1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ‘ইলেকট্রিক কার'

১৬ আগস্ট ২০১৪

নয়ত জার্মানি গাড়ি-পাগল দেশ৷ পেট্রোল সেভিং-এও তাদের জুড়ি নেই৷ অথচ ইলেকট্রিক কার-এর ক্ষেত্রে সেই জার্মানিই আবার চলছে ঢিমে তালে৷ সরকারও চান পথে-ঘাটে আরো বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি৷ অলীক আশা৷

Merkel IAA 12.09.2013
ছবি: Reuters

২০০৯ সালে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ঘোষণা করেছিলেন যে, লক্ষ্য হলো, ২০২০ সালের মধ্যে জার্মানিতে দশ লাখ ইলেকট্রিক কার চলবে৷ তাঁর – বর্তমান – পরিবহণ মন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডোব্রিন্ট তো এই সেদিন বলেছেন, ‘‘আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব বলেই আমাদের বিশ্বাস৷'' বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন: ম্যার্কেল ওর বদলে যদি বলতেন, ২০২০ সালের মধ্যে চাঁদে এক লক্ষ গাড়ি চলবে, তাহলে সেটাই বেশি বাস্তবসম্মত হত৷

২০১৪ সালের প্রথমার্ধের হিসেব অনুযায়ী জার্মানিতে ইলেকট্রিক কার-এর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৯০০৷ অর্থাৎ পেট্রোল অথবা ডিজেলে চলা প্রতি দশ হাজার গাড়ি প্রতি ইলেকট্রিক কার-এর সংখ্যা ছিল – চার৷ ঠিকই দেখেছেন: দশ হাজার বনাম চার৷ এমনকি ফ্রান্সেও প্রতি দশ হাজার পেট্রোলে চলা গাড়ির তুলনায় ইলেকট্রিক কার চলে দশটা৷

অথচ সরকার উৎসাহ দিতে কার্পণ্য করেননি৷ ইলেকট্রিক গাড়ি কিনলে প্রথম দশ বছর কোনো রোড ট্যাক্স দিতে হয় না৷ তা-তেও বিশেষ কাজ হয়নি, তাই সরকার এবার নতুন প্রলোভন দেখাচ্ছেন: শহরের ভিতরে বাস চলার লেনে চলতে পারবে ইলেকট্রিক কার; বিনি খরচায় পার্ক করতে পারবে; নতুন করে চার্জ করার কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে পার্কিং-এর ব্যবস্থা রাখা হবে৷

কিন্তু কিছুতেই কিছু কাজ হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷ তারা চান, ইলেকট্রিক কার-এর জন্য কর ছাড় – যেমন যে সব কোম্পানি তাদের অফিসের গাড়ি হিসেবে ইলেকট্রিক কার রাখবে, তাদের জন্য৷ কিন্তু সরকার আপাতত সেদিকে এগোতে রাজি নন – যার মূল কারণটা সম্ভবত অন্যত্র৷ আসলে স্রেফ প্রযুক্তির দৃষ্টিকোণ থেকেই জার্মান গাড়ি শিল্প এখনও অতদূর পৌঁছায়নি৷ তাই সরকার প্রথাগত পেট্রোল কি ডিজেল চালিত মোটর শিল্পকে আরো কিছুটা সময় দিতে চাইছেন বলে অনেকের ধারণা – যেমন সবুজ দলের পরিবহণ সংক্রান্ত মুখপাত্র ভ্যালেরি ভিলম্স-এর৷

ভিলম্স বলেন: সরকার চান না যে, মার্কিন টেসলা কিংবা ফরাসি রেনো-র মতো মোটর কার নির্মাতারা জার্মান মার্সিডিজ-এর চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পাক৷ অবশ্য জার্মান গাড়ি-নির্মাতারা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে৷ ডাইমলার স্মার্ট-এর একটি ইলেকট্রিক সংস্করণ বাজারে ছেড়েছে৷ ফোক্সভাগেন দেখিয়েছে মিনি এবং গল্ফ-এর ইলেকট্রিক সংস্করণ৷ বিএমডাব্লিউ তো তার হাই-এন্ড আই-থ্রি মডেল এনে সবার নজর কেড়েছে৷

অবশ্য সমস্যাটা সম্ভবত অন্য কোথাও৷ জার্মানিতে ইলেকট্রিক কার-এর ব্যাটারি রি-চার্জ করার স্টেশনগুলোর সংখ্যা চার হাজার৷ এ বছরের শেষে ফ্রান্সে রি-চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াবে দশ হাজার৷

এখন ডিম আগে না মুর্গি আগে, সে তর্ক তুলবেন না প্লিজ!

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ