1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে নির্বাচন

ইয়াশার এরফানিয়ান/এসি১৭ মে ২০১৩

জুন মাসে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ দু’টি কার্যকালের পর আর প্রার্থী হতে পারবেন না৷ তাহলে কি এবার ইরানে রাজনৈতিক পালাবদলের পালা?

Titel : Buyerahmadis parade-fars Schlagwort: Präsidentenwahl in Iran, Minderheiten in Iran, Religiöse und nationale Minderheiten in Iran Copyright: Fars quelle: Fars Agentur
ছবি: FARS

দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ইরানে বিরাজ করছে চরম অনিশ্চয়তা৷ যে রক্ষণশীল শক্তিরা দেশ চালাচ্ছে, তাদের নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব, কোন্দল৷ প্রায় প্রতি সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদের শিবির আর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লার অনুসারী সনাতনপন্থি রক্ষণশীলদের মধ্যে কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে কাজিয়া লেগে যায়৷

সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ (ডানে) দু’টি কার্যকালের পর আর প্রার্থী হতে পারবেন নাছবি: tasnimnews.com

খামেনেই-এর উদ্দেশ্য হলো, ক্ষমতার উপর একচেটিয়া দখল কায়েমি করা৷ আহমেদিনেজাদ তার বিরোধী৷ এর ফলে যাদের হঠাৎ একটা নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তারা হলেন ইরানের সংস্কারপন্থিরা৷

সবুজ আন্দোলন

ইরানে সংস্কারপন্থিদের দিন ফুরিয়েছে বলেই মোটামুটি ধরে নেওয়া হচ্ছিল৷ ২০০৯ সালে আহমেদিনেজাদ যখন দ্বিতীয় কর্মকালের জন্য নির্বাচিত হন, তখন সংস্কারপন্থিরা ‘‘সবুজ আন্দোলন'' নাম দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আয়োজন করেছিলেন৷ সংস্কারপন্থিদের দুই মুখ্য নেতা ছিলেন সাবেক সংসদ সভাপতি মেহদি কারুবি ও ইরানের সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী মির হোসেইন মুসাভি – ইরানে প্রধানমন্ত্রী পদটি ১৯৮৯ সালেই সরকারিভাবে তুলে দেওয়া হয়৷

২০০৯ সালে আহমেদিনেজাদ সরকারিভাবে জেতেন বটে, কিন্তু বহু ইরানির কাছে সেটা ছিল ব্যাপক নির্বাচনি কারচুপির ফল৷ সেজন্যই লক্ষ লক্ষ মানুষ পথে নামেন এই ধ্বনি তুলে: ‘‘আমার ভোট গেল কোথায়?'' পুলিশ সে আন্দোলন অংশত নির্মম বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দমন করে৷ মাত্র ছ'মাসের মধ্যে গণ অভ্যুত্থানের রেশ যেন বাতাসে মিলিয়ে যায়৷ দুই বিরোধী নেতা মুসাভি ও কারুবিকে গৃহান্তরীণ করা হয়৷ দু'টি বৃহত্তম সংস্কারপন্থি রাজনৈতিক দল – ইসলামি ইরানের অংশীদারি ফ্রন্ট ও ইসলামি বিপ্লবের মুজাহিদিন সংগঠন – উভয়কেই নিষিদ্ধ করা হয়৷

অচলাবস্থা

বহু বিরোধী রাজনীতিক ও আন্দোলনকারী, এছাড়া ব্লগার ও সাংবাদিকদের দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দণ্ডদান করে জেলে পাঠানো হয়েছে৷ যুগপৎ ইরানে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গেছে, যার একটা কারণ আন্তর্জাতিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হলেও, অপরটি হলো সরকারি নীতির ভুলভ্রান্তি৷

এই অচলাবস্থার পটভূমিতে সংস্কার আন্দোলন জুনের নির্বাচনে অংশ নেবার কথা ভাবছে৷ তাদের স্লোগান হবে: ‘‘আশা, আস্থা এবং স্থায়িত্বের সরকার''৷ তাদের পছন্দের প্রার্থী হলেন প্রেসিডেন্ট পদে আহমেদিনেজাদের পূর্বসুরী মোহাম্মদ খাতামি৷ সম্প্রতি ৯১ জন রাজনীতিক, আন্দোলনকারী ও কারাবন্দি বিরোধী রাজনীতিকদের আত্মীয়স্বজন একটি খোলাচিঠিতে খাতামির প্রতি বিরোধীদের প্রার্থী হবার আহ্বান জানিয়েছেন৷ খাতামির নাকি বিপুল ভোটে জেতার সম্ভাবনা আছে৷

তা বলে সংস্কারপন্থিদের সব সমর্থক যে ভোট দিতে যাবেন, এমন নয়৷ তাদের মধ্যে একাংশের ধারণা, ভোটে অংশগ্রহণ করার অর্থ, ‘‘এই একনায়কতন্ত্রকে বৈধতা দেওয়া'' – বিশেষ করে যখন এ নির্বাচনেও ভোটে কারচুপির আশঙ্কা রয়েছে৷ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেনেই তাঁর রাজনীতি না বদলানো অবধি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো অর্থ হয় না, বলে তাদের মত৷

প্রার্থীদের অংশগ্রহণও অনিশ্চিত

খাতামি অথবা অন্যান্য সংস্কারপন্থিদের প্রার্থী হবার সরকারি অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, তাও নিশ্চিত নয়৷ ‘প্রহরা পরিষদ' প্রার্থী বাছাই ও অনুমোদনের দায়িত্বে৷ ছ'জন মৌলানা আর ছ'জন আইনজ্ঞ এই পরিষদের সদস্য৷ ২০০৯ সালে এই প্রহরা পরিষদ ৪৭৫ জন আবেদনকারীর মধ্য থেকে মাত্র চারজনকে প্রার্থী হবার অনুমতি দেয়৷ কোনো মহিলার প্রার্থী হওয়ার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না৷

ইরানে সংস্কারপন্থিদের দিন ফুরিয়েছে বলেই মোটামুটি ধরে নেওয়া হচ্ছিলছবি: AP

তবে এবার কিছু সংস্কারপন্থি প্রার্থী রাখা হতে পারে শুধুমাত্র এই নির্বাচনকে বৈধতার একটা মেকি আবরণ দেবার জন্য – বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তবে যিনি জিতবেন, তাঁর সংস্কারপন্থি হলে চলবে না৷ অথবা সে ধারণাটাও হয়ত ভুল! খাতামি স্বদেশে জনপ্রিয়, বিদেশে তাঁর যথেষ্ট সুনাম আছে৷ তিনি প্রেসিডেন্ট হলে অর্থনীতির হাল ফিরবে, ইরানের উপর আন্তর্জাতিক চাপ কমবে৷ আয়াতোল্লার পক্ষে সেটা খারাপ কেথায়?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ