1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের পরমাণু হুমকি

৬ জানুয়ারি ২০২০

ইরান আর আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি মানতে রাজি নয়। সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হল৷ 

ছবি: Getty Images/AFP/A. Kenare

কাসিম সোলেইমানি হত্যার জের৷ আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি মানার দায়বদ্ধতা থেকে সরে আসছে ইরান৷ তেহরান সরকার পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তিতে যে সব শর্ত ছিল, বিশেষ করে হাতে কলমে পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ ছিল, তা তারা আর মানবে না৷ ইউরেনিয়াম প্রক্রিয়াকরণের সীমাও তারা মানতে নারাজ৷  ইরানের এই সিদ্ধান্তের ফলে মধ্য প্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে বাধ্য৷  তার প্রধান কারণ অবশ্য আমেরিকার ড্রোন হানা এবং তাতে সুলেইমানির মৃত্যু৷

ইরানের সঙ্গে জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স এবং জার্মানির পরমাণু চুক্তি হয়েছিল৷ বছর দুয়েক আগে আমেরিকা একতরফাভাবে এই চুক্ত থেকে বেরিয়ে আসে৷ তারপর থেকে চুক্তি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এ বার আমেরিকার হানায় সোলেইমানির মৃত্যুর পর ইরান কড়া অবস্থান নেওয়ায় চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো সংশয় দেখা দিল৷ ইউরোপের দেশগুলি এখন চুক্তি বঁচানোর জন্য ইরানের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে৷ ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ জারিফকেও ব্রাসেলস ডেকে পাঠানো হয়েছে৷ কিন্তু ইরানের এই অবস্থানের পর সেই চেষ্টায় কোনও ফল হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে৷ 

ইরানের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের পরমাণু প্রকল্প আর কোনও সীমায় বাঁধা থাকবে না৷ ইউরেনিয়াম শোধনের ক্ষেত্রেই হোক, গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেই হোক, কোনও বিধিনিষেধ তারা মানবে না৷  বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''এখনও পর্যন্ত ইরানের পরমাণু প্রকল্প শুধুমাত্র প্রযুক্তি ভিত্তিক ছিল৷''

ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। এতদিনের বন্ধন এ বার ছিন্ন করে পরমাণু অস্ত্র বানাবার দিকে এগোতে চাইছে ইরান। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আঘাত হানার সিদ্ধান্ত রীতিমতো নড়িয়ে দিয়েছে ইরানকে৷ এতদিন পর্যন্ত ইরানের অবস্থান ছিল তারা মাত্র পাঁচ শতাংশ ইউরোনিয়ামকে সমৃদ্ধ করার কাজ করত, সেটাও পারমাণবিক জ্বালানি তৈরি করার জন্য৷  পারমাণবিক শক্তি প্রকল্পের জন্য এই জ্বালানি দরকার৷  কিন্তু ইরান আর এই সীমার মধ্যে থাকতে রাজি নয়৷  এরপরই জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন তাঁদের সংয়ত থাকার অনুরোধ করছে৷ জার্মান চ্যান্সেলার  আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ''আমরা ইরানকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এমন কিছু না করে য়া পরমাণু চুক্তি বিরোধী৷ ইরান যেন কোনও সহিংসতা না করে ও কোনওরকম হিংসায় মদত না করে৷ এখন উত্তেজনা কমানোটাই অত্যন্ত জরুরি৷  তই সবাইকে সযত থাকতে হবে৷''   

প্রশ্ন হল, এই আবেদনে ইরান সাড়া দেবে কি, না কি তাঁরা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পিছু হঠবে?

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ