1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের সঙ্গে নতুন বোঝাপড়ার সম্ভাবনা

২৬ আগস্ট ২০১৯

ফ্রান্সে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলন চলাকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত সফরকে ঘিরে জল্পনাকল্পনা চলছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উদ্যোগ সফল হলে পারস্য উপসাগর অঞ্চলে শান্তির আশা করা হচ্ছে৷

Neues Raketenabwehrsystem in Teheran
ছবি: picture-alliance/dpa/Iranian Presidency

এবারের জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের সেরা চমক অবশ্যই ইরান৷ আয়োজক দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মেদ জাভাদ জারিফকে আমন্ত্রণ জানিয়ে গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন৷ জারিফ অবশ্য মূল সম্মেলনে অংশ নেন নি৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও তাঁর কোনো সরাসরি যোগাযোগ হয় নি৷ কয়েক ঘণ্টার ফ্রান্স সফরে তিনি শুধু মাক্রোঁ, ফ্রান্সের পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা গেছে৷

জারিফের টুইট বার্তার সঙ্গে একটি ছবিতে অন্তত শুধু এই তিন জনকে দেখা যাচ্ছে৷ সেইসঙ্গে তিনি জার্মানি, ব্রিটেন ও জাপানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের উল্লেখ করেছেন৷ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেও জারিফ ফ্রান্স সফর করেছিলেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর জি-সেভেন সম্মেলনের অংশ ছিল না৷

ইরান ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলির মধ্যে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি বাঁচিয়ে রাখতে এবং পারস্য উপসাগর এলাকায় উত্তেজনা কমাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট যে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিচ্ছেন, তারই আওতায় জারিফ ফ্রান্স সফর করলেন৷ তবে এই উদ্যোগের কোনো ইতাবাচক ফলাফল নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে৷ মাক্রোঁ প্রথমে সব অংশগ্রহণকারী দেশের পক্ষ থেকে এ ক্ষেত্রে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন৷ কিন্তু ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে কোনোরকম বোঝাপড়ার সম্ভাবনা অস্বীকার করে সেই প্রত্যাশা দূর করেছেন৷ জারিফ নিজে তাঁর টুইট বার্তায় শুধু ইঙ্গিত করেছেন, ‘‘সামনের পথ কঠিন হলেও অবশ্যই চেষ্টা চালানো উচিত৷''

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে যে কড়া নীতি নিয়ে চলেছে, সে ক্ষেত্রে কোনো রদবদল চোখে না পড়লেও জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ-র এই উদ্যোগ সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেন নি৷ সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন৷ জারিফের সঙ্গে বৈঠকের পরেও সমবেত নেতা ও অতিথিদের ছবি তোলার সময় মাক্রোঁ-র প্রতি কোনো বিরক্তি দেখান নি ট্রাম্প৷ এমনকি ইরানের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে তিনি কোনো আপত্তি জানান নি৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চপদস্থ ফরাসি কূটনীতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ ট্রাম্প বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-ও ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছেন৷

ইরানের প্রশ্নে অ্যামেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে প্রবল মতপার্থক্য রয়েছে৷ ট্রাম্প এর আগে তেহরানের প্রতি ‘মিশ্র সংকেত' পাঠানোর জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেছিলেন৷ জি-সেভেন সম্মেলনে সব অংশগ্রহণকারী দেশ ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্রের বিরুদ্ধে এবং পারস্য উপসাগর অঞ্চলে স্থিতিশীলতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে৷ মাক্রোঁ অ্যামেরিকার প্রতি সুর নরম করে বলেছেন, যে ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের ফলে ইরান সম্ভবত মূল পরমাণু চুক্তির বাইরেও বোঝাপড়ায় আসতে পারে৷

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের ফলে ইরানের সঙ্গে নতুন বোঝাপড়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে৷ মূল পরমাণু চুক্তিতে রদবদল অথবা নতুন এক চুক্তির মাধ্যমে অ্যামেরিকার আপত্তিগুলি দূর করার চেষ্টা করা হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ