অ্যামেরিকায় মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়াল। তারই মধ্যে ইরান নিয়ে দ্বিচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
বিজ্ঞাপন
ইরান নিয়ে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিচারিতা অব্যাহত। মধ্যপ্রাচ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইরান। মৃত পাঁচ হাজারেরও বেশি। এই অবস্থায় ট্রাম্প আবার ইরানকে সাহায্য করতে চাইলেন, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা তোলা নিয়ে একটা কথাও বললেন না। অথচ, ইরান এর আগে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিল, নিষেধাজ্ঞা না তুললে তারা অ্যামেরিকার কাছ থেকে কোনও সাহায্য় নেবে না। রোববার সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প জানান, ''ইরান চাইলে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত অ্যামেরিকা।'' তবে একই সঙ্গে ট্রাম্পের বক্তব্য, ''করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের আসল সংখ্যা প্রকাশ করছে না ইরান।'' অর্থাৎ, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা থেকেও ট্রাম্প সরে আসছেন না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব নেহাতই লোক-দেখানো। ট্রাম্প নিযেধাজ্ঞা তুলে নিলে তাঁর সদিচ্ছা বোঝা যেত। তিনি জানেন, নিষেধাজ্ঞা থাকলে ইরান সাহায্য নেবে না। কারও কারও মতে সাহায্যের নামে আসলে ব্যবসার কথা ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইরানকে তিনি ভেন্টিলেটর দিতে চেয়েছেন। বর্তমান সময়ে যার দাম এবং চাহিদা-- দুটোই আকাশছোঁয়া। বিশেষজ্ঞদের আরেক অংশের বক্তব্য, নির্বাচনের আগে ইরানকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনা ভোঁতা করতে চাইছেন ট্রাম্প।
করোনায় মানুষের চলাফেরায় গুগলের নজরদারি
করোনার সময় মানুষ কোথায় কোথায় যাচ্ছেন? তার হিসেব করেছে গুগল৷ সম্প্রতি একটি ‘কমিউনিটি মোবিলিটি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে তারা, যেখানে উঠে এসেছে বিভিন্ন দেশের তথ্য৷ আছে বাংলাদেশেরও৷
ছবি: Getty Images/J. Sullivan
কমিউনিটি মোবিলিটি রিপোর্ট
কেনাকাটা ও বিনোদন, মুদি দোকান ও ফার্মেসি, পার্ক, বাস-ট্রেন স্টেশন, কর্মক্ষেত্র এবং বাসায় মানুষের যাতায়ত ও অবস্থানে কতটা পরিবর্তন ঘটেছে সেই তথ্য বের করেছে গুগল৷ এজন্য বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহারকারীদের লোকেশন ডেটা ব্যবহার করেছে তারা৷ সবশেষ ডেটাকে তুলনা করা হয়েছে ফেব্রুয়ারির সঙ্গে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Da Qing
বিনোদন, কেনাকাটায় ভাটা
রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, শপিং সেন্টার, থিম পার্ক, জাদুঘর, লাইব্রেরি এবং মুভি থিয়েটারগুলো রয়েছে এই ক্যাটাগরিতে৷ ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এসব জায়গায় বাংলাদেশের মানুষের যাতায়ত বা গতিশীলতা ৭৬ ভাগ কমেছে৷ ভারতে কমেছে ৮০ ভাগ, নেপালে ৭৭ ভাগ আর পাকিস্তানে ৬৫ ভাগ৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
দোকানে যাতায়ত কমেছে অর্ধেক
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার, খাদ্য গুদাম, কৃষি বাজার, ওষুধের দোকানে বাংলাদেশের মানুষের যাতায়ত আগের চেয়ে ৫৫ ভাগ কমে গেছে৷ একই হারে কমেছে ভারতেও৷ নেপালে কমেছে ৬৮ ভাগ, পাকিস্তানে ৪৭ ভাগ৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
পার্কে বেড়ানো কমেছে
জাতীয় উদ্যান, সমুদ্র সৈকত, নগর চত্বর, কিংবা পার্কগুলোতে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন মানুষ৷ এপ্রিলে এসে ফেব্রুয়ারির তুলনায় তা কমেছে ৩৪ ভাগ৷ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপালে ৫৫ ভাগ, ভারতে ৫২ ভাগ, পাকিস্তানে পার্কে বেড়ানোর প্রবণতা কমেছে ৩৬ ভাগ৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
যোগাযোগ কমেছে তিন চতুর্থাংশ
বাংলাদেশে বাস, রেল স্টেশনের মত যোগাযোগ কেন্দ্রগুলোতে মানুষের গতিশীলতা ৭২ ভাগ কমে গেছে৷ প্রায় একই হারে কমেছে ভারত ও নেপালেও৷ তবে পাকিস্তানে এই হার হ্রাস পেয়েছে ৫৫ ভাগ৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
কাজে যাচ্ছে না মানুষ!
বাংলাদেশে ২৭ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে৷ এর প্রভাবে ফেব্রুয়ারির তুলনায় এপ্রিলে কর্মক্ষেত্রে মানুষের গতিশীলতা ৫৮ ভাগ কম ছিল৷ ৪৮ থেকে ৬৪ ভাগ গতিশীলতা কমেছে ভারত, পাকিস্তান, নেপালেও৷
ছবি: DW/H. U. R. Swapan
বাসায় থাকার প্রবণতা বেড়েছে
ছুটি আর বিধিনিষেধে মানুষের ঘরে সময় কাটানোর প্রবণতা বেড়েছে৷ গৃহস্থলে থাকার হার এই এক মাসে ২৫ ভাগ বেড়েছে৷ এক্ষেত্রে ৩০ ভাগ বেড়েছে ভারতে, ১৯ ভাগ পাকিস্তানে আর ২১ ভাগ নেপালে৷
ছবি: Shib Sankar Rabidas
গতিশীলতা ব্যাপক কমেছে ইউরোপে
ইউরোপের কোভিড ১৯ এ বেশি আক্রান্ত দেশগুলোতে মানুষের গতিশীলতা ব্যাপক হারে কমেছে৷ স্পেন, ইটালি, ফান্সে দোকান ও বিনোদন কেন্দ্রে যাতায়ত হ্রাস পেয়েছে ৮৬ থেকে ৯০ ভাগ৷ এসব দেশের মানুষ এমনকি পার্কে ভ্রমণও আগের চেয়ে আশিভাগ কমিয়ে দিয়েছেন৷
ছবি: Imago Images/Zuma Wire
যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রা বদলেছে কম!
পৃথিবীতে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র৷ কিন্তু সংক্রমণে উপরের দিকে থাকা দেশগুলোর তুলনায় তাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন কমই ঘটেছে৷ ফেব্রুয়ারির তুলনায় এপ্রিলে ৪৫ ভাগ কমেছে কেনাকাটা বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়া, পার্কে যাতায়ত কমেছে ১৬ ভাগ৷ আর যোগাযোগ কেন্দ্রগুলোতে মানুষের চলাচল ছিল আগের চেয়ে ৪৯ ভাগ কম৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/M. Dwyer
পার্ক ভ্রমণ বেড়েছে জার্মানিতে
জার্মানিতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত৷ লকডাউন করা না হলেও দেশটিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে রয়েছে বিধিনিষেধ৷ মানুষ এই সময়ে দোকান, বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু কমাননি পার্ক ভ্রমণ৷ বরং ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৩৫ ভাগ বেড়েছে৷ নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের বাসিন্দারা এমনকি আগের চেয়েও ৭৭ ভাগ বেশি সময় কাটাচ্ছেন পার্কগুলোতে৷
ছবি: Reuters/A. Hilse
10 ছবি1 | 10
এপ্রিলের গোড়ার দিকে আরও একবার ইরানকে মানবিক সাহায্যের কথা বলেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সে সময় ইরান তা নিতে রাজি হয়নি। ইরান প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ট্রাম্প যদি ইরানকে সত্যিই সাহায্য করতে চান, তা হলে তাদের ওপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হোক। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে অনড় ডনাল্ড ট্রাম্প। রোববারের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ''করোনার প্রকোপে কাবু ইরান। বহু মানুষ আক্রান্ত। যদিও ওরা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা গোপন করছে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যামেরিকা ইরানকে সাহায্য করতে চায়। আমরা ইরানকে ভেন্টিলেটর পাঠাতে পারি। করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য আরও কিছু প্রয়োজন হলে আমরা পাঠাতে পারি।'' কিন্তু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কি তোলা হবে? রোববার কিছু না বললেও, আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার কোনও প্রশ্নই নেই। বস্তুত, করোনা সংকট কালে এ নিয়ে দেশের ভিতরে এবং বাইরে যথেষ্ট সমালোচনার মুখোমুখিও হতে হয়েছে প্রেসিডেন্টকে। ডেমোক্র্যাটরা বার বার বলেছেন, বিপদের সময় অমানবিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিত। পরমাণু শক্তির প্রশ্নে ২০১৫ সালে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
ইরানকে ভেন্টিলেটর দিয়ে সাহায্য করতে চাইছেন ট্রাম্প। কিন্তু তাঁর নিজের দেশে যথেষ্ট ভেন্টিলেটর আছে তো? নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সির মতো প্রবল ভাবে করোনা আক্রান্ত রাজ্য গুলির বক্তব্য, হাসপাতালে বেড নেই। প্রয়োজনের তুলনায় ভেন্টিলেটরের সংখ্যা নেহাতই অপ্রতুল। চিকিৎসকদের পিপিই বা সুরক্ষা পোশাকের অভাবও যথেষ্ট। বস্তুত সোমবার সকাল পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী অ্যামেরিকায় করোনা ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে সাড়ে সাত লাখ। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন ৪০ হাজারের কিছু বেশি লোক। কেবলমাত্র নিউ ইয়র্কেই মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজারের কিছু বেশি। তার পরেই রয়েছে নিউ জার্সি। তবে নিউ ইয়র্কের গভর্নরের বক্তব্য, আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য হলেও কমতে শুরু করেছে।
ইটালিতে ঘরবন্দি জীবনে আনন্দের রং
কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর মিছিল এখনো থামেনি। তাই বলে ইটালিতে জীবন থেমে নেই। উত্তরাঞ্চলে লকডাউনের নিয়মে বাঁধা পড়লেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে মানুষ। দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Reuters/M. Toniolo
বাবা যখন সং
দু বছরের মেয়ে বিয়াংকার সঙ্গে মজা করার জন্য সং সাজছেন সান ফিওরানোর এক স্কুল শিক্ষক বাবা।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
সুপার মার্কেটের সামনে লম্বা লাইন
ইটালির উত্তরাঞ্চলের শহর কদানোর এক সুপার মার্কেটের সামনের রাস্তায় ক্রেতাদের লম্বা লাইন।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
সুপার মার্কেটের তাক খালি
লম্বা লাইনে অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর সুপার মার্কেটে ঢুকে এমন খালি তাকও দেখতে হয় ক্রেতাদের।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
দাদা-নাতনির ফুটবল
করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে হবে, তাই ফুটবল খেলার সময়ও মাস্ক পরতে ভোলেনি দাদা-নাতনি।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
ব্যস্ত দাদা, আনন্দে নাতনি
ঘরের মেঝে পরিষ্কার করছেন সান ফিওরানো শহরের এক প্রবীণ, পাশেই ব্যালেরিনার স্কার্ট পরে খেলায় ব্যস্ত নাতনি বিয়াংকা।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
ঈশ্বর, ইটালিকে রক্ষা করো!
এক বাড়ির দরজায় ছোট্ট কাগজে লেখা, ‘‘ঈশ্বর, ইটালিকে তুমি রক্ষা করো!’’
ছবি: Reuters/M. Toniolo
বিয়াংকা ঘুমায়, পুতুল জাগে
ঘরে সমবয়সি কেউ নেই। বিয়াংকার নিত্যসঙ্গী তাই পুতুল। পুতুল পাশে নিয়ে ঘুমাচ্ছে দু'বছরের বিয়াংকা।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
খেলার সাথী শামুক
বাড়ির সামনে কতগুলো শামুক ধরে এনে কাগজে সাজিয়ে তাদের সঙ্গে খেলছে বিয়াংকা।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
কড়া পাহারা
চাইলেও যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ানো যায় না। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়া একজনকে জেরা করছে পুলিশ।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ
বাড়িতে যাদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সব ওষুধ নিয়ম মেনে গুছিয়ে রাখা। সেই কাজই করছেন একজন।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
কাপড় শুকানো
নিজের কাপড় ধুয়ে শুকাতে দিচ্ছেন এক প্রবীণ।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
সূর্যস্নান
ঝলমলে রোদ উঠেছে। সময় ভালো হলে দূরে কোথাও গিয়ে সূর্যের উষ্ণতা গায়ে মাখা যেতো। লকডাউনে তার উপায় নেই বলে বাড়ির কাছের জঙ্গলে শুয়েই সেই স্বাদ নিচ্ছেন চিয়ারা।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
অন্যরকম ক্যানভাস
ছবি আঁকতে ইচ্ছে করছে, তাই বাবার পা-ই বিয়াংকার ক্যানভাস!
ছবি: Reuters/M. Toniolo
স্ত্রীর ভালোবাসা
প্রবীণ স্বামীর হাত ধুয়ে দিচ্ছেন স্ত্রী।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
সামাজিক দূরত্বের ভলিবল
কদোনা শহরে মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই চলছে ভলিবল প্রশিক্ষণ।
ছবি: Reuters/M. Toniolo
ফাঁকা দোকান
দোকান খুলেছেন সিলভিয়া। কিন্তু ফিওরানোর দোকানে এখন ক্রেতার বড় অভাব।
করোনাকালেও কোনো এক রসিকের রসিকতা, ফিওরানো শহরে মূর্তির মুখে ও তাই মাস্ক!
ছবি: Reuters/M. Toniolo
18 ছবি1 | 18
আশার আলো দেখছে ইউরোপ। রোববার গত এক মাসের মধ্যে এক দিনে সব চেয়ে কম মৃত্যু ঘটেছে স্পেনে। এখনও পর্যন্ত স্পেনে মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২০ হাজার। ইটালিতেও আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন কমছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৬৬০ জনের। জার্মানি সহ ইউরোপের বহু দেশেই ধীরে ধীরে জীবনযাত্রা স্বাভাবিকের পথে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। জার্মানিতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার কড়াকড়ি থাকলেও একটি একটি করে নিয়ম শিথিল করা হচ্ছে। ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো।
আশার আলো চীনেও। গত দুই দিনে সেখানে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। গত তিন দিনে দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কুড়ির নীচে নেমে গিয়েছে। মালয়েশিয়া পরীক্ষামূলক ভাবে আগামী ১৮ মে এক দিনের জন্য পার্লামেন্টের অধিবেশন ডেকেছে। সোমবার বিকেলে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও লকডাউন বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। অস্ট্রেলিয়ায় বেশ কিছু অর্থনীতিবিদ সরকারের কাছে চিঠি লিখেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, লকডাউন না তুললে অর্থনীতি ধসে পড়বে। কিন্তু লকডাউন তুললেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
ইউরোপ এবং অ্যামেরিকায় সামান্য স্বস্তির ছবি দেখা গেলেও ভারতীয় উপমহাদেশের পরিস্থিতি ভালো নয়। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ বলছেন, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহ সব চেয়ে ভয়ঙ্কর হতে পারে। বস্তুত গত এক সপ্তাহে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। প্রতিদিনই সংখ্যাটি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, পাকিস্তানে আক্রান্ত আট হাজার ৩৮৪, মৃত ১৬৮ জন। বাংলাদেশে আক্রান্ত প্রায় দুই হাজার ৫০০ জন। মৃত ৯১ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট বলছে, এখনও পর্যন্ত বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ। মৃত এক লাখ ৬৫ হাজার। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ছয় লাখ ২৫ হাজার।