1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেসলা-র সাফল্য

রাইমুন্ড স্ট্যুন্ডেল / এসি৭ ডিসেম্বর ২০১৩

বড় আকারে ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণের সাহস যারা দেখাচ্ছে, তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে মার্কিন সংস্থা ‘টেসলা’৷ বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে এই গাড়ির ডিজাইনেও প্রায় সবদিক ভাবা হয়েছে৷

Alternative Antriebe auf der AMI
ছবি: picture-alliance/dpa

টেসলা মডেল এস পারফর্মেন্স গাড়িটির অ্যাক্সিলারেশন দুর্দান্ত৷ রেয়ার অ্যাক্সল-এ বসানো ইলেকট্রিক মোটরটি হল ৩১০ কিলোওয়াটের, সর্বোচ্চ টর্ক ৬০০ নিউটনমিটার, যা কিনা প্রথম রেভোলিউশন থেকেই পাওয়া যায়৷ জার্মান অটোমোবাইল ক্লাব-এর মার্টিন রুডর্ফার বলেন, ‘‘আমরা আপনাদের জন্য টেসলা মডেল এস পারফর্মেন্স গাড়িটি ভালোভাবে পরীক্ষা করেছি৷ হালফ্যাশানের এই লিমুজিন-টি নাকি এক ব্যাটারি চার্জে ৫০০ কিলোমিটার অবধি যেতে পারে – পুরোপুরি ইলেকট্রিক৷''

থামা অবস্থা থেকে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছতে টেসলা মডেল এস পারফর্মেন্স গাড়ির সময় লাগে চার দশমিক চার সেকেন্ড৷ ওভারটেক করার সময় ঘণ্টায় ষাট কিলোমিটার থেকে ঘণ্টায় একশো কিলোমিটার গতিতে যেতে লাগে দুই দশমিক এক সেকেন্ড৷ সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার৷

টেসলা মডেল এসছবি: Lars Bevanger

গাড়ির রিচার্জেবল ব্যাটারিগুলি গাড়ির মেঝেতে বসানো, কাজেই অভিকর্ষ বিন্দু নীচের দিকে৷ অর্থাৎ আচমকা ডানদিক-বাঁদিক কাটালে গাড়ি উল্টে যাবার ভয় কম৷ এডিএসি-র ব্রেক টেস্টে মডেল এস ৩৪ মিটার পরেই দাঁড়িয়ে পড়ে৷ তবে নতুন টেসলা গাড়ির জন্যে কোনো কলিশন অ্যাভয়ডেন্স সিস্টেম নেই৷

ডিজাইনের বিশেষত্ব

চোখে পড়ার মতো গাড়ি৷ টেসলা মডেল এস গাড়িটিতে ইটালীয় এবং ব্রিটিশ কার ডিজাইনকে একত্রিত করা হয়েছে, যদিও গাড়িটি বানানো হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷ তার হালকা-পাতলা আকার দেখে মাসেরাতি কিংবা জাগুয়ারের আভিজাত্যের কথা মনে পড়াটাই স্বাভাবিক৷ মার্টিন রুডর্ফার বলেন, ‘‘ইলেকট্রিক গাড়িটি চলার সময় এতো কম শব্দ করে যে, ফিস ফিস করে কথা বললেও শোনা যায় – যদি না সাউন্ড স্টুডিও সিস্টেমে জোরে গান শোনা হয়৷ নিউম্যাটিক সাসপেনশনের ফলে টেসলা মডেল এস চড়া খুবই আরামের, যদিও সুবিশাল চাকাগুলো তাতে কিছুটা বাদ সাধে৷ স্টিয়ারিংও সুন্দর ও সরাসরি ভাবে কাজ করে৷ সব মিলিয়ে টেসলা-র প্রথম নিজস্ব মডেল হিসেবে গাড়িটি উতরেছে বৈকি৷''

আরও গুণাগুণ

গাড়ির ভেতরে প্রথমেই চোখে পড়ে ১৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিনের একটি সুবিশাল মনিটর, যাতে সব রকম তথ্য দেখানো হয়৷ হেডলাইট থেকে সানরুফ, সব কিছু নড়ানো-চড়ানো যায় এই টাচস্ক্রিন দিয়ে৷ তবে ছোটখাটো সব কাজও এই টাচস্ক্রিনের মেন্যু থেকে করতে হয় – গাড়ি চালানোর সময় যেটা বিড়ম্বনা হয়ে উঠতে পারে৷ গাড়ির দু'টি ট্রাঙ্কের আয়তন হল ৪৩৫ থেকে ৮৪৫ লিটার৷

কম দূরত্বে টেসলা এস গাড়ি থেকে কোনো কার্বন নির্গত হয় না৷ ডায়নামোমিটারে বসালে এই গাড়ি ৮৫ কিলোওয়াটের ব্যাটারিতে চলে ৪১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত৷ অর্থাৎ ব্যাটারি কনজাম্পশন দাঁড়ায় প্রতি একশো কিলোমিটারে ঘণ্টায় ২৩ দশমিক ৫ কিলোওয়াট, এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড খাতে প্রতি কিলোমিটারে ১৩৬ গ্রাম কার্বন ডাইঅক্সাইড৷ মার্টিন রুডর্ফার বলেন, ‘‘এডিএসি-র পরীক্ষায় টেসলা মডেল এস বাস্তবে ভালো ইলেকট্রিক গাড়ি বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ অন্যান্য ইলেকট্রিক গাড়ির তুলনায় তার রেঞ্জও ভালো৷ তবে বাড়িতে ইলেকট্রিকের সকেট থেকে এই গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করতে ৫০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে, কাজেই হাই ভোল্টেজ কনেকশন থাকলে সুবিধা৷ গাড়ির দাম যখন এক লাখ নয় হাজার ইউরো, তখন ঐ বাড়তি খরচটুকু গায়ে না লাগারই কথা৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ