1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরান - সমালোচনার ভাষা কড়া করলেন ওবামা

২৪ জুন ২০০৯

ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পশ্চিম দুনিয়া কখনোই নাক গলাচ্ছে না বা কোনভাবে প্ররোচনা দিচ্ছে না৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই মন্তব্যের পাশাপাশি কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন বিক্ষোভ দমনে ইরানের নির্দয় আচরণের৷

ইরানে নির্যাতনের দৃশ্য হৃদয়বিদারক, বলেছেন ওবামাছবি: DW

মিথ্যা অভিযোগ তুলছে ইরানের প্রশাসন৷ পাশ্চাত্যবিশ্ব কোনভাবেই ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্ররোচনা দিচ্ছে না৷ সাংবাদিকদের মুখোমুখি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে বেশ কড়া ভাষাতেই কথা বললেন ইরান প্রসঙ্গে এতদিনে৷ বস্তুত ইরানের বিতর্কিত নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনের পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ইত্যাদি প্রসঙ্গে ওবামা এতদিন তেমনভাবে মুখ খোলেন নি৷ বিরোধী রিপাবলিকানদের কাছে যেজন্য তাঁকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল৷ রিপাবলিকানরা ইরানের অভ্যন্তরীণ চরম পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ওবামার নৈঃশব্দকে ব্যাখ্যা করছিলেন অতি দুর্বল প্রতিক্রিয়া বলে৷ মঙ্গলবার কিন্তু প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের চতুর্থ হোয়াইট হাউজ সাংবাদিক সম্মেলনে ওবামা বেশ সোচ্চার হয়েই সমালোচনা করলেন তেহরান প্রশাসনের আচরণের৷ বললেন, যেভাবে বিক্ষোভকারীদের দমন করা হচ্ছে সেইসব দৃশ্য হৃদয় বিদারক৷ বললেন, কড়া ভাষায় এই দমননীতির নিন্দা করছেন তিনি, সেইসঙ্গে ইরানে প্রতিটি অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর জন্য গভীর যন্ত্রণা বোধ করছেন ওবামা৷ ইরানে যেভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর পীড়নের পন্থা বেছে নিয়েছে তেহরান প্রশাসন, তা অনৈতিক এবং কখনোই তা মেনে নেওয়া যায় না, বলেছেন ওবামা৷

কিন্তু এই প্রতিক্রিয়া জানাতে এতটা সময় কেন নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ? সাংবাদিকরা যখন এই প্রশ্ন তুলেছেন তখন তাঁরও যুক্তিপূর্ণ জবাব দিতে ভোলেন নি যুবক মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ এর উত্তরে তিনি বলেছেন, ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে যদি প্রথম থেকেই খুব চড়া প্রতিক্রিয়া তিনি দেখাতেন, সেক্ষেত্রে স্বতঃস্ফুর্ত গণতান্ত্রিক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ আন্দোলনের গায়ে সহজেই মার্কিন সমর্থনের তকমা লাগিয়ে দিতে পারত ইরানের শাসকজোট৷ যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হত আন্দোলনের স্বাভাবিক অগ্রগতি৷ তবে সমালোচনার পাশাপাশি ইরানের প্রশাসনের উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুরোধ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ বলেছেন, ইরান সরকারের উচিত দেশের সাধারণ জনগণের দৃষ্টিভঙ্গিতে পুরো ঘটনাটির যৌক্তিকতা বিচার করা৷ তাহলে সহজ সমাধানের পথে এগোনোর কাজটা সহজতর হবে, ব্যাখ্যা করেছেন তিনি৷

ইরান - চিন্তিত জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনছবি: picture-alliance/ dpa

দেশের সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে পুরো বিষয়টির পর্যালোচনা করার জন্য তেহরানকে পরামর্শ দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনও৷ জনসাধারণের ইচ্ছা এবং দাবির মূল্য দেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন৷ যদিও তেহরানের অভিযোগের আঙুল শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন বা অন্য কিছু পাশ্চাত্যদেশের বিরুদ্ধেই নয়, উঠেছে জাতিসংঘের বিরুদ্ধেও৷ তাদের বক্তব্য, ইরানের অভ্যন্তরে চলতি বিক্ষোভ আন্দোলনে হাত রয়েছে জাতিসংঘেরও৷ মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এক বিবৃতির মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলা হয়েছে, বান কি-মুন ইরান সরকারের সমালোচনা করে নিজের অবস্থানকে বিতর্কিত করে তুলেছেন৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদনা: হোসাইন আবদুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ