1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকের ভবিষ্যত নিয়ে জার্মান বিশেষজ্ঞরা যা ভাবছেন

১৮ ডিসেম্বর ২০১১

ইরাকে মার্কিন দখলদারিত্বের আনুষ্ঠানিক অবসানের ঘোষণা দেওয়া হলো এই সপ্তাহেই৷ এর পরও ইরাকের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে৷ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনাটাও দেশটির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ জার্মান বিশেষজ্ঞরা কী ভাবছেন এনিয়ে?

ইরাকে মার্কিন পতাকা নামলো শেষ পর্যন্তছবি: dapd

রাজনৈতিক সংস্কৃতি

ইরাকে মার্কিন হামলার প্রায় নয় বছর পর দেশটির পুরো কর্তৃত্ব আবারও ফিরে পেলো ইরাকি প্রশাসন৷ কিন্তু এর ফলে গোটা প্রশাসনের ওপর এখন বিশাল দায়িত্ব চেপে বসেছে৷ জার্মানির রাজধানী বার্লিনে অবস্থিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক জার্মান ইন্সটিটিউট৷ এর পরিচালক ফোল্কার পের্থেস বললেন, ‘‘ইরাকি কর্তৃপক্ষকে এখন অনেক সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে৷ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা এবং এক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো৷ তবে এটা খুবই কঠিন হবে, কারণ দেশটির বিভিন্ন পর্যায়ে গণতান্ত্রিক অভিজ্ঞতা খুবই কম৷ তাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য যেটা দরকার তা হলো সংশ্লিষ্ট সকল মহলের অংশগ্রহণে সিদ্ধান্ত নেওয়া৷''

সামাজিক নিরাপত্তা

তবে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির পক্ষ থেকে তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না৷ এর বাইরেও ইরাকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিরাপত্তা পরিস্থিতি৷ এজন্য ইরাকের সব অঞ্চলে আর্থিক সমবণ্টন খুবই জরুরি বলে মনে করেন মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ফোল্কার পের্থেস৷ ইরাক যুদ্ধের কারণে দেশটির তেল উত্তোলন কমে গিয়েছিল৷ তবে বর্তমানে তেল উত্তোলনের পরিমাণ আবার আগের পর্যায়ে পৌঁছেছে, যদিও সকলে তা থেকে লাভবান হচ্ছে না৷ পের্থেস বলেন, ‘‘এই সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি৷ গত নয় বছর ধরে ইরাক পরিস্থিতির জন্য সকলেই দখলদার মার্কিন বাহিনীর ওপর দায় চাপিয়ে দিয়েছে৷ তাদের অবশ্যই দায়দায়িত্ব রয়েছে৷ তবে শেষ পর্যন্ত ইরাকিদেরকেই তাদের নিজেদের সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে৷''

প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকিছবি: dapd

তেলের মালিকানা

গত কয়েক বছর ধরে ইরাকে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ তেলের খনির মালিকানা নিয়ে মতানৈক্য ছাড়াও দেশটিতে আল কায়েদার কার্যক্রমও এর পেছনে কাজ করেছে৷ সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর দখলদার মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার সংখ্যা বেড়ে যায়৷ এইসব হামলায় মার্কিন সেনা যত না মারা পড়েছে তার চেয়েও বেশি প্রাণ হারিয়েছে ইরাকিরা৷ বিশেষ করে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ৷ এসময় একের পর এক আত্মঘাতী হামলায় ইরাকে প্রতিদিনই হতাহতের ঘটনা ঘটতো৷ এরপর মার্কিন সরকার ইরাকে আরও সেনা পাঠায়৷ এক পর্যায়ে সেখানে সেনা সংখ্যা দাঁড়ায় এক লাখ ৭০ হাজারে৷ গত চার বছরে ইরাকে সহিংসতার মাত্রা কমে এসেছে৷ মার্কিন বাহিনীর চলে যাওয়ার পর গোটা ইরাকের দায়িত্ব এসে পড়বে এখন সেদেশের নয় লাখ সেনা এবং পুলিশের ওপর৷

জার্মানির হামবুর্গ শহরের গ্লোবা ল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিজ ইন্সটিটিউটের পরিচালক হেনার ফুরটিগ মনে করেন, ইরাকের অনেক সমস্যার পরও একটি ভালো দিক হলো দেশটিতে ইতিমধ্যে একটি নির্বাচিত সরকার রয়েছে৷ তারা ইতিমধ্যে স্থানীয় নির্বাচনের পাশাপাশি এবং একটি নতুন সংবিধান রচনার উদ্যোগ নিয়েছে৷ হেনার ফুরটিগ এই ব্যাপারে বলেন, ‘‘সাধারণভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, যে ২০১১ সালে ইরাকের অবস্থা ২০০৩ সাল থেকে ভালো৷ কারণ দেশটিতে এখন আর কোন স্বৈরশাসক দেশ শাসন করছে না৷''

শিয়া-সুন্নি বিভেদ দেশটির সামাজিক নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন জার্মান বিশেষজ্ঞ হেনার ফুরটিগ৷ এর কারণ হিসেবে দেশটিতে আঞ্চলিক রাজনীতির প্রভাব উল্লেখ করেন তিনি৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ