1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজউত্তর অ্যামেরিকা

ইরাক থেকে কূটনীতিকদের সরানোর নির্দেশ অ্যামেরিকার

২৩ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন নাগরিকদের ইরাকে যেতেও নিষেধ।

ইরাকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
ইরাকে ফিলিস্তিন সমর্থকদের প্রতিবাদছবি: Ameer Al-Mohammedawi/dpa/picture alliance

রোববার অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরাক থেকে সমস্ত কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কেবলমাত্র আপতকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা ইরাকে থাকবেন বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো একটি নির্দেশিকা জারি করেছে দেশের নাগরিকদের জন্য। তাতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে কোনো নাগরিক যেন ইরাক-সহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে যাওয়ার চেষ্টা না করেন।

ইরাকে ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রতিনিধিদের উপর আক্রমণ হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সে কারণেই সেখান থেকে কূটনীতিক এবং কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অ্যামেরিকা জানিয়েছে, গোটা মধ্যপ্রাচ্য ঘিরেই অ্যামেরিকার নাগরিকদের উপর হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইরাকে একাধিক গোষ্ঠী অ্যামেরিকার নাগরিকদের উপর আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে বলে দাবি।

ইরান নিয়েও সতর্কতা

অ্যামেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ইসরায়েল-গাজা সংঘাতকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে ইরান।

লেবাননে হোজবোল্লাহ গোষ্ঠীকে ইরান সমর্থন করে বলে অ্যামেরিকার দাবি। সেই হেজবোল্লাহ হামাসের সমর্থনে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে।ইসরায়েলের সঙ্গে তারাও সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। ইরানের মদতেই এই ঘটনা ঘটছে বলে অ্যামেরিকার দাবি।

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদেরও ইরান মদত দেয় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি তারাও অ্যামেরিকার যুদ্ধ জাহাজে একাধিক মিসাইল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও প্রতিটি মিসাইলই অ্যামেরিকা ধ্বংস করেছে।

রোববার ব্লিংকেন বলেছেন, ''ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী অ্যামেরিকার প্রতিনিধিদের উপর আক্রমণের চেষ্টা চালাতে শুরু করেছে। তাদের চেষ্টা যাতে বিফল হয়, তার সমস্ত ব্যবস্থা আমরা করছি।'' বস্তুত, ব্লিংকেন 'ইরানের প্রক্সি' শব্দটি ব্যবহার করেছেন তার বক্তব্যে। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করার সমস্ত দায়িত্ব সরকার পালন করবে। এবং সে কারণেই ওই গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পরেই ওই অঞ্চলে বিরাট সেনা মোতায়েন করেছে অ্যামেরিকা। দুইটি বিমানবহনকারী যুদ্ধ জাহাজ ওই অঞ্চলের সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, ওই এলাকায় প্রায় দুই হাজার মেরিন ফোর্সও মজুত করা হয়েছে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে অ্যামেরিকা সরাসরি যুক্ত হয়নি। কিন্তু ওই অঞ্চলে সেনা পাঠিয়ে অ্যামেরিকা সমস্তরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ