1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনের ভূমিকা নিয়ে গণতদন্ত শুরু

২৪ নভেম্বর ২০০৯

ইরাক যুদ্ধের লক্ষ্য কি ছিল, ব্রিটেন কেন এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল, ব্রিটেনের পররাষ্ট্র নীতি ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভূমিকা এই যুদ্ধে কী ছিল.... এসব নিয়ে মঙ্গলবার লন্ডনে শুরু হলো দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘ইরাক যুদ্ধ গণতদন্ত’৷

গণতদন্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ারকেও ডাকা হচ্ছে৷ছবি: AP

ইরাক যুদ্ধ গণতদন্ত কমিশনের প্রথম দিনের শুনানিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধের দুই বছর আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন থেকে ইরাকে ক্ষমতা পরিবর্তনের বিষয়ে কথাবার্তা বলা হলেও বিষয়টি ব্রিটিশ সরকারের আনুষ্ঠানিক নীতিমালায় ছিল না৷ ব্রিটেনের তৎকালীন শীর্ষ গোয়েন্দা ও সরকারি কর্মকর্তা কমিশনকে একথা বলেছেন৷

ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনের জড়িয়ে পড়া, ইরাকে ব্রিটিশ সেনাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগসহ অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ইরাক যুদ্ধের যৌক্তিকতা বা এর অপরিহার্যতা নিয়েও কথা বলবে এই তদন্ত কমিশন৷

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই কথিত গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাক অভিযান শুরু করা হয়৷ গণবিধ্বংসী অস্ত্র কেন পাওয়া গেল না, আসলে গোয়েন্দা তথ্য ভুল ছিল কি না৷ আর তাহলে ব্রিটেন কেন এ যুদ্ধে গেল৷ আশা করা হচ্ছে এসব বিষয়ও উঠে আসবে কমিশনের তদন্তে৷

পাঁচ সদস্যের এ কমিশনের প্রধান জন চিলকোট বলেছেন, এ কমিশন কোনো বিচারিক আদালত নয়, কোনো প্রাতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও নয় এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় মানুষ তা বুঝতে পারবে৷

ইরাক যুদ্ধ (ফাইল ফটো)ছবি: AP

তদন্ত প্রক্রিয়ার সূচনা বক্তব্যে মঙ্গলবার চিলকোট বলেন, ‘‘আমাদের সামনে কেউ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নেই৷ আমরা কাউকে দোষী অথবা নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবো না৷ কোনো আদালত সেটা করতে পারে৷ কিন্তু আমি এখানে এই অঙ্গীকার করতে চাই যে, আমরা যখন চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাব -- কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোথাও কাউকে দায়ি মনে করা হলে এ কমিশন কাউকেই ছেড়ে কথা বলবে না৷''

ইরাক যুদ্ধে নিহত ১৭৯ জন ব্রিটিশ সেনার পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ইতোমধ্যেই কথা বলেছেন কমিশন সদস্যরা৷

মঙ্গলবার কমিশনের শুনানির সময় বাইরের রাস্তায় এসব হতাহতদের পরিবার পরিজনদের অনেকেই সমবেত হয়েছিলেন এবং একটি ন্যায়নিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছিলেন৷ এসময় বিভিন্ন যুদ্ধবিরোধী সংগঠনের অনেক বিক্ষোভকারীও সেখানে বিক্ষোভ করছিলেন৷

২০১০ সালে এ কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে৷ এ বছরের নভেম্বর ডিসেম্বরে সাবেক শীর্ষ গোয়েন্দা, সরকারি আমলা, কূটনীতিক এবং সামরিক কমান্ডাররা কমিশনে সাক্ষ্য দেবেন৷ আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের মতো শীর্ষ রাজৈনিতক নেতৃত্ব কমিশনের মুখোমুখি হবেন বলেও আশা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ