ইরানের ছবি পেল বেস্ট ফরেন ফিল্ম পুরস্কার
১৭ জানুয়ারি ২০১২
রবিবার পপ তারকা ম্যাডোনার হাত থেকে ইরানের পরিচালক আজগর ফারহাদি শ্রেষ্ঠ বিদেশি ছবির এই পুরস্কার গ্রহণ করেন৷
পুরস্কার পাওয়ার পর ইরানের ফেসবুক ইউজার ২৯ বছর বয়স্ক ইমাম জানান,‘‘পৃথিবীর প্রত্যেকটি ইরানির আজ গর্ব করার দিন৷'' আরেকজন লিখেছেন,‘‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না৷ ফারহাদি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার হাতে নিচ্ছেন ম্যাডোনার কাছ থেকে!''
তবে ইরানের খুবই অল্প সংখ্যাক পত্র-পত্রিকা সোমবার এ নিয়ে লেখালেখি করেছে৷ কারণ অ্যামেরিকায় যখন পুরস্কার বিতরণ করা হচ্ছিল তখন ইরানে মাঝরাতেরও বেশি৷
‘এ সেপারেশন' ছবিটি প্রথম ইরানে নিষিদ্ধ করেছিল সরকার৷ ছবিটি সরকার-বিরোধী এই যুক্তিতে ছবি তৈরির কাজও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার৷ পরে ফারহাদি ক্ষমা চান এই ভুল বোঝাবুঝির জন্য৷ তখন তাকে ছবিটি শেষ করার অনুমতি দেয়া হয়৷
‘এ সেপারেশন' সামাজিক ছবি৷ স্বামী-স্ত্রী ইরানে থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে তাদের সংশয়৷ মেয়েটির শ্বশুর আলজহাইমার রোগী৷ বাবাকে ছেড়ে ছেলে কোন অবস্থাতেই কোথাও যেতে রাজি নয়৷ বাবাকে দেখাশোনা করার জন্য একজন নার্স রাখা হয়৷ নার্সের নিজেরও একটি মেয়ে রয়েছে এবং নার্স গর্ভবতী৷ একদিন নার্স তার মেয়েকে নিয়ে বাইরে যায় সে সময় বৃদ্ধ ভদ্রলোক অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ তাকে জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়৷ রাগে স্বামী নার্সকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়৷ তাল সামলাতে না পেরে নার্স পড়ে যায়, সিড়ি গড়িয়ে নিচে৷ শুরু হয় রক্তক্ষরণ৷ নার্সকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে৷ গর্ভস্থ শিশুটি মারা যায়৷ স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়৷
সেরা বিদেশি ছবির অস্কার পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছবির তালিকায় ‘এ সেপারেশন' শীর্ষে রয়েছে৷ সমালোচকদের মতে ছবিটি অস্কার জিততে পারে৷ ছবিটি অস্কার পাবে কিনা তা জানার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক