জাতিসংঘের পরমাণু সংক্রান্ত কমিটি আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রসি। সম্প্রতি এক রিপোর্টে তিনি জানিয়েছেন, ইরানে ইউরেনিয়ামের মজুত উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে।

গ্রসির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরান পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। তা সত্ত্বেও আইএইএ তদন্ত করে দেখেছে ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে বিপুল ইউরেনিয়াম মজুত করা হয়েছে।

রিপোর্ট বলছে, তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে দুই দশমিক চার কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে। যা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট।

ইরান আগেই জানিয়েছিল, অ্যামেরিকা তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা না তুললে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি তারা মানবে না।

বেশ কয়েকমাস আগেই ইরান জানিয়ে দিয়েছিল, দেশের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের যেতে দেওয়া হবে না। পরমাণু কেন্দ্র সম্পর্কিত কোনো তথ্য দিতেও তারা বাধ্য থাকবে না।

ইরানের পার্লামেন্টে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, দেশের ইউরেনিয়াম মজুত ৩০ শতাংশ বাড়ানো হবে। সর্বোচ্চ নেতাও তাতে অনুমোদন দিয়েছেন।

জাতিসংঘের রিপোর্ট আন্তর্জাতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অ্যামেরিকার প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর গোটা বিশ্বের। অন্যদিকে, ইউরোপের দেশগুলি পরমাণু চুক্তি নিয়ে নতুন করে যে আলোচনা শুরু করেছিল, তাও থমকে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি মেনে নিয়েছিল ইরান। কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যান। ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। তারপর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।