিঘরের স্রষ্টা) নিজে রুশি৷ আর্টুর হলো ইউক্রেনীয়৷ তিন বছর আগে একটা ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপ করার সময় আমাদের বন্ধুত্ব হয়৷ তারপর বিদেশে৷ সবশেষে আর্টুর মস্কোয় এসে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়৷ আজ আমার একসঙ্গে থাকি, বিদেশে যাই, রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনে গিয়ে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করি৷’
ছবি: Oksana Yushko
অল্গা আর ভ্লাদিমির
ভ্লাদিমির একজন আধুনিক শিল্পী, অল্গা ব্যালেরিনা৷ অল্গার জন্ম ইউক্রেনের কিরোভোগ্রাদস্কায়া অঞ্চলে৷ ওরা ওদের সদ্যোজাত শিশুসন্তান নিয়ে রাশিয়ার খিমকিতে থাকে৷ এক বন্ধু ফেসবুকে অক্সানার ছবি পোস্ট করার পর অল্গা আর ভ্লাদিমিরই প্রথম তাদের ছবি তুলতে দিতে রাজি হয়৷
ছবি: Oksana Yushko
ইউলিয়া আর এডিক
ইউলিয়ার জন্ম ইউক্রেনে আর এডিক-এর জন্ম রাশিয়ায়৷ দু’জনেই পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস এলাকা থেকে উদ্বাস্তু৷ আজ ওদের চার বছরের ছেলে দিমাকে নিয়ে ওরা থাকে মস্কোয়৷ দিমার কথা ভেবেই ওরা যুদ্ধ থেকে পালিয়েছে৷ লাইফ লিংকস রিপোর্টার এমিলি #প্রাইডঅ্যান্ডপ্রেজুডিস এপিসোডটির জন্য ওদের ছবি তোলেন ঐ মস্কোতেই৷
ছবি: Oksana Yushko
দিমা আর সাশা
দিমা হল রাশিয়ার, সাশার জন্ম ইউক্রেনে৷ সাশা ‘ফেমেন’ গোষ্ঠীর সদস্য৷ দিমা কিয়েভে এসেছিল নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর হয়ে, ফেমেন সম্পর্কে একটা রিপোর্ট করার জন্য৷ ওদের দু’জনের তখনই দেখা – আর বন্ধুত্ব৷ কিছুদিন পরে সাশা ইউক্রেন ছেড়ে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়৷ তখন থেকে দিমা আর সাশা প্যারিসে বাস করছে৷
ছবি: Oksana Yushko
দিমা আর ভ্লাদা
দিমার জন্ম রাশিয়ায়, ভ্লাদা হল কিয়েভের, মানে ইউক্রেনের মেয়ে৷ দুজনের সাক্ষাৎ হয় জর্জিয়ায়, তারপর কিছুদিন দূর থেকে প্রেম৷ শেষমেষ ওরা অ্যামেরিকায় চলে যায়৷ওখানে এক বছর আগে ওদের একটি ছেলে হয়েছে, যার নাম লেভ৷
ছবি: Oksana Yushko
মাক্সিম আর দারিয়া
দারিয়া ইউক্রেনের মেয়ে, মাক্সিম রাশিয়ার ছেলে৷ ওদের প্রেম শুরু হয় গ্রীষ্মের একটি দিনে, রাশিয়ার ভরোনেঝ-এ৷ দু’জনে একই ভাড়াগাড়িতে সাত ঘণ্ঠা কাটায় – একসঙ্গে৷ মাক্সিম নাকি প্রথম সন্দর্শনেই প্রেমে পড়ে৷ ক’দিন দেখা না হলেই ওদের প্রেম যে উথলে ওঠে, সেটা ওদের দেখলেই বোঝা যায়৷
ছবি: Oksana Yushko
ভ্যালেরি আর স্বেতা
ভ্যালেরি হলো ইউক্রেনের ওডেসা থেকে, স্বেতার জন্ম রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে৷ স্বেতা এসেছিল ওডেসায় এক বন্ধুর কাছে – সেই অবকাশে ভ্যালেরির সঙ্গে দেখা৷ এক বছর পরেই বিয়ে৷ দু’জনেই যোগব্যায়ামের ভক্ত; বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি আর উদ্ভুটে ব্যাপারস্যাপারে আগ্রহী৷
ছবি: Oksana Yushko
সাশা আর লেনা
আলেক্সান্ডার হলো রাশিয়ার ক্রাসনোদার থেকে, লেনার জন্ম ইউক্রেনের কিয়েভে৷ দু’জনের দেখা ২০১৩ সালে, গ্রিসে ছুটি কাটানোর সময়৷ এক বছরের মধ্যেই লেনা মস্কোয় গিয়ে আলেক্সান্ডার-এর সঙ্গে যোগ দেয়৷ দুই দেশের মধ্যে সমস্যা যতো বাড়ে, ততই বাড়ে ওদের প্রেম৷
ছবি: Oksana Yushko
লিনা আর ভিটিয়া
‘‘আমার মা রুশি, বাবা ইউক্রেনের মানুষ৷ ওঁদের দু’জনের সাক্ষাৎ খারকোভ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে৷ আজ ৫০ বছর ধরে দু’জনে একসঙ্গে৷ মানুষ আর মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বের সূত্রটি আমি পেয়েছি ওঁদের কাছ থেকেই৷’’
ছবি: Oksana Yushko
9 ছবি1 | 9
আলী আর তাঁর বন্ধুর তখন বার্লিনে থাকার জায়গা নেই৷ শরণার্থী শিবিরে জায়গা পেতে হলে দু'দিন অপেক্ষা করতে হবে৷ লেনা আর তাঁর বন্ধুরা ওই দু'দিন আলী আর তাঁর দুই সঙ্গীকে এক জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন৷
সেখানেই শেষ হতে পারতো গল্পটা৷ কিন্তু আলী আর তাঁর দুই সঙ্গীকে এক বাসায় পৌঁছে দিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরার আগে লেনা একটা ছোট কাগজে নিজের নাম আর টেলিফোন নাম্বারটা লিখে দিয়ে আসায় গল্পটা শেষ না হয়ে শুরু হয়ে যায়৷ একদিন পরই ‘ধন্যবাদ' লিখে টেক্সট মেসেজ পাঠান আলী৷ শুরু হয় মেসেজ চালাচালি এবং তার কিছুদিনের মধ্যেই মন দেয়ানেয়া সারা৷
আলী ২৮ বছরে তরুণ৷ বাগদাদের একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেছেন পাঁচ বছর৷ তথাকথিত জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর হামলা সেই প্রেমে ছেদ টেনেছে৷
অন্যদিকে লেনা গত ৬ বছরে কয়েকজন ‘বয়ফ্রেন্ড' পেলেও কারো সঙ্গেই সম্পর্ক টেকেনি৷ আলী প্রথম যেদিন তাঁকে ‘আই মিস ইউ' লিখল, সেদিনও লেনা ভাবেননি অচেনা সংস্কৃতির একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম হতে পারে৷ অথচ হলো তা-ই৷ বন্ধুরা বারবার বলেছে, ‘‘সাবধান, ওরা কিন্তু কিছুদিন ভালোবাসার অভিনয় করে, কিন্তু কিছুদিন পরে জার্মানিতে থাকা নিশ্চিত হলেই ছেড়ে যায়৷ দেখো তোমার সঙ্গেও না আবার সেরকম কিছু হয়৷'' লেনা তবু ভালোবেসে ফেলে আলীকে৷
আলীর জন্ম ইরাকের এক গোঁড়া মুসলিম পরিবারে৷ বাপ-চাচারা খুব গোঁড়া৷ তাঁরা মনে করেন, জার্মানির মেয়েরা ‘নোংরা স্বভাবের', কেননা, বিয়ের আগেই তাঁরা যার-তার সঙ্গে শুয়ে পড়ে৷ আলী নিজেই কথাটা বলেছেন লেনাকে৷ তবে নিজের মতামত জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি মেয়েকে জানা আর জেনে তাঁকে বিশ্বাস করতে পারা৷''
ভালোবাসার জয় দেখালো সিরীয় যুগল
তাদের শহরে চলছে অনবরত বোমা বর্ষণ৷ তা সত্ত্বেও হোমসের এক জুটি হারতে মানতে রাজি হয়নি৷ বার্তা সংস্থা এএফপি-র আলোকচিত্রির তোলা তাদের কিছু দুর্লভ ছবি পাবেন এখানে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
‘সিরিয়াকে পুর্ননির্মাণ করছে ভালোবাসা’
জাফর মেরাই তোলা ছবিগুলোর চারপাশে চমৎকার কোনো স্থাপনা নেই, নেই সবুজ প্রকৃতির ছোয়া৷ বরং সেগুলো ঘিরে আছে যুদ্ধের বিভীষিকা৷ এসব ছবি মাসখানেক আগে তোলা৷ কিছু ছবি তিনি নিজেই ফেসবুকে দিয়েছেন, কিছু প্রকাশ করেছে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি৷ শিরোনাম, ‘সিরিয়াকে পুর্ননির্মাণ করছে ভালোবাসা’৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
ধ্বংসাবশেষের মধ্যে জীবন এবং ভালোবাসা
১৮-বছর বয়সি নাদা মেহরি এবং ২৭ বছর বয়সি হাসান ইউসুফ তাঁদের বিয়ের ছবি তোলার জন্য বেছে নিয়েছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত হোমসের কিছু স্থান৷ আর মেরাই ছবির মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছেন ‘জীবন মৃত্যুর চেয়ে শক্তিশালী’৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
চারিদিকে যুদ্ধে বিভীষিকা
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখের বেশি, তাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক৷ দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমস মূলত আক্রান্ত হয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সেনাদের দ্বারা৷ কেননা, ২০১২ সালে আসাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল যেসব শহরে, তার একটি হোমস৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
সাদা পোশাক, ধূসর পাথরকুঁচি
একসময়ের সমৃদ্ধ শহরটির মাঝখানে বিয়ের সাদা পোশাকে দাঁড়িয়ে আছেন নাদা, তাঁর হবু স্বামী যুদ্ধের পোশাকে৷ যুদ্ধবিগ্রহের মাঝের সিরিয়ার তরুণ জুটিদের অবস্থা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ছবিতে৷ পেছনে দেখা যাচ্ছে গোলার আঘাতে জর্জরিত বিভিন্ন ভবন৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
অনবরত হামলা
হোমসে এখনো নিয়মিত হামলা চালানো হচ্ছে৷ গত ২৬ জানুয়ারি এক আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ২২ জন, আহত শতাধিক৷ সেই হামলার দায় অবশ্য স্বীকার করেছে তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’ বা আইএস৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
হোমস একা নয়
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো আসাদের বাহিনীর পক্ষ নিয়ে সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে বিমান হামলা চালাচ্ছে৷ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশটির রাজধানী দামেস্ক থেকে ১৭০ মাইল দূরে একটি হাসপাতালে রাশিয়ার বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে নয় ব্যক্তি৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
আন্তর্জাতিক সমালোচনা
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আসাদ জানিয়েছেন যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন৷ তবে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আডেল আল-জুবের এক জার্মান পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘‘ভবিষ্যতে বাশার আল-আসাদ বলে কেউ থাকবে না৷....সিরিয়ার দায়িত্ব আর তাঁর কাঁধে থাকবে না৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের মূল বিষয়
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ছিল সদ্য সমাপ্ত মিউনিখ সম্মেলনে অন্যতম আলোচনার বিষয়৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সেই সম্মেলনে বলেন, আমাদের মতে, রাশিয়া অধিকাংশ হামলা চালাচ্ছে সিরিয়ার আইনসম্মত বিরোধী গোষ্ঠীর উপরে৷ রাশিয়া অবশ্য দাবি করছে, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে দমনে বিমান হামলা চালাচ্ছে তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
যুদ্ধের সময় ভালোবাসা
কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী মেরাই-এর ছবিতে আবেগপূর্ণ মন্তব্য করেছেন৷ একজন লিখেছেন, ‘নিজেকে ছবির বরের মতো মনে হচ্ছে৷’ আরেকজন লিখেছেন, ‘সৃষ্টিকর্তা আপনার এবং সিরিয়ার সব মানুষের সহায় হোন৷ এ সব ছবি গোটা বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করায় ধন্যবাদ৷’
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
জীবন বয়ে যাওয়ার প্রমাণ
মেরাই-এর ছবিগুলো ফেসবুকে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে৷ অনেকে সেসব ছবি দিয়ে গ্যালারি, এমনকি ভিডিও তৈরি করেছেন৷ একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘‘মেরাই-এর ছবিগুলো প্রমাণ করছে যুদ্ধের মাঝেও মানুষের জীবন থেমে নেই, একরকম কেটে যাচ্ছে৷’’
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
10 ছবি1 | 10
আলীর কাছে বিশ্বাসটাই ভালোবাসা৷ তাঁর সংস্কৃতিতেও বিশ্বাসের অনেক গুরুত্ব৷ জার্মানিতে এসেও নিজের সংস্কৃতিকে ভোলেনি আলী৷
তাই প্রথম যেদিন ওর সঙ্গে ঘুমালেন, সেদিন খুব অবাক হয়েছিলেন লেনা৷ শুয়েই বলেছিলেন, ‘কিস মি'৷ কিন্তু আলি সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করলেন সেই অনুরোধ, বললেন, ‘‘দুঃখিত, আমি এখন চুমু খেতে পারবো না৷ ইরাকে আমরা বিয়ের অঙ্গীকার না থাকলে কোনো মেয়ের সঙ্গে বেড়াতেও যাই না৷''
খুব তাড়াতাড়িই বিয়ে করবেন লেনা৷ বিয়ে করবেন আলীকেই৷ পরিবারের সবাই এখন আলীকে চেনে৷ আলীকে সবারই খুব পছন্দ৷ বড়দিনে দাদি লেনা আর আলীর হাতে তুলে দিয়েছেন একটি খাম৷ টাকাভর্তি সেই খামের ওপর দাদি ইংরেজিতে লিখে দিয়েছিলেন, ‘ট্রু লাভ'৷
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পিএইচডি করছেন লেনা৷ আইটি বিশেষজ্ঞ আলীকে পেয়ে তাঁর মনে হয়, অন্য জার্মান তরুণীদেরও উচিত শরণার্থীদের বিয়ে করা৷
আপনারও কি এমন কোনো প্রেমের গল্প জানা আছে? তাহলে জানিয়ে দিন আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷