ইরানের সঙ্গে আলোচনায় সাফল্য
২০ নভেম্বর ২০১৩![NEW YORK, NY - SEPTEMBER 24: Iranian President Hassan Rouhani addresses the U.N. General Assembly on September 24, 2013 in New York City. Over 120 prime ministers, presidents and monarchs are gathering this week for the annual meeting at the temporary General Assembly Hall at the U.N. headquarters while the General Assembly Building is closed for renovations. (Photo by Brendan McDermid-Pool/Getty Images)](https://static.dw.com/image/17113965_800.webp)
বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত আলোচনার তৃতীয় পর্যায়ের আলোচনার প্রাক্কালেই ইরান আবার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগের অধিকার সে দেশের আছে৷ সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই বুধবার বলেছেন, এই প্রশ্নে এক পা-ও পিছু হঠতে প্রস্তুত নয় ইরান৷ তিনি জেনিভার আলোচনায় সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও আপোশের গণ্ডি স্থির করে দিয়েছেন৷ অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে টেলিফোন সংলাপেও একই কথা বলেছেন৷
বৃহস্পতি ও শুক্রবারের আলোচনায় ইরান সংকট পুরোপুরি মিটে যাবে, এমন অবাস্তব প্রত্যাশা কেউ করছে না৷ তবে ইরানকে পুরোপুরি হতাশ করে ফেরত পাঠাতেও চায় না ‘পি-ফাইভ প্লাস ওয়ান'৷ দুই পক্ষই কিছু ছাড় দিলে পারস্পরিক আস্থা আরও জোরালো হবে, যার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আরও এক ধাপ এগোনো সম্ভব হবে৷ কারণ শুধু পরমাণু কর্মসূচি নয়, এই মুহূর্তে গোটা অঞ্চলে ইরানের ভূমিকা নানা কারণে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের প্রশাসনের প্রতি সমর্থন, লেবাননে হেজবোল্লাহ-র উপর নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়ে চলেছে তেহরান৷ এই অবস্থায় আলোচনা ব্যর্থ হলে ইরান সত্যি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার পথে এগোতে পারবে৷ তখন আর সে দেশের উপর কোনো রকম প্রভাব খাটানো সম্ভব হবে না৷
আপাতত সব পক্ষই বেশ সংযত আচরণ করছে৷ অর্থাৎ কিছু সাফল্য নিয়েই ঘরে ফিরতে চাইছেন প্রতিনিধিরা৷ তবে চাপ এড়াতে প্রত্যাশার মাত্রা খুবই কম রাখার চেষ্টা চলছে৷ তবে আলোচনার উপর কিছু কালো ছায়াও পড়ছে৷ ইরানের সঙ্গে বোঝাপড়ার বিরোধিতা করে ইসরায়েলের লাগাতার তর্জন-গর্জন সত্ত্বেও এতকাল তেহরান মোটামুটি নিশ্চুপ ছিল৷ বুধবার খামেনেই বলেছেন, ইসরায়েলের জায়নিস্ট প্রশাসনের স্তম্ভ খুবই দুর্বল৷ তাই সেটি ভেঙে পড়তে বাধ্য৷ উল্লেখ্য, ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করার ডাক দিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)