1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাক সফরে পোপ ফ্রান্সিস

৫ মার্চ ২০২১

শুক্রবার থেকে ইরাক সফর শুরু করলেন পোপ ফ্রান্সিস। তার এই সফর ইরাকের খ্রিস্টানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাগদাদ চার্চের দেওয়ালে বিশাল করে পোপ ফ্রান্সিসের ছবি এঁকে তাকে স্বাগত জানানো হয়েছে।ছবি: AHMAD AL-RUBAYE/AFP via Getty Images

পোপ ফ্রান্সিস বাগদাদ, মোসুল ও কারাকাস যাবেন। তিনি ইরবিলে কুর্দি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানে প্রায় দেড় লাখ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সেন্ট্রাল ইরাক থেকে পালিয়ে এসেছেন।

প্রথমে আল কায়দা ও পরে আইএস ইরাকে খ্রিস্টানদের আক্রমণ করেছে। তার ফলে লাখ লাখ খ্রিস্টান তুরস্ক, লেবানন, জর্ডন এবং উত্তর ইরাকের কুর্দি এলাকায় চলে গেছেন।

কার্ডিনাল লুই রাফায়েল সাকো বলেছেন, ''আমরা আশা করি, পোপের সফরের ফলে খ্রিস্টানদের ট্র্যাজেডির উপর মানুষের নজর যাবে। সেই সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্বের একটি বার্তাও যাবে। ধর্ম তো বিভাজনের জন্য নয়, এক করার জন্য।''

নারীকে আঘাত করে ক্ষমা চাইলেন পোপ

01:06

This browser does not support the video element.

২০০৩ সালে মার্কিন হানার আগে ইরাকে ১৬ লাখ খ্রিস্টান ছিলেন। এখন আছেন মাত্র তিন লাখ। তারপর থেকে ৫৮টি চার্চ হয় ভেঙে ফেলা হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাদ্দাম হুসেনের সময় খ্রিস্টানরা বৈষম্যের শিকার হলেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করেনি। কিন্তু মার্কিন হানার পর পরিস্থিতি একেবারে বদলে যায়। আল কায়দা প্রথমে বিশপ এবং অন্য খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের অপহরণ ও হত্যা শুরু করে। চার্চ ও খ্রিস্টানদের জমায়েতে আক্রমণ শুরু হয়। শুক্রবার পোপ যেখানে সমাবেশ করবেন, সেখানে ২০১০ সালে ৪৮ জনকে মারা হয়েছিল। মোসুলে আইএস আসার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে খ্রিস্টানরা পালাতে বাধ্য হন বলে জানিয়েছেন ফাদার কারাম সামাশা।

পোপ তার সফরে ইরাকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে তিনি ইরাকে খ্রিস্টানদের অবস্থার কথা তুলবেন। তিনি নজফে গ্র্যান্ড আয়াতোল্লাহ সিস্তানীর সঙ্গেও দেখা করবেন। সুন্নি ও ইয়াজিদিদের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলবেন।

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, আল জাজিরা)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ