1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের ‘গঠনমূলক’ প্রস্তাবে ওয়াশিংটনের সংশয়

২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বয়ে অ্যামেরিকা ও ইরানের মধ্যে বোঝাপড়ার প্রচেষ্টা আরো এক ধাপ এগোলেও শেষ পর্যন্ত পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে৷

ইরানের একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্ট
ইরানের একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টছবি: Alfred Yaghobzadeh/SalamPix/abaca/picture alliance

ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ আবার প্রশ্নের মুখে পড়লো৷ ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাসের কানানি জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্যে মার্কিন প্রশাসনের প্রস্তাবের ‘গঠনমূলক' জবাব পাঠানো হয়েছে৷ তিনি বলেন, চূড়ান্ত আলোচনার ভিত্তি হিসেবে ইরান সেই বার্তা পাঠিয়েছে৷ দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয়কারী হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা জোসেপ বরেলকে প্রথমে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে৷

অ্যামেরিকা অবশ্য ইরানের সাড়া পেয়েও সন্তুষ্ট নয়৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে ইরানের কাছ থেকে বার্তা পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও সেটিকে মোটেই ‘গঠনমূলক' বলে মনে করছেন না৷ পরমাণু চুক্তি সম্পর্কে ইরানের বার্তা খতিয়ে দেখে ইইউ-র মাধ্যমেই প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে তিনি জানান৷ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে  কিছু প্রশ্নে দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য দূর হলেও এখনো অনেক বিষয়ের নিষ্পত্তি বাকি রয়েছে৷

ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে প্রায় ১৬ মাস ধরে আলোচনা সত্ত্বেও এখনো ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে না৷ গত ৮ই আগস্ট বরেল বলেন, পরমাণু চুক্তি সম্পর্কে অচলাবস্থা কাটাতে ইইউ ইরানকে চূড়ান্ত প্রস্তাব দিয়েছে৷ গত বুধবার ইরান ওয়াশিংটনের কাছ থেকে আরো জোরালো গ্যারেন্টির দাবি করে৷ সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার উদ্দেশ্যে পরমাণু স্থাপনার ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' পরীক্ষা বন্ধ করারও ডাক দিয়েছে তেহরান৷

সাম্প্রতিক অতীতে ইইউ-র মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে পরমাণু চুক্তি নিয়ে দরকষাকষি চলছে৷ ফলে তেহরানের সর্বশেষ বার্তা সত্ত্বেও পরমাণু চুক্তির আশা এখনই ত্যাগ করার কারণ নেই৷ ইইউ ‘চূড়ান্ত’ প্রস্তাবের কথা বললেও সেই প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে আপোশের সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ কারণ এ খেত্রে ব্যর্থ হলে দুই পক্ষেরই মাথাব্যথার যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷ বোঝাপড়া সম্ভব হলে অ্যামেরিকা ইরানের উপর থেকে একাধিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে৷ ফলে ইরান আবার পেট্রোলিয়াম রপ্তানিও শুরু করতে পারবে৷ অন্যদিকে ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচির উপর আরও কড়া আন্তর্জাতিক নজরদারি কার্যকর হবে৷ তাছাড়া পরমাণু চুক্তির পুনরুদ্ধার সম্ভব হলে ইসরায়েল ইরানের পরমাণু স্থাপনার উপর সহজে হামলা চালাতে পারবে না৷

ইসরায়েল ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির বরাবর বিরোধিতা করে আসছে৷ যাবতীয় নজরজারি সত্ত্বেও তেহরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ইসরায়েল অভিযোগ করছে৷ প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশ্যে পরমাণু চুক্তির প্রচেষ্টা ত্যাগ করার ডাক দিচ্ছেন৷ বুধবারও তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে সে বিষয়ে কথা বলেন৷ তাঁর মতে, চুক্তির জের ধরে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ইরান তার কুমতলব কার্যকর করতে আরও অর্থের নাগাল পাবে৷ ইরান অবশ্য পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির কথা অস্বীকার করে আসছে৷ তবে ২০১৫ সালে ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে আসার পর ইরানও পালটা পদক্ষেপ হিসেবে চুক্তির অনেক নিয়ম লঙ্ঘন করে আসছে৷ তাই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ