সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আবার ইরাকের সঙ্গে আলোচনায় বসবে অ্যামেরিকা। এপ্রিলে আলোচনা শুরু হবে।
বিজ্ঞাপন
ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে। ২০২০ সালের জুন থেকে আলোচনা শুরু হয়। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে এই প্রথমবার আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ইরাকে এখন আড়াই হাজার মার্কিন সেনা আছে।
মার্কিন ও জোট বাহিনীর সেনার ইরাকে থাকার ঘোষিত উদ্দেশ্য হলো, ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষিত করা, যাতে তারা ইসলামিক স্টেট বা আইএসের মোকাবিলা করতে পারে। আইএস যাতে আবার ইরাকে তাদের শক্তি প্রতিষ্ঠা না করতে পারে।
এবার সেই আড়াই হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে আলোচনায় বসবেন দুই দেশের কর্তারা। তবে শুধু সেনা প্রত্যাহার নিয়েই আলোচনা হবে না, বাণিজ্য, পরিবেশ, সাংস্কৃতিক বিষয়েও কথা হবে। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের বিষয়েও কথা হবে।
ইরানের জেনারেল সুলেইমানি এবং ইরাকের মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহান্দিকে হত্যার পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাগদাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এরপর ইরাকের পার্লামেন্টে অ্যামেরিকার নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর চলে যাওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্য সরকার মানতে বাধ্য নয়।
‘যুক্তরাষ্ট্রের মুখে চড়’
কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান বুধবার প্রথম প্রহরে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের একাধিক সেনাঘাঁটিতে ক্ষপণাস্ত্র হামলা চালায়৷ আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি ওই হামলাকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের মুখে চড়’ বলে বর্ণনা করেছেন৷
ছবি: Reuters/WANA/N. Tabatabaee
আইন আল-আসাদ সেনাঘাঁটি
ইরাকের পশ্চিমের আনবার প্রদেশে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর সেনাঘাঁটি আইন আল-আসাদে ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণ৷
ছবি: Reuters/Handout Iran Press
আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র
ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র অন্ধকার আকাশ চিরে ইরাকের দিকে ছুটে যাচ্ছে৷ কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অন্তত দুইটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান৷
ছবি: Reuters/Handout Iran Press
হামলার চিহ্ন
ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের রাজধানী দুহোকে বড় বড় এসব গর্ত ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে হয়েছে৷ ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড়৷
ছবি: Reuters/A. Jalal
৮০ মার্কিন সেনা নিহতের দাবি
ইরানের সংবাদমাধ্যম ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ মার্কিন সেনা নিহতের দাবি করেছে৷ এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি, আন্তর্জাতিন সংবাদমাধ্যমও কিছু জানায়নি৷
ছবি: Reuters/A. Jalal
ইরানিদের উল্লাস
মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরানের হামলার খবর প্রকাশের পর তেহরানের রাস্তায় জাতীয় পতাকা ও কাসেম সোলেইমানির ছবি হাতে সাধারণ মানুষকে উল্লাস করতে দেখা যায়৷
ছবি: Reuters/WANA/N. Tabatabaee
যুক্তরাষ্ট্রের মুখে চড়
ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার পর তেহরানে এক বৈঠকে ওই হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের মুখে ইরানের চড় বলে বর্ণনা করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি৷
ছবি: picture-alliance/abaca/SalamPix
ফিলিস্তিনেও উল্লাস
ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর প্রকাশের পর ফিলিস্তিনিরাও রাস্তায় নেমে উল্লাস করে৷
ছবি: Reuters/WANA/N. Tabatabaee
আগে যেমন ছিল
গত ২৯ ডিসেম্বর আকাশ থেকে তোলা ছবিতে ইরাকের আনবার প্রদেশে আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. Nasser
8 ছবি1 | 8
সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্ক আগের তুলনায় কিছুটা ভাল হয়েছে। তবে ইরানপন্থি কিছু দল পার্লামেন্টে সমানে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি তুলছে।
অ্যামেরিকা ও ইরাক দুই দেশই এখন সেনা সরিয়ে নেয়ার পক্ষে। তবে প্রশ্ন হলো, কবে তা সরানো হবে? এই সেনা সরানো হলে আইএস সুবিধা পাবে না তো? সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেনা সরানোর পক্ষে ছিলেন। তার মত ছিল, এই অন্তহীন লড়াই চালিয়ে কোনো লাভ নেই।