1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে মার্কিন অভিযান

৮ আগস্ট ২০১৪

ইরাকের উত্তরে সংখ্যালঘুদের সম্ভাব্য গণহত্যা এড়াতে এবং আইসিস জঙ্গিদের আগ্রাসন বন্ধ করতে প্রয়োজনে মার্কিন বিমান বাহিনী হামলা চালাতে পারে৷ ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের জন্য এরই মধ্যে ত্রাণ সাহায্য পাঠাতে শুরু করেছে ওয়াশিংটন৷

USA Präsident Barack Obama in Washington zu Lage in Irak Kurden IS
ছবি: Reuters

আবার ইরাকে মার্কিন সেনা অভিযানের পথ খুলে দিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ এবারের লক্ষ্য দেশের উত্তরে গণহত্যার আশঙ্কা দূর করা৷ এই অভিযানের লক্ষ্য সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের জন্য আকাশ থেকে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ করা এবং প্রয়োজনে আইসিস জঙ্গিদের উপর হামলা চালানো৷ ত্রাণ বণ্টনের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে৷ তাদের আগ্রাসী অভিযানের ফলে ইয়াজিদিরা অবরোধের মুখে পড়েছে৷ মাউন্ট সিঞ্জার এলাকায় খোলা আকাশের নীচে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে তারা৷ খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষও ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে৷ তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর কারাকশ-ও এখন জঙ্গিদের দখলে৷

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে দক্ষিণে প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির শিয়া-প্রধান প্রশাসন অতীতের দ্বন্দ্ব ভুলে উত্তরের কুর্দি পেশমার্গা যোদ্ধাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে৷ এবার ইরাকি সেনাবাহিনী ও কুর্দি যোদ্ধাদের সাহায্য করতে বিমান হামলা চালাতে পারে মার্কিন বাহিনীর এয়ার আর্মাডা৷ আরবিল শহরে মার্কিন কনসুলেট বিপন্ন হলে অথবা ইরাকের অন্য প্রান্তে কোনো মার্কিন স্থাপনার উপর হামলার আশঙ্কা দেখা দিলেও অ্যামেরিকা আক্রমণ চালানোর হুমকি দিয়েছে৷

কট্টরপন্থি সুন্নি গোষ্ঠী আইসিস সিরিয়া ও ইরাকে এক ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায়৷ তাদের চরমপন্থি মতাদর্শের সঙ্গে একমত না হলেই চলে হামলা ও নিপীড়ন৷ বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয় তারা৷

সংকটের এই মুহূর্তে ইরাকের পাশে দাঁড়াচ্ছে জাতিসংঘও৷ নিরাপত্তা পরিষদ ইরাকের সরকার ও জনগণের প্রতি সংহতি ব্যক্ত করেছে৷ মহাসচিব বান কি-মুন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ইরাকের সরকারের প্রতি সহায়তার ডাক দিয়েছেন৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ প্রয়োজনে এই যুদ্ধে লিপ্ত সৈন্যদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন৷

নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে সামরিক হামলা চালানোর ছাড়পত্র দিলেও ওবামা আবার ইরাকে পুরোপুরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চান না৷ বিশেষ করে ইরাকের মাটিতে মার্কিন স্থলবাহিনীর কোনো উপস্থিতি দেখতে চান না তিনি৷ মার্কিন জনগণের মনে বুশ আমলের ইরাক অভিযানের ক্ষত এখনো দূর হয় নি৷ মানবিকতার খাতিরে সম্ভাব্য গণহত্যা এড়াতেই সীমিত হামলা চালাতে প্রস্তুত অ্যামেরিকা৷ তবে এই সীমিত সহায়তায় কোনো কাজ হবে কিনা, তা নিয়ে সামরিক বিশেষজ্ঞরা একমত নন৷ কিন্তু আইসিস জঙ্গিরা যেভাবে সিরিয়া ও ইরাকে একের পর এক অঞ্চল দখল করে ফেলছে, পরে তা সামলানো আরও কঠিন হবে৷ শুক্রবারই তারা সিরিয়ার এক সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে৷ ইরাকি কুর্দিস্তানের সীমান্তেই তাদের থামানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইরাকি ও কুর্দি পেশমার্গা বাহিনী৷ এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন কৌশলগত সহায়তার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷ মনে রাখতে হবে, ইরাকের বিশাল পেট্রোলিয়াম ভাণ্ডারের একটা বড় অংশই কুর্দিস্তান এলাকায় অবস্থিত৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ