1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে মাত্রাধিক মদ্যপান

ইয়াশার ইরফানিয়ান / আরবি২৫ জুন ২০১৩

ইরানে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ৷ কেউ মদ্য পান করলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্তও হতে পারে৷ তা সত্ত্বেও অনেক ইরানি মদের নেশা থেকে মুক্ত হতে পারেন না৷ কেনার সামর্থ্য না থাকলে স্পিরিট দিয়ে বানানো অ্যালকোহল পান করে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনেন৷

Alkohol trinken ist im Iran verboten. Neben Eigenproduktion werden vermuntlich 60 bis 80 Millionen Liter Alkohol ins Land geschmugelt. Die Polizei endeckt vielleicht 20% bis 30%. Copyright: IRNA Juni, 2012
ছবি: IRNA

তেহরানের ২৩ বছর বয়সি এক তরুণ আনোউশ জানান, বাড়িতে বানানো মদ পান করার পর তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে বারবার হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে৷

কালোবাজারে অ্যালকোহলের দাম আকাশচুম্বী

আসলে আর্থিক টানাপড়েনের কারণে ইরানে অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে অ্যালকোহলের দামও বেড়ে গেছে৷ কালোবাজারে এক বোতল ভদকার দাম ১০০ ইউরোর মতো, জানান আনোউশ৷ পার্টিতে আনন্দস্ফূর্তি করতে অনেক তরুণ অ্যালকোহলের দিকে হাত বাড়ান৷ কিন্তু এত দাম দিয়ে ভদকা বা হুইস্কির মতো অ্যালকোহল কেনা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয় না৷ তাই নিজেরাই এক ধরনের মদ তৈরি করেন, যা পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই৷

ডাক্তার আরাশ ওকাজি জানান, ‘‘ইরানের কালোবাজারে এক ধরনের সস্তার মদ পাওয়া যায়, ইথালন ও মিথানলের এক বিপজ্জনক মিশ্রণ, যা পান করলে বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে৷ অন্ধত্ব এমনকি মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে মানুষের৷

এক রিপোর্টে জানা যায়, ২০১০ সালে ইরানে ভেজাল অ্যালকোহল পান করে ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে৷ সরকার কঠোর শাস্তির ভয় দেখিয়ে অ্যালকোহল পান থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে মানুষকে৷ ১৯৭৯ সালে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে মদ্যপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এই আইন অমান্য করলে শাস্তি হিসাবে ৮০ বেত্রাঘাতের ব্যবস্থা রয়েছে৷ কেউ তিনবার ধরা পড়লে ঝুলবে মৃত্যুদণ্ডের খড়গ৷

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নিন্দা

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই ধরনের আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চারএবং এটিকে বাতিল করার দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে৷

ইরানে মদ্যাসক্তদের সংখ্যা দেখে বোঝা যায় নিষিদ্ধকরণ ও কঠোর শাস্তির ভয় দেখিয়েও কাজ হচ্ছে না৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ইরানে দুই লাখ মানুষ মদ্যাসক্তির কারণে অসুস্থ৷ তবে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের মতে বাস্তব সংখ্যাটা আরো বেশি হবে৷ কেননা পাঁচ বছর ধরে সংখ্যাটা একই রকম থাকাটা বিস্ময়কর৷ এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার মদের চোরাচালান রোধ করার ব্যবস্থা নিয়েছে৷

চোরাচালানি সরগরম

সংবাদ সংস্থার তথ্য মতে, বছরে ৮০ মিলিয়ন লিটার অ্যালকোহল বেআইনিভাবে ইরানে আনা হয়৷ ইরাকের কুর্দ অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে উত্তর পশ্চিম সীমান্ত পথ দিয়ে ইরানে ঢোকে এই সব তরল পদার্থ৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুলিশ মাত্র ২৫ শতাংশ চোরাই মদ বাজেয়াপ্ত করে থাকে৷ ইরান পার্লামেন্টের সাংসদ একবাল মোহাম্মাদি মনে করেন, দুর্নীতিগ্রস্থ নিরাপত্তা রক্ষাকারীরাও এর পেছনে রয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে অনেকে চোরাচালানিতে সহযোগিতা করে কিছু অর্থ নিজের পকেটেও ভরেন৷

ইরানে এভাবে ধ্বংস করা হয় অ্যালকোহলছবি: MEHR

এক্ষেত্রে প্রয়োজন সচেতনতা জাগানো৷ তবে তা সত্ত্বেও সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কিনা সন্দেহ৷ ইরানিদের পক্ষে বিকল্প বা ভেজাল অ্যালকোহল পাওয়া খুব কঠিন নয়৷ অনায়াসে তাঁরা ইথানল জোগাড় করে বিষাক্ত মদ প্রস্তুত করতে পারেন৷

তেহরানের তরুণ আনোউশ জানান, ‘‘সাধারণত মদ্যাসক্তদের কাছে অ্যালকোহলের ডিলারদের টেলিফোন নম্বর থাকে৷ অ্যালকোহল না পাওয়া গেলে তাঁরা কঠিন মাদকের দিকে হাত বাড়ান৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ