1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইলেকট্রিক স্কুটারেই প্যারিস!

১৬ মে ২০১৯

পরিবেশ দূষণ ও যানজটের মতো সমস্যার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে নাগরিক পরিবহন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ চলছে৷ প্যারিসে এক ইলেকট্রিক স্কুটার এ ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখছে৷ তবে নতুন এই যানকে কেন্দ্র করে সমস্যাও কম নয়৷

ছবি: Getty Images/M. Tama

সেন নদীর তীরে এমন সুন্দর ভ্রমণের সুযোগ এর আগে ছিল না, যেমনটা এখন তিন চাকার ত্রোতিনেৎ স্কুটারে চেপে করা যায়৷ বেশ কয়েক মাস ধরে এই ইলেকট্রিক স্কুটার প্যারিসে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷

ক্রিস্টফ ওড্রি এক ফ্যাশন স্টোরের মালিক৷ তিনিও এই যানের বড় অনুরাগী৷ মিটিং হোক বা দোকানের  জন্য কেনাকাটা, তিনি শুধু ত্রোতিনেৎ চালিয়ে সব জায়গায় যান৷ ক্রিস্টফ-এর মতে, এই স্কুটার পরিবেশবান্ধব ও অন্যান্য যানের তুলনায় অনেক সস্তা৷ মালিকানারও প্রয়োজন নেই৷ স্মার্টফোনের অ্যাপে দেখা যায়, কাছেপিঠে কোথায় খালি ত্রোতিনেৎ রয়েছে৷ তারপর কোড স্ক্যান করে লক খুলে স্কুটার চালু করা যায়৷

বাকিরা নজর দিলে সেই আনন্দের মাত্রা আরও বেড়ে যায়৷ এমনকি সাইকেল চালকরাও প্রায়ই তাদের পথ ছেড়ে দেন৷ এর মধ্যে প্যারিস শহরে আটটি কোম্পানি ত্রোতিনেৎ চালানোর সুযোগ দিচ্ছে৷ প্রায় সব রাস্তার কোণেই এমন যান পাওয়া যায়৷

বিশেষ করে পর্যটকদের কাছে এই ইলেকট্রিক স্কুটার খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ এটি সম্বল করে সহজেই শহর ভ্রমণ করা সম্ভব৷

মজার স্কুটার ত্রোতিনেৎ

04:26

This browser does not support the video element.

তবে এর বিপদও রয়েছে৷ সবাই কিন্তু ত্রোতিনেৎ সামলানোর যোগ্য নন৷ অনেকে আবার বলগাহীন গতিতে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেন৷ বিপজ্জনকভাবে পাশ কাটিয়ে সবার আগে চলার চেষ্টা করেন৷ এক ট্যাক্সি ড্রাইভার শহরের হাইওয়ের উপর এমন এক স্কুটারের কেরামতির ভিডিও তুলেছেন৷ সে সময় ট্যাক্সির গতি ছিল ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার৷ অত্যন্ত বিপজ্জনক ছিল সেই রাইড৷

মোটরসাইকেল চালকরাও উত্তেজিত হয়ে পড়েন৷ কারণ তাঁদেরও বাকি যানচালকদের মতো নিয়ম মেনে চালাতে হয়৷ অথচ স্কুটার চালকরা নিয়মের পরোয়া করেন না৷ এক পথচারীর মতে, ‘‘ত্রোতিনেৎ চালকরা ট্রাফিক আইন জানেনই না৷ কোথায় চালানোর নিয়ম রয়েছে, তাই জানেন না৷ প্রায় তাদের বাস লেনে চালাতে দেখা যায়৷ হেলমেট বা গ্লাভস পরাও কি উচিত নয়? খুবই বিপজ্জনক৷’’

প্যারিসের পথচারীরা সবচেয়ে বেশি বিরক্ত৷ হয় পথঘাট অব্যবহৃত ত্রোতিনেতে ভরে যায়৷ যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায় বিপদ দেখা দিতে পারে৷ এক শহরবাসী নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘‘সম্প্রতি আমি অপেরার কাছে রাস্তা পেরোতে চাইছিলাম৷ ট্রাফিক লাইট ছিল সবুজ৷ হঠাৎ কোথা থেকে যেন উলকার বেগে এক ত্রোতিনেৎ এসে পড়লো৷ তার সঙ্গে ধাক্কা লাগলে মারাত্মক পরিণতি হতে পারতো৷’’

প্রাথমিক পর্যায়ে ‘যা খুশি তাই করার নীতি’ কার্যত মেনে নেবার পর প্যারিস পৌর কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে৷ ভাড়ার কোম্পানিগুলিকে এবার আইনগতভাবে গ্রাহকদের আচরণের দায়িত্ব নিতে হবে৷ প্যারিসের ডেপুটি মেয়র এমানুয়েল গ্রেগোয়ার বলেন, ‘‘যারা ফুটপাথের উপর দ্রুত গতিতে স্কুটার চালিয়ে বাকিদের বিপদে ফেলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা পথে নামছি৷ এমন আচরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ৷ যেখানে-সেখানে ত্রোতিনেৎ ফেলে রাখাও বন্ধ করবো আমরা৷’’

তবে ঠিক কোন বিধিনিয়মের আওতায় ত্রোতিনেৎ চলতে পারবে, পৌর কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নয়৷ ত্রোতিনেতের ভক্ত হিসেবে ক্রিস্টফ অবশ্য তেমন উদ্বিগ্ন নন৷ তাঁর মতে, ‘‘এটা সত্যি, মানুষ যেমন খুশি সেভাবে স্কুটার চালাচ্ছেন৷ কিন্তু মোটরসাইকেল ও গাড়ি চালকরাও মর্জিমাফিক চালাচ্ছেন৷ সবকিছু সামলে চলতে হয়৷ প্যারিসের রাস্তায় সবাই বিপজ্জনক৷ সেটাই হলো সমস্যা৷’’

তবে ক্রিস্টফ নিশ্চিত, যে এই সমস্যার সমাধান অবশ্যই সম্ভব৷ ত্রোতিনেৎ ট্রাফিক কাঠামোর মধ্যে তার নিজস্ব জায়গা খুঁজে নেবে বলে তাঁর বিশ্বাস৷ শুধু প্যারিসের মানুষের প্রতিভার উপর ভরসা রাখতে হবে৷

সুসানে ড্যোরহাগে/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ