1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকের লড়াকু যোদ্ধারা

ক্যার্স্টেন ক্নিপ/এসি২৬ মে ২০১৫

ইরাকি সেনাবাহিনী যে ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে এ যাবৎ ব্যর্থ হয়েছে, তার রাজনীতিক কারণ বোধগম্য হলেও, এক্ষেত্রে ধর্মীয় সম্প্রদায় যে ভূমিকা পালন করছে, তা উদ্বেগজনক বলেই মনে করেন ক্যার্স্টেন ক্নিপ৷

Irak Schiitischer Kämpfer gegen den IS
ছবি: Getty Images/AFP/A. Al-Rubaye

এটা সত্য যে, ইরাকি সেনাবাহিনী ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে খুব বেশি কার্যকরিতা প্রদর্শন করতে পারেনি৷ দৃশ্যত আইএস যোদ্ধাদের রামাদি শহরটি জয় করতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি – কেননা তাদের কোনো প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়নি৷ ইরাকি সেনাবাহিনীর অধিনায়ক এবং সৈন্যরা ও পথে না গিয়ে, শহর ছেড়ে পালিয়েছে৷ যা রামাদির শত শত অধিবাসীর পক্ষে মৃত্যুদণ্ডের সামিল হয়ে দাঁড়াতে পারে: যেহেতু আইএস বা আইসিস তাদের সুপরিচিত নৃশংসতার সঙ্গে রামাদিতেও কোতল চালিয়ে যাবে, বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷

সরকারি সেনাবাহিনী যখন পলায়নপর, তখন বাগদাদ সরকারকে সামরিক বিকল্পের খোঁজ করতে হচ্ছে: যেমন কাতাইব হিজবোল্লা, আসাইব আহল আল-হক বা বদর সংগঠনের মতো বিভিন্ন সশস্ত্র শিয়া গোষ্ঠী৷ এই সব গোষ্ঠীর অধিনায়কদের ইরানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক৷ বদর সংগঠনের প্রধান হাদি আল-আমিরি আশির দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় তেহরানের হয়ে লড়েছিলেন৷ আজ তিনি ইরাকি সাংসদ, এছাড়া এক প্রভাবশালী গোষ্ঠীপ্রধান, কেননা তাঁর যোদ্ধারা আইএস-এর বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণের সাহস ও ক্ষমতা রাখে৷ আল-আমিরির যোদ্ধারা বিগত কয়েক মাসে তার যথেষ্ট প্রমাণ রেখেছে এবং হামাদি-তেও রাখবে, বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷

ক্যার্স্টেন ক্নিপ, ডয়চে ভেলেছবি: DW/P. Henriksen

শিয়া আধিপত্যে সুন্নি ভীতি

ইরাকি সেনাবাহিনীর সুন্নি সদস্যদের চিন্তা হলো, আইএস যোদ্ধাদের বিতাড়নের পর শিয়া নিয়ন্ত্রিত ইরাকে বাস করাটা খুব আরামদায়ক হবে কিনা৷ বিগত কয়েক বছরে তার কিছুটা স্বাদ পেয়েছেন সুন্নিরা: প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির রাজত্বে সুন্নিরা ইরাকি সমাজে প্রায় অপাংক্তেয় হয়ে উঠেছেন৷ এমনকি বেশ কিছু সুন্নি আইএস-এ যোগদান করেছেন৷ বলতে কি,ইরাকে আইএস সংগঠনের সদস্যদের নব্বই শতাংশই ইরাকি সুন্নি মুসলমান৷

আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের আচরণও অনুরূপ নির্মম৷ গত বছরের গ্রীষ্মে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ‘‘শারীরিক নিপীড়ন, অপহরণ এবং বিতাড়নের'' অভিযোগ করা হয়েছে৷ এ বছরের মার্চ মাসে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শিয়া যেদ্ধাদের হাতে হাজার হাজার মানুষ বিতাড়িত হবার কথা জানিয়েছে৷ দৃশ্যত বহু সুন্নির বাড়িঘর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে৷

কাজেই এবার বাঘা তেঁতুল দিয়ে বুনো ওলকে ঠান্ডা করার চেষ্টা চলেছে: আইএস-এর বিরুদ্ধে ইরাকি শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীদের প্রয়োগ করে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ