জাতীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি বলেছেন, তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস প্রায় শেষ হয়ে গেছে৷ অন্য এক বৈঠকে ভ্লাদিমির পুটিন ও বাশার আল-আসাদও আইএস-এর অবধারিত পরাজয় নিয়ে কথা বলেছেন৷
বিজ্ঞাপন
গত কয়েক দিনে সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস-এর অবস্থান আরো দুর্বল হয়েছে৷ সিরিয়ায় শুধু আলবু কামাল এলাকার ওপরই তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠনটির নিয়ন্ত্রণ ছিল৷ গত সপ্তাহান্তে বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী এবং তাঁর মিত্ররা সেখান থেকেও আইএস-কে হঠিয়েছে৷ ইরাকে শুধু রাওয়া এলাকাতেই নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পেরেছিল আইএস৷ ইরাকের সেনাবাহিনী সম্প্রতি সেখানেও দখল পুনরুদ্ধার করেছে৷
এই পরিস্থিতিতেই ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রোহানি বলেন, ‘‘আল্লাহর ইচ্ছা এবং এ অঞ্চলের মানুষের শক্ত প্রতিরোধের কারণে আজ আমরা এ কথা বলতেই পারি যে, এই শয়তান (আইএস)-কে মানুষের মাথা থেকে হয় সরিয়ে ফেলা হয়েছে, নয়ত তাদের আকার ছোট করা হয়েছে৷''
ইসলামিক স্টেটের ভয়ংকর আত্মঘাতী গাড়িবোমা
মোসুল শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর বিপুল পরিমাণ গাড়িবোমা উদ্ধার করেছে ইরাকি বাহিনী৷ কোনটা ছিল বিস্ফোরকভর্তি, আবার কোনটা প্রস্তুতির প্রাথমিক পর্যায়ে৷ সেগুলো এখন সাজিয়ে রাখা হয়েছে শহরটির ফেডারেল পুলিশ দপ্তরের সামনে৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani
গাড়ি বনাম গাড়িবোমা
সাধারণ মালবাহী ট্রাক, কোনো কোনো ক্ষেত্রে যাত্রিবাহী গাড়িও ব্যবহার করা হতো গাড়িবোমা তৈরির জন্য৷ ভেতরের যন্ত্রপাতি ঠিক থেকে বাইরেটাকে মুড়ে দেয়া হতো পুরু ইস্পাতে৷ উদ্দেশ্য ছিল বন্দুকের গুলি থেকে ভেতরের আত্মঘাতী চালককে রক্ষা করা৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani
এড়াতে হবে ড্রোন
জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে প্রায়ই চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালাতো মার্কিন সেনারা৷ গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই যাতে ধরা না পড়তে হয়, সেজন্য গাড়িগুলোকে রং করা হতো সাধারণ গাড়ির মতো৷ কখনও লাল রং, কখনও সাদা দিয়ে ঢেকে দেয়া হতো ইস্পাতের আবরণ৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani
অস্বাভাবিক গতি
গাড়ির যন্ত্রপাতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে সেগুলোকে দেয়া হতো অস্বাভাবিক গতির সুবিধা৷ পাশাপাশি, বেশিরভাগ গাড়িরই সামনের অংশ এমনভাবে তৈরি করা হতো, যাতে যে কোনো বাধা ভেঙে গাড়িগুলো এগোতে পারে সামনে৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani
কী ধরনের বিস্ফোরক?
বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ৷ সবচেয়ে বেশি গাড়িতে পাওয়া গেছে ক্লোরিন গ্যাসের উপস্থিতি৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani
প্রচণ্ড ধ্বংস ক্ষমতা
ব্যাপক আকারে বিস্ফোরণ ঘটানোর ক্ষমতা আছে এই গাড়ি বোমার৷ এক একটি গাড়িতে যে পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদ করা যায়, তাতে দুই তিনটে বাড়ি উড়িয়ে দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani
আরো গাড়িবোমার মজুদ
মোসুল শহরে ইরাকি সেনা যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে স্নাইপার আর গাড়িবোমা হামলাই ছিল আইএস জঙ্গিদের মূল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা৷ ইরাকি বাহিনী আশংকা করছে এখন শহরের বিভিন্ন ভবনের গ্যারেজে বিপুল পরিমাণ গাড়িবোমা থাকতে পারে৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani
গাড়িবোমার প্রদর্শনী!
উদ্ধার করা গাড়িবোমাগুলো রাখা হয়েছে মোসুলে ইরাকি পুলিশের সদরদপ্তরের সামনে৷ যে কেউ চাইলেই দেখে আসতে পারেন ভয়ংকর সেই গাড়িগুলো৷ তবে পুলিশের নিয়মিত পাহারা অবশ্য থাকছেই৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani
7 ছবি1 | 7
ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা অবশ্য মনে করেন, আইএস পুরোপুরি হেরে গেছে৷ মঙ্গলবার রোহানির কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এমন দাবি করেন৷ তাঁর এ বার্তা ইরানের সংবাদমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে৷
এদিকে সিরিয়া বিষয়ক সম্মেলনের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দু'দেশের চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ পুটিন বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত করতে এখনো অনেক বাকি, তবে রুশ বাহিনী রাষ্ট্র হিসেবেসিরিয়ার অস্তিত্ব রক্ষাকরেছে৷ ক্রেমলিন থেকে প্রচার করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়৷
বিবৃতি অনুযায়ী সিরিয়ায় সিরীয় এবং রুশ বাহিনীর আইএসবিরোধী যৌথ অভিযানের সমাপ্তিও ঘোষণা করেছেন পুটিন৷ এ সময় তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্র হিসেবে সিরিয়াকে রক্ষা করা গেছে – এ জন্য রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ দিতেই হবে৷ সিরিয়ায় স্থিতাবস্থা ফেরানোর জন্য অনেক কিছু করা হয়েছে৷''
বুধবার সিরিয়া সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপায় খুঁজতে কৃষ্ণ সাগরের সোচি-তে ইরানের প্রেসিডেন্ট রোহানি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন পুটিন৷ সিরিয়ায় আইএসবিরোধী চলমান যুদ্ধে রাশিয়া এবং ইরান আসাদের পাশে রয়েছে৷ অন্যদিকে ২০১৪ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই আসাদবিরোধীদের সমর্থন দিয়ে আসছে তুরস্ক৷
আগামী ২৮ নভেম্বর সিরিয়া সংকট নিয়ে জাতি সংঘের উদ্যোগেও একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)
ইউরোপে যত জঙ্গি হামলা
মাদ্রিদ, ফ্রাংকফুর্ট, লন্ডন, প্যারিস, ব্রাসেলস, নিস, বার্সেলোনা – একের পর এক ভয়াবহ হামলার শিকার ইউরোপ৷ বড় শহরগুলিতে সন্ত্রাসের হুমকি নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তাও৷ গত ১৩ বছরে ইউরোপে বিভিন্ন হামলার তথ্য নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: REUTERS/Stringer
১৮ আগস্ট, ২০১৭
স্পেনে হামলার এক দিন পরেই ফিনল্যান্ডের টুর্কু শহরে ছুরি চালিয়ে ২ জনকে হত্যা করে এক আততায়ী৷ তার ছুরির আঘাতে কমপক্ষে আরও ৬ জন আহত হয়েছে৷ পুলিশ তার পায়ে গুলি করে তাকে গ্রেফতার করেছে৷ গোটা দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Riihimaki
১৭ আগস্ট, ২০১৭
প্রথমে বার্সেলোনা, তারপর উপকূলবর্তী কামব্রিলস ও আলকানার শহর৷ পর পর তিনটি সন্ত্রাসী হামলার মুখে স্পেনের কাটালুনিয়া রাজ্য৷ বার্সেলোনা শহরে হামলার দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷ এতে নিহত হন ১৩ জন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/O. Duran
১৯ জুন, ২০১৭
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের একটি মসজিদের বাইরে মুসল্লিদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেয় এক ব্রিটিশ নাগরিক৷ এ ঘটনায় নিহত হন একজন, গুরুতর আহত হন অনেকেই৷ হামলাকারী অভিবাসীবিরোধী এবং মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷
ছবি: Reuters/Y. Mok
৩ জুন, ২০১৭
লন্ডন ব্রিজে ঘুরতে আসা পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দেয় তিন ইসলামি জঙ্গি৷ তাতেই থেমে থাকেনি তারা৷ গাড়ি হামলার পর কাছেই বোরো মার্কেটে ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে ৮ জনকে খুন করে জঙ্গিরা৷
ছবি: Reuters/S. Wermuth
২২ মে, ২০১৭
ঘটনাস্থল যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার৷ নর্থ ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার অ্যরেনায় আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে আত্মঘাতি হামলায় নিহত হন ২২ জন৷
ছবি: Reuters/D. Hogan
৭ এপ্রিল, ২০১৭
একটি ট্রাক হাইজ্যাক করে সুইডেনের স্টকহোমের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মধ্যে চালিয়ে দেয় হামলাকারী৷ এতে মারা যান চার পথচারী৷
ছবি: Reuters/A. Wiklund
২২ মার্চ, ২০১৭
এই ঘটনায় একটি ভাড়া করা এসইউভি গাড়ি লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার ব্রিজে পথচারিদের ওপর তুলে দেয় হামলাকারী৷ এ ঘটনায় চারজন মারা যান৷ এরপর গাড়ি থেকে নেমে এক পুলিশ অফিসারকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হামলাকারী৷
ছবি: DW/A. Frymann Rouch
১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬
হামলার অস্ত্র হাইজ্যাক করা ট্রাক৷ এবার ঘটনাস্থল জার্মানির বার্লিন৷ বার্লিনের ক্রিসমাস মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে চালানো এ হামলায় নিহত হন ১২ জন৷
ছবি: picture alliance / NurPhoto
১৪ জুলাই, ২০১৬
ফ্রান্সের পর্যটননগরী নিসে চলছিল বাস্তিল দিবস উদযাপনের আয়োজন৷ ফলে ভিড়ও ছিল অস্বাভাবিক৷ আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ট্রাক হামলা চালিয়ে ৮৬ জনকে হত্যা করে হামলাকারী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Langsdon
২২ মার্চ, ২০১৬
বেলজিয়ামের ব্রাসেলস বিমানবন্দর ও সাবওয়েতে আত্মঘাতি হামলায় ৩২ জন নিহত হন, আহত হন শতাধিক৷ ইউরোপের অন্যান্য শহরে হামলায় এই হামলাকারীরাই জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/bsnyder
নভেম্বর ১৩, ২০১৫
ফ্রান্সের প্যারিসে বাতাক্লঁ কনসার্ট হল ও আরো কয়েকটি এলাকায় একযোগে হামলা চালায়৷ নিহত হন ১৩০ জন৷ হামলাকারীরা জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের অনুসারী ছিল৷
ছবি: Reuters
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ডেনমার্কের কোপেনহেগেন৷ এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন চলচ্চিত্র নির্মাতা ফিন ন্যোরগর্ট৷ এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন৷ একদিন পর একই হামলাকারী (যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ওমর আল-হোসাইন নামে) একটি সিনাগগে হামলা চালিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে৷ পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় হামলাকারী৷
ছবি: Reuters/H. Hanschke
৭-৯ জানুয়ারি, ২০১৫
ফ্রান্সের প্যারিসে ব্যাঙ্গাত্মক পত্রিকা শার্লি এব্দোর কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করা হয়৷ জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা এই ঘটনার দায় স্বীকার করে৷ শার্লি এবদোয় মুসলিমদের মহানবী হযরত মোহাম্মদকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করার প্রতিশোধ বলে উল্লেখ করা হয় ঘটনাটিকে৷
ছবি: picture-alliance/Pixsell/S. Strukic
২৪ মে, ২০১৪
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক ইহুদি জাদুঘরে কালাশনিকভ রাইফেল নিয়ে হামলা চালিয়ে চার জনকে হত্যা করে হামলাকারী৷ অভিযুক্ত ব্যক্তি সিরিয়ায় আইএস-এর হয়ে যুদ্ধ করেছে বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে৷
ছবি: Reuters/Y. Boudlal
২২ মে, ২০১৩
আল-কায়েদার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত দুই জঙ্গি লন্ডনের রাস্তায় লি রিগবি নামের এক ব্রিটিশ সৈন্যকে তাড়া করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
মার্চ, ২০১২
আল-কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্ট এক বন্দুকধারী ফ্রান্সের টুলুস শহরে তিন ইহুদি স্কুলছাত্র, এক ইহুদি রাবাই এবং তিন প্যারাট্রুপারকে হত্যা করে৷
ছবি: REUTERS
২২ জুলাই, ২০১১
আন্ডার্স বেরিং ব্রেইভিক নামের এক মুসলিমবিদ্বেষী হামলাকারী, নরওয়ের অসলোতে বোমা হামলা চালায়৷ এরপর নরওয়ের উটোয়া দ্বীপের এক যুব ক্যাম্পে গুলি চালিয়ে ৭৭ জনকে হত্যা করে৷
ছবি: dapd
২ নভেম্বর, ২০১১
শার্লি এব্দোর অফিসে হামলার ঘটনা৷ মুসলিমদের মহানবী হযরত মোহাম্মদের কার্টুন চিত্র প্রকাশ করায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় ম্যাগাজিনটির অফিসে৷ তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷
ছবি: picture-alliance/abaca
২ মার্চ, ২০১১
জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দরে ইসলামি জঙ্গি আরিদ উকা গুলি চালিয়ে দুই মার্কিন বৈমানিককে হত্যা করে৷ হামলাকারী আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের কর্মকান্ড নিয়ে একটি ভুয়া ভিডিও দেখে এ হামলায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে৷
ছবি: AP
৭ জুলাই, ২০০৫
লন্ডনে আল-কায়েদার সাথে জড়িত চার আত্মঘাতি জঙ্গি তিনটি সাবওয়ে ট্রেন এবং একটি বাসে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়৷ এই ঘটনায় ৫২ জন যাত্রী নিহত হন৷
ছবি: AP
১১ মার্চ, ২০০৪
স্পেনের মাদ্রিদে চারটি ট্রেনে অফিসগামী যাত্রীদের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়৷ মোট নিহত হন ১৯১ জন যাত্রী৷