1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরি

৩০ নভেম্বর ২০২১

গোটা বিশ্বে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বেড়েই চলেছে৷ আপাতত এশিয়ার কয়েকটি দেশ এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেও ইউরোপ দ্রুত গবেষণা ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা সম্বল করে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নিতে চায়৷

Volkswagen E-Golf
ছবি: Getty Images/J. Schlueter

ইলেকট্রিক গাড়ির জয়যাত্রা থামার কোনো লক্ষণ নেই৷ জার্মানিতে এমন গাড়ির সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ শুধু গত বছরেই প্রায় দুই লাখ ইলেকট্রিক গাড়ি পথে নেমেছে, যা একটা রেকর্ড৷ সেই প্রবণতা বেড়েই চলেছে৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা ২০৩০ সালে ইউরোপে নতুন গাড়ির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই বিদ্যুৎ শক্তিতে চলবে৷

এমন পূর্বাভাসের কারণে জার্মানির গাড়ি শিল্পও নড়েচড়ে বসছে৷ পর্শে কোম্পানির কর্মকর্তা মিশায়েল স্টাইনার বলেন, ‘‘চলতি দশকে আমরা সম্পূর্ণ ও আংশিক ইলেকট্রিক গাড়ির অনুপাত উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়াতে চাই৷ তবে শেষ পর্যন্ত ক্রেতারাই পছন্দের গাড়ি বেছে নেবেন৷ আমাদের শুধু ক্রেতাদের প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে৷''

অর্থাৎ ‘কাস্টমার ইজ কিং' মূলমন্ত্র সম্বল করে ‘মেড ইন জার্মানি' ছাপের প্রতি প্রত্যাশা অনুযায়ী সেরা মান নিশ্চিত করতে হবে৷ সে কারণে পর্শে জার্মানিতেই ব্যাটারি উৎপাদন করতে চায়৷

ইউরোপে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি

04:45

This browser does not support the video element.

সেই লক্ষ্যে এই কোম্পানি কাস্টমসেল্স নামের ব্যাটারি প্রস্তুতকারকের সঙ্গে জোট বেঁধে ২০২৪ সাল থেকেই ব্যাটারি উৎপাদন শুরু করতে চায়৷ সেলফোর্স গ্রুপের সিটিও টর্গে ট্যোনেসেন বলেন, ‘‘আমরা শুধু ‘স্টেট অফ দ্য আর্ট'-এর তুলনায় আরও উন্নত ব্যাটারি প্রযুক্তি সৃষ্টি করতে চাই না৷ সেইসঙ্গে উৎপাদন প্রযুক্তিও আরও সাশ্রয়ী করে তুলতে চাই, যাতে জার্মানিতেও ন্যায্য মূল্যে ব্যাটারি সেল উৎপাদন করা সম্ভব হয়৷''

এখনো পর্যন্ত এশিয়ার কোম্পানিগুলিই এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে৷ কিন্তু সেই পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে৷ জার্মানির সব বড় গাড়ি কোম্পানি দেশের মধ্যে এবং সম্ভব হলে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদনের ঘোষণা করেছে৷

সেই প্রক্রিয়া আরও তরান্বিত করতে জার্মানির ফেডারেল সরকারও প্রায় ৩০০ কোটি ইউরো ব্যয় করে ব্যাটারি সেল গবেষণা ও উৎপাদনের লক্ষ্যে জোরালো মদত করছে৷

ইয়ুলিয়ান শ্ভেনৎসেল ২০ বছর ধরে নতুন ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন৷ তাঁর মতে, ‘‘অন্য দেশগুলিও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ব্যাটারি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতির মুখ দেখছে৷ তাই গতি নিশ্চিত করা জরুরি৷''

গোটা বিশ্বে ব্যাটারি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা তুঙ্গে উঠেছে৷ জার্মানিও সেই দৌড়ে শামিল হয়েছে৷ তবে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকতে হলে জার্মানিকে এশিয়ার অপেক্ষাকৃত সস্তার ব্যাটারির তুলনায় অনেক উন্নত ও শক্তিশালী প্রযুক্তি সৃষ্টি করতে হবে৷

জার্মানির উত্তরে ইউনিভার্সেল নামের কোম্পানি বর্তমানে ব্যাটারির ফয়েল তৈরি করছে৷ প্রতিযোগীদের তুলনায় সেই মোড়ক আরও ভালোভাবে শক্তি ধারণ করতে পারছে৷ এভাবে ব্যাটারি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে৷ ফলে ইলেকট্রিক গাড়ির রেঞ্জ আরো বেড়ে যাবে৷ কোম্পানির প্রতিনিধি স্টেফান পের্মিয়েন মনে করেন, ‘‘সেটার জন্য আরও উদ্ভাবনী শক্তির প্রয়োজন৷ বিশেষ করে ইউরোপেই সেই প্রক্রিয়ার গতি  আরও বাড়াতে হবে৷ কারণ বর্তমানে কোরিয়া, চীন ও জাপানের মতো এশিয়ার দেশগুলিতেই ইলেকট্রোমিবিলিটির জন্য প্রয়োজনীয় সেল তৈরি হচ্ছে, ইউরোপে নয়৷ তবে মনে রাখতে হবে, যে আমরা এশিয়ায় তৈরি পণ্য নকল করছি না৷ আমরা এখানে উদ্ভাবনের মাধ্যমে রসায়ন, প্রযুক্তি ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি আনতে চাই৷''

আবার পর্শে কোম্পানিতে ফেরা যাক৷ অন্য গাড়ি প্রস্তুতকারকের মতো এই স্পোর্টস কার কোম্পানিও মৌলিক পরিবর্তনের মুখে দাঁড়িয়ে৷ কোম্পানির কর্মকর্তা মিশায়েল স্টাইনার বলেন, ‘‘ইলেকট্রোমিবিলিটির তাৎপর্য সম্পর্কে আমাদের মনে কোনো সংশয় নেই৷ আমরা ধাপে ধাপে আরও ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আনবো৷ ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের ৮০ শতাংশ ক্রেতা ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করছি৷''

মোটকথা গাড়ি শিল্পের ভবিষ্যৎ ইলেকট্রিক প্রযুক্তিসর্বস্ব হতে চলেছে৷ জার্মানি এই বিশাল রূপান্তরের শুধু অংশ হতে চায় না, এ ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকাও রাখতে চায়৷ ব্যাটারি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এশিয়ার কোম্পানিগুলি আপাতত এগিয়ে থাকলেও সে ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারে৷

আর হ্যাঁ, জলবায়ু সংরক্ষণের বিষয়টিও অবশ্য ভুললে চলবে না৷

আনা সাভচুক/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ