1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইরান

ইরান চুক্তি কি টিকে আছে?

৪ মে ২০২২

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয়টি দেশের একটি চুক্তি হয়েছিল৷ এর আওতায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে ইরান পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসার অঙ্গীকার করেছিল৷

Flagge des Iran
ছবি: K. Steinkamp/McPHOTO/picture alliance

কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ঐ চুক্তি থেকে বের হয়ে যায়৷ এরপর জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে চুক্তিটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়৷

চুক্তিটি পুনরুদ্ধারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্যোগে আলোচনা শুরু হয়৷ কিন্তু রাশিয়া ও ইরানের দুটি দাবির কারণে কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ এখন পর্যন্ত রাশিয়ার দাবি কৌশলে এড়ানো গেলেও ইরানের দাবি মানতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র৷ ইরানের ‘ইসলামিক রেভুলিউশনারি গার্ড কর্পস' বা আইআরজিসির নাম যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছে ইরান৷ কিন্তু সেটি করার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই বলে মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন৷

এই অবস্থায় ইরান চুক্তি পুনরুদ্ধার নিয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আলোচনায় স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে৷

তাহলে কি চুক্তিটি এখন মৃত বলা যায়? সেটি অবশ্য স্বীকার করতে রাজি নন পশ্চিমা কূটনীতিকরা৷ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একটি সূত্র জানায়, ‘‘তারা রোগীর হাত থেকে আইভি খুলে নিচ্ছেন না... তবে ইতিবাচকভাবে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমার প্রত্যাশা কম৷''

আরও চারজন পশ্চিমা কূটনীতিক নাম প্রকাশ করতে না চেয়ে রয়টার্সকে ইরান চুক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রায় একই মনোভাব প্রকাশ করেছেন৷ যেমন মার্কিন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘এটা কি মৃত? আমরা এখনও জানি না৷ আমাদের মনে হয় ইরানও জানে না৷''

এদিকে আইআরজিসির নাম সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবি থেকে সরে আসতে রাজি নয় ইরান৷ ‘‘এটা আমাদের জন্য রেডলাইন,'' বলে জানান ইরানের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা৷

ইরানের সঙ্গে চুক্তি করা দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়া৷

২০১৫ সালে চুক্তি সইয়ের আগে ইরানের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ব্যাপারে রাশিয়া ও চীনের সমর্থন পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ কিন্তু এখন রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করায় এই দুই দেশের সঙ্গে বাকি দেশগুলোর বিভক্তি তৈরি হয়েছে৷ এই বিষয়টিও ইরান চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে বলে মনে করছেন পশ্চিমা কূটনীতিকেরা৷

জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ