1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে জঙ্গিদের থামাতে উদ্যোগ

২৭ জুন ২০১৪

ইরাকে আইসিস জঙ্গিদের তৎপরতার মাত্রা শুধু সে দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই৷ সিরিয়া, ইরান সহ গোটা অঞ্চলে ইরাকের ঘটনার প্রভাব পড়ছে৷ অ্যামেরিকা ও আঞ্চলিক শক্তিগুলি যে যার নিজের স্বার্থে ঘুঁটি সাজানোর চেষ্টা করছে৷

Bildergalerie Irak Regionalkonflikt irakische Soldaten 24.06.2014
ছবি: Reuters

ইরাকে প্রাক্তন মার্কিন সামরিক উপদেষ্টা রিক ব্রেনান সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, আইসিস-এর কট্টরপন্থি সুন্নি জঙ্গিদের সংখ্যা মাত্র ৪ থেকে ৮ হাজার৷ তবে সংগঠন হিসেবে তেমন বড় না হলেও তাদের প্রশিক্ষণ খুবই ভালো৷ আইসিস-এর নৃশংসতার নানা পরিচয় পাওয়া যায়৷ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর সূত্র অনুযায়ী তারা টিকরিট শহরে ১৬০ থেকে ১৯০ জন পুরুষকে হত্যা করেছে৷ আর এক বিশেষজ্ঞ সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ বাহিনীর সঙ্গে সংগ্রামে এই সব যোদ্ধাদের সামরিক অভিজ্ঞতা বেড়েছে৷ তবে এরা সাঁজোয়া গাড়ি বা সামরিক সরঞ্জামের উপর নির্ভর করে না৷ ফলে বিমান হামলা চালিয়ে এদের কাবু করা কঠিন৷ কিন্তু আইসিস-এর সাফল্য আপাতত সুন্নি-প্রধান এলাকার মধ্যেই সীমিত রয়েছে৷ ইরাকের দক্ষিণে শিয়া-প্রধান এলাকার দিকে অগ্রসর হতে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে৷ অন্যদিকে আসাদের বিমানবাহিনীও এখন সীমান্ত পেরিয়ে তাদের উপর হামলা চালাচ্ছে৷

কাগজে-কলমে ইরাকি সেনাবাহিনীর শক্তি দেখলে সমীহ করতে হয়৷ প্রায় ১৯৩,০০০ সৈন্য, অনেক সামরিক সরঞ্জাম এবং ১,৭০০ কোটি ডলারের বাজেট নিয়েও তারা আইসিস-এর মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে৷ ২৪৩টি কমব্যাট ব্যাটেলিয়নের মধ্যে ৬০টি লাপাত্তা, তাদের অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জামেরও কোনো পাত্তা নেই৷ ইরাকি সেনাবাহিনীর মনোবল ও প্রশিক্ষণের অভাব এবং দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ একটা বড় সমস্যা৷ সেইসঙ্গে রয়েছে সাম্প্রদায়িক বিভাজন৷ আইসিস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে একমাত্র ভরসা কুর্দি সৈন্যরা৷ তাদের পেশমের্গা বাহিনীর প্রায় ৩৫,০০০ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোদ্ধা ইরাকি সেনাবাহিনীর মধ্যে স্থান পেয়েছে৷ উত্তরে কুর্দিস্তান স্বশাসিত এলাকার প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি প্রয়োজনে আরও ৮০,০০০ থেকে ২৪০,০০০ যোদ্ধা পাঠাতে পারেন৷ প্রশ্ন হলো, শিয়া প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি-কে সাহায্য করতে কুর্দিরা আদৌ কতটা আগ্রহী৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জঙ্গিদের উপর বিমান হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন নাছবি: Reuters

এমন প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জঙ্গিদের উপর বিমান হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না৷ পারস্য উপসাগরে মার্কিন রণতরী থেকে যে কোনো মুহূর্তে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ক্ষমতা অ্যামেরিকার রয়েছে৷ তবে আইসিস যোদ্ধারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকায় এমন হামলায় নিরীহ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে৷ ওবামা চান, মালিকি তাঁর সংকীর্ণ শিয়া-সর্বস্ব নীতি ত্যাগ করে সুন্নি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন৷ এদিকে সিরিয়ায় আসাদের বিরোধী শক্তির একটা অংশকে সামরিক প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র দিতে চায় মার্কিন প্রশাসন৷ ওবামা এর জন্য কংগ্রেসের কাছে ৫০ কোটি ডলার অনুমোদনের অনুরোধ করেছেন৷ এই নীতির মাধ্যমে অ্যামেরিকা আসাদ ও সুন্নি জঙ্গিদের দুর্বল করে দিতে চায়৷

ইরান সামগ্রিকভাবে মালিকি-র প্রশাসনকে সমর্থন ও সাহায্য দিয়ে চলেছে৷ ইরাকের দুর্দিনে সামরিক সরঞ্জামও পাঠিয়ে চলেছে৷ তবে ড্রোন পাঠিয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা ছাড়া অন্য কোনো সক্রিয় ভূমিকা পালনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷

এসবি/জেডএইচ (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ