1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরান সম্পর্কে নেতানিয়াহুর সাবধানবাণী নিয়ে বিতর্ক

৩ মার্চ ২০১৫

ইসরায়েলে নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিতর্কিত ওয়াশিংটন সফর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াও সরগরম৷ প্রশ্ন উঠছে, এই সফরের উদ্দেশ্য কি ইরান সম্পর্কে সাবধানবাণী, নাকি নিজের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি?

USA Washington AIPAC Konferenz Benjamin Netanjahu Ministerpräsident Israel
ছবি: REUTERS/Jonathan Ernst

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিশেষ সম্পর্ক দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে – এমনটাই প্রচলিত ধারণা৷ কিন্তু অ্যামেরিকার রিপাবলিকান দলের আমন্ত্রণে ইসরায়েলে নির্বাচনের ঠিক আগে মার্কিন কংগ্রেসে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ অনেকের কাছেই দৃষ্টিকটু লাগছে৷ গোটা প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও এ নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন৷ এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নির্দল সদস্য বার্নি সান্ডার্স লিখেছেন, ‘‘মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে স্পিকারের খেলা করা উচিত নয়৷

প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রকাশ্যে ইরানের নীতি সম্পর্কে নেতানিয়াহু-র বিচারবুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ ‘দ্য সল্ট লেক ট্রিবিউন' পত্রিকার কার্টুনিস্ট প্যাট বেগলি তীর্যক মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘‘নেতানিয়াহু জানেন, ইরান এক থেকে তিন বছরের মধ্যে বোমা তৈরি করতে চলেছে, যেমনটা তিনি ১৯৯৩ সালেও জানতেন৷''

ইরান সম্পর্কে নেতানিয়াহু-র মূল্যায়ন নিয়ে একই সুরে মন্তব্য করেছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হিউম্যান রাইটস ল রিভিউ' পত্রিকার সম্পাদক বাসাম খোয়াজা৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘১৯৯২ সাল থেকেই নেতানিয়াহু ইরান সম্পর্কে সাবধান করে চলেছেন৷''

ব্রিটিশ আইনজীবী ও লেখক রুপার্ট মায়ার্স এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের ভিতরে নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন ভাষণ সম্পর্কে সংশয়ের চিত্র তুলে ধরেছেন৷ সে দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মতে, নেতানিয়াহুর ভাষণের ফলে ইসরায়েলের বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষতি হবে এবং ইরান আরও সাহসী হয়ে উঠবে৷

ইরানের সঙ্গে সমঝোতাকে কেন্দ্র করে নেতানিয়াহু ও ওবামার মনোমালিন্য ফিলিস্তিনিদের কাছে মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করেন লেখক ম্যাক্স ব্লুমেনাল৷ তিনি এক ফিলিস্তিনি সূত্রকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন:

তবে নেতানিয়াহুর ভাষণের পক্ষেও অনেক বার্তা দেখা যাচ্ছে৷ কেরি নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘আপনিও কি নিজের দেশের জন্য এমন এক নেতা চান না, যিনি নেতানিায়াহুর মতো ইসরায়লের জন্য লড়ছেন?''

সরাসরি ওবামার বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন অনেকে৷ ক্যারোলাইন ক্রেগ লিখেছেন, ‘‘ওবামা যদি নেতানিয়াহুর ভাষণ সম্পর্কে নিজস্ব ক্রোধ যদি আইসিস-এর প্রতি দেখাতেন, তাহলে ভালো হতো৷''

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ