1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের উপর হামলার সম্ভাবনা নিয়ে ইসরায়েল উত্তপ্ত

৫ নভেম্বর ২০১১

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে৷ এমনকি বেড়ে চলা হুমকি হিসেবে ইরানকে শায়েস্তা করতে সেদেশের আণবিক কেন্দ্রগুলির উপর হামলার ইঙ্গিতও দিচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু৷

Israel and Iran flags, on texture with radiation symbol, partial graphic
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বাড়ছেছবি: AP

বৃহস্পতিবার সকালেই তেল আভিভ এলাকায় এয়ার রেড সাইরেনের শব্দ শোনা গেল৷ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে নিরাপত্তা বাহিনী, দমকল, অ্যাম্বুলেন্স কী করতে পারে, তারই একটা মহড়া হয়ে গেল এদিন৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন মহড়ার সময়কাল মোটেই কাকতালীয় নয়৷ গত কয়েক দিন ধরেই ইরানের উপর সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে গোটা দেশ জুড়ে জোরালো তর্ক-বিতর্ক চলছে৷ বুধবার এক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে৷ প্রশাসন অবশ্য এই সব পদক্ষেপের সঙ্গে ইরানের হুমকির বিষয়টির মধ্যে মোটেই কোনো সম্পর্ক মেনে নিতে প্রস্তুত নয়৷ তাদের বক্তব্য, বাইরে থেকে হামলা ঘটলে আমরা যে তার জবাব দিতে প্রস্তুত, তাই দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সংবাদপত্র ‘ইয়েডিয়ত আখারোনত' কয়েক দিন আগে লিখেছিল, যে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক এবিষয়ে একমত, যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে শীঘ্রই ইরানের উপর হামলা চালাতে হবে৷ বামপন্থী সংবাদপত্র ‘হা-আরেৎস' লিখেছিল যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবারমানও এমন এক হামলার পক্ষে৷ নেতানিয়াহু নিজে কিছুদিন আগে সংসদে বলেছিলেন, যে ইরান ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করার উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে৷ পরমাণু শক্তিধর ইরান শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য বড় এক হুমকি৷ আমাদের জন্যও সেদেশ সরাসরি হুমকি হয়ে উঠতে পারে৷''

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইরানের উপর হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন নাছবি: dapd

রাজনৈতিক নেতারা এমন তর্জন-গর্জন করলেও নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার অনেক প্রাক্তন প্রধান ইসরায়েলের দিক থেকে এমন সামরিক হামলার পরিণাম সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছেন৷ তারা বলছেন, পরমাণু অস্ত্র আছে কি নেই সেই বিতর্ক আপাতত সরিয়ে রাখলেও ইরানের কাছে এখনই যেসব দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, সেগুলিও যথেষ্ট মারাত্মক৷ সেগুলি দিয়েই তারা ইসরায়েলের উপর হামলা চালাতে পারে৷ তাছাড়া এমন এক সংঘাত শুরু হলে তা শুধু ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ লেবাননে হেজবোল্লাহ, গাজায় হামাস – এমনকি সিরিয়াও এই সুযোগে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে৷ তখন ইসরায়েলের শহরগুলির উপর চারিদিক থেকে রকেট-বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে৷ এমন সামগ্রিক সাবধানবাণী সত্ত্বেও অবশ্য কয়েকজন জেনারেল মনে করেন, ইরানের উপর হামলা ও তারপর পাল্টা হামলা ঘটলে ইসরায়েলের তা সামলে ওঠার ক্ষমতা আছে৷

মোটকথা ইসরায়েলে ইরানের উপর সম্ভাব্য হামলার প্রশ্নে এক উভয়-সংকটে পড়েছে৷ ইরান যদি সত্যি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে, তখন হয় সেই পরিস্থিতি ও তার সঙ্গে জড়িত সব বিপদ  মেনে নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবে৷ অথবা সেই পরিস্থিতি যাতে না আসে তা নিশ্চিত করতে ইরানের পরমাণু-কর্মসূচি এখনই নিষ্ক্রিয় করে দিতে হবে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যদি ইরানের উপর ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তাঁর ভেটো শক্তি প্রয়োগ করেন, তখন অবশ্য বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে হবে৷ কিন্তু এখনো তিনি এমনটা করেন নি৷ ইসরায়েল এমন ভেটোর আশঙ্কাও করছে না৷

প্রতিবেদন: বেটিনা মার্ক্স / সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ