1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে ৫ জার্মান নারী আটক

১৮ জুলাই ২০১৭

মোসুলে চলমান সামরিক অভিযানে পাঁচজন জার্মান মহিলাকে আটক করা হয়েছে৷ দৃশ্যত, তারা তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-কে সহায়তা করার জন্যই ইরাকে গিয়েছিল৷

Irak | Gefecht in Mossul
ছবি: REUTERS/A. Al-Marjani

গত সপ্তাহে মোসুলের অবরুদ্ধ পুরাতন অংশে আইএস-এর ২০ জন নারী যোদ্ধাকে আটক করা হয়৷ তাদের মধ্যে রাশিয়া, তুরস্ক, ক্যানাডা, লিবিয়া,  চেচনিয়া ও পাঁচজন জার্মানির নাগরিক রয়েছে৷ সকলকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে৷

এক ইরাকি সামরিক কর্মকর্তা জার্মানির ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকাকে বলেন যে, সংশ্লিষ্ট মহিলারা আইএস-এর নির্মিত একটি সুড়ঙ্গ প্রণালীর মধ্যে লুকিয়ে ছিল৷ তাদের যেখানে ধরা হয়েছে, সেখানে অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক বেল্ট ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে যা সম্ভবত ইরাকি সৈন্যদের উপর আক্রমণের জন্য ব্যবহার করা হতো৷ প্রাথমিক বিবরণ অনুযায়ী, ধৃত মহিলারা আইএস-এর পুলিশবাহিনীর হয়ে কাজ করছিল৷

জার্মানির পূর্বাঞ্চল থেকে আসা কিশোরী

‘ডি ভেল্ট' পত্রিকার বিবরণ অনুযায়ী, যে পাঁচজন জার্মান মহিলা মোসুলে ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে জার্মানির স্যাক্সনি রাজ্যের এক ১৬ বছরের কিশোরীও আছে৷ মেয়েটি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল ও বছর খানেক আগে বাড়ি থেকে উধাও হয়৷ ইতিপূর্বে সে ইন্টারনেটে আইএস সমর্থকদের সংস্পর্শে এসেছিল বলে প্রকাশ৷

স্যাক্সনি রাজ্যের রাজধানী ড্রেসডেনের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েটির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছিল, কিন্তু সে কোনোরকম উত্তর দিতে অস্বীকার করায় তদন্ত বন্ধ রাখা হয়৷ তবে মেয়েটি জার্মানিতে ফেরার পর তদন্ত আবার চালু হবে বলে মুখ্য কৌঁসুলি লোরেনৎস হাজে ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকাকে জানিয়েছেন৷

জার্মানি থেকে ৯০০ জনের বেশি ইসলামপন্থি তথাকথিত ইসলামিক স্টেটকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে সিরিয়া ও ইরাক যাত্রা করেছে বলে ধরে নেওয়া হয়, তাদের মধ্যে একাধিক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েও রয়েছে৷ 

আইএস দখল হারাচ্ছে

মোসুলবাসীদের আশঙ্কা, মোসুল আইএস-এর কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর এখানে অরাজকতার সৃষ্টি হবে, কেননা, আইএস-বিরোধী জোট প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় আইএস-এর মুখ্য ঘাঁটি রাকা মুক্ত করার দিকে নজর দেবে৷ মোসুলকে মুক্ত করার অভিযানে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে৷ মোসুলে যারা ধরা পড়েছে ও পড়ছে, তারা নিরপেক্ষ ও আইনসম্মত বিচার পাবে কিনা, তা আপাতত স্পষ্ট নয়৷ অপরদিকে বিচারের জন্য ধৃত ব্যক্তিদের স্বদেশে পাঠানো হবে কিনা সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি৷

এসি/এসিবি (ডিপিএ, ডি ভেল্ট)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ