1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরান চুক্তি:

১৪ জুলাই ২০১৫

অবশেষে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করলো নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য সহ জার্মানি৷ ১৮ দিন ধরে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মঙ্গলবার সকালে চুক্তি সই হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত খবর পাওয়া গেছে৷

Österreich Atomverhandlungen mit dem Iran in Wien
ছবি: Reuters/L. Foeger

চুক্তির আওতায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি জাতিসংঘের কড়া নজরের মধ্যে আসবে৷ বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ধাপে ধাপে তুলে নেবে পশ্চিমা বিশ্ব৷

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে টুইট করেছে৷

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত' বলে অভিহিত করেছেন৷ অবশ্য চুক্তিটি কোনো পক্ষের জন্যই ‘পুরোপুরি সন্তোষজনক নয়' বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি চুক্তি সইয়ের ফলে ‘নতুন দিগন্ত'-এর সূচনা হয়েছে বলে টুইট করেছেন৷

তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক ভুল' বলে মন্তব্য করেছেন৷ শুধু তাই নয়, চুক্তির আওতায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ফলে ইরান যে অর্থ পাবে তা দিয়ে তারা মধ্যপ্রাচ্য সহ সারা বিশ্বে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী৷

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোরঁ ফাবিউস মনে করছেন ইরানের সঙ্গে চুক্তিটি অন্তত ১০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকবে৷

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-র প্রধান ইউকিয়া আমানো বলেছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে একটি ‘রোডম্যাপ' স্বাক্ষর করেছেন৷ এর আওতায় ইরানের সম্ভাব্য পরমাণু অস্ত্র তৈরির পদক্ষেপগুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে৷ এরপর চলতি বছরের ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে আইএইএ-র পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে৷

আগের কথা

ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ ছিল, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির আড়ালে আসলে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে৷ কিন্তু ইরান সবসময় সেটা অস্বীকার করে বলেছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য চিকিৎসা সেবা ও গবেষণা৷

ইরান যেন পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে না পারে সেজন্য তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করতে পশ্চিমা বিশ্ব অনেকদিন ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছিল৷ কিন্তু তাতে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছিল না৷ ২০১৩ সালে ইরানের উদারপন্থি প্রেসিডেন্ট রুহানি ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকেই মূলত চুক্তির বিষয়ে সম্ভাবনা তৈরি হয়৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও তাঁর পররাষ্ট্র নীতিতে ইরান চুক্তিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন৷ ফলে দুই দেশের আগ্রহে ২০১৩ সালের নভেম্বরে একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি সই হয়েছিল৷ পরে যেটা চূড়ান্ত চুক্তিতে পরিণত হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু ২০১৪ সালে দু'বার সময় নির্ধারণ করার পরও সেটা সম্ভব হয়নি৷ এরপর আবার চলতি বছর জুনের ৩০ তারিখের মধ্যে একটি চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে দু’পক্ষই উদ্যোগ নেয়৷ পরে সেই সময়সীমাও দুবার পিছিয়ে অবশেষে একটি চুক্তি সই হলো৷

জেডএইচ/এসবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ