1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেমন আছেন ইরানের ইহুদিরা?

২০ মে ২০১৭

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে প্রায়ই দ্বন্দ্ব লেগে থাকে৷ যদিও মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের পর ইরানেই সবচেয়ে বেশি ইহুদির বাস৷ কিন্তু কেন?

Juden im Iran Sukkot Shalom Synagoge
ছবি: DW/T. Tropper

ডয়চে ভেলের থেরেসা ট্রপার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তেহরানের ইহুদি সম্প্রদায়ের পরিচালক সিয়ামাক মোরসাদেঘের সঙ্গে৷ তিনি ইরান সংসদের একমাত্র ইহুদি সাংসদও৷

ডয়চে ভেলে: ইরানে ইহুদিরা কেমন আছেন?

সিয়ামাক মোরসাদেঘ: মানুষ যা ভাবে তার চেয়ে অনেক ভালো৷ এখানে সংখ্যালঘু হিসেবে আমাদের স্বীকৃতি আছে৷ তাই আমরা স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারি৷ তেহরানে ২০টির বেশি সিনাগগ আছে৷ এছাড়া কমপক্ষে পাঁচটি ‘কোশার' কসাইখানা আছে৷ ইউরোপের কিছু দেশে প্রাণি অধিকার আইনের কারণে সেটির অনুমতি নেই৷ কিন্তু ইরানে আছে৷

ডয়চে ভেলের মুখোমুখি তেহরানের ইহুদি সম্প্রদায়ের পরিচালক সিয়ামাক মোরসাদেঘছবি: DW/T. Tropper

সাধারণভাবে বললে, ইরানে ইহুদিদের অবস্থা সমসময় ইউরোপের চেয়ে ভালো৷ এখানে ইহুদি আর মুসলমানরা একে অপরকে সম্মান করে৷ তবে কিছু পার্থক্যতো আছেই৷ যেমন এই দুই ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিয়ে হওয়ার হার খুবই কম৷

এর মানে কি এই যে, ইহুদিরা একই জায়গায় বাস করে, কিন্তু তাঁরা ইরানের অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর চেয়ে আলাদা?

একেবারেই তা নয়৷ মুসলমানদের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে৷ আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা মুসলমান৷ যে হাসপাতালের ডাক্তার আমি সেটি ইহুদি পরিচালিত হলেও সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রোগীদের ৯৫ শতাংশই মুসলমান৷

কিন্তু ইরানে আইন অনুযায়ী ইহুদিদের সমান চোখে দেখা হয় না৷ যেমন আপনি চাইলে বিচারক হতে পারবেন না৷ এ ব্যাপারে আপনার কী মত?

সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে কিছু সমস্যা তো হয়ই৷ যেমন সেনাবাহিনীতে আমরা কর্মকর্তা পর্যায়ে চাকরি করতে পারব না৷ সৈনিক হতে পারব৷ এরকম কিছু সীমাবদ্ধতা আছে আইনে৷ তবে আমরা এতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি৷ এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া৷ এবং রাতারাতি সব ঠিক হওয়া সম্ভব নয়৷ তবে আমরা উন্নতি করছি৷ সাম্প্রতিক অতীতে আমাদের বড় সাফল্য হচ্ছে, আমাদের সন্তানেরা সরকারি স্কুলে গেলেও তারা চাইলে শনিবার দিন ‘সাবাথ'-এর জন্য স্কুলে নাও যেতে পারে৷

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক রেভুলিউশনের পর অনেক ইহুদি ইরান ছেড়ে চলে যান৷ আপনি করেননি কেন?

তখন অনেক মুসলিমও দেশ ছেড়েছেন৷ আমি যাইনি, কারণ আমি ইরানি – আমি হিব্রু ভাষায় প্রার্থনা করি, ইংরেজি বলি, কিন্তু আমি চিন্তা করি, ভাবি শুধু ফার্সিতে৷ বিদেশ চলে যাওয়া – বিশেষ করে ইসরায়েলে যাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই৷ কারণ, আমি মনে করি, ইহুদিরা অন্যদের চেয়ে আলাদা, এই চিন্তাধারা থেকে ইহুদিদের শুধু বিশ্বের একটা জায়গায় বাস করতে হবে – এমন ভাবনার সঙ্গে আমি একমত নই৷ কারণ আমি মনে করি আমরা সবাই সমান৷

ইরানের আইনে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরণের যোগাযোগ রাখা নিষিদ্ধ৷ বিষয়টি কি ইহুদি হিসেবে আপনার জন্য কঠিন নয়?

ধর্মীয় শিক্ষা বলে, আমরা যে দেশে বাস করি সেই দেশের আইন মেনে চলতে হবে৷ বিশ্বে অনেক ইহুদি আছেন যাঁরা ইসরায়েলি সরকার ও সেনাবাহিনীর আচরণের কঠোর সমালোচক৷ ইহুদি হিসেবে আমাদের ধর্মগ্রন্থ ‘তাওরাত' ও ‘তালমুদ' মেনে চলতে হয়৷ অন্য দেশ দখল করা ও নিরীহ মানুষ হত্যা করা মোজেসের (ইহুদিদের নবি) শিক্ষা নয়৷ ইহুদি হিসেবে আমরা ইসরায়েলের আচরণ সমর্থন করতে পারি না, এটা ধর্মীয় নয়, রাজনৈতির ‘মুভমেন্ট'৷ ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণহত্যার শিকার হওয়ায়, ইহুদিদের উচিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হওয়া৷

টেরেসা ট্রপার/জেডএইচ

তাহলে ফিলিস্তিনিদেরও কি ইহুদিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া দরকার? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ