আপনি কি জানেন, যেসব শিশু নিয়মিত কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাদের আচরণগত সমস্যা হয়? কিংবা টানা বেশিক্ষণ কাজ করলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা থাকে? সাম্প্রতিক কিছু গবেষণার খবর থাকছে এখানে৷
বিজ্ঞাপন
এলইডি স্ক্রিন কি ছোট্ট শিশুদের জন্য ক্ষতিকর?
অবশ্যই, যেসব শিশু নিয়মিত কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে, তাদের আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়৷ তারা সাধারণত হাইপারঅ্যাকটিভ কিংবা অমনোযোগী আচরণ করে৷ দুই থেকে ছয় বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য৷
জার্মানির লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক পাঁচ শতাধিক শিশুর উপর কয়েকবছর গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন৷ তাঁরা বলছেন, যে শিশুরা প্রতিদিন কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করেছে, একবছর পর দেখা গেছে, তারা, যে শিশুরা এসব ব্যবহার করেনি, তাদের চেয়ে বেশি হাইপারঅ্যাক্টিভ কিংবা অমনোযোগী আচরণ করেছে৷
গবেষকরা আরও জানতে পেরেছেন, যে শিশুরা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের, যারা সেগুলো ব্যবহার করে না, তাদের সঙ্গে মিশতে সমস্যা হয়৷
বাচ্চাদের কেন, কখন মোবাইল দেয়া বিপজ্জনক
খুব কম বয়সে হাতে মোবাইল তুলে দিলে সন্তানের সর্বনাশের পথই তৈরি হয়৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, দুই বছর হওয়ার আগে শিশুর হাতে মোবাইল দেয়া একদমই ঠিক নয়৷ কোন বয়সের কোন শিশু কতটা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে তা-ও জানিয়েছেন তাঁরা৷
ছবি: picture alliance/ZB
যত কম বয়সে প্রযুক্তি, ক্ষতি তত বেশি
দ্য অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স ও ক্যানাডিয়ান সোসাইটি অফ পেডিয়াট্রিক্সের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি কোন বয়সে শিশুকে কতটুকু প্রযুক্তির সংস্পর্শে নেয়া উচিত, সে সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা দিয়েছেন৷ তাঁরা বলেছেন, দু বছরের আগে শিশুদের সব গ্যাজেট থেকে দূরে রাখাই উচিত৷ ওই বয়সে ইন্টারনেট, আইপ্যাড বা টেলিভিশনে অভ্যস্ত হলে শিশু স্বভাবে অস্থির হয়, অনেক ক্ষেত্রে কানে কম শোনে৷
ছবি: vladgrin - Fotolia.com
কোন বয়সে কতটুকু প্রযুক্তি
বিজ্ঞানীদের মতে, দু বছরের পর অল্প অল্প করে শুরু করলেও ৩ থেকে ৫ বছর বয়সিদের কখনো দিনে ১ ঘণ্টার বেশি মোবাইল, টেলিভিশন, আইপ্যাড, ল্যাপটপ, টেলিভিশন ইত্যাদির সংস্পর্শে থাকা ঠিক নয়৷ ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সিরা দিনে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা সেই জিনিসগুলোর কাছাকাছি গেলে ক্ষতি এড়াতে পারবে৷
ছবি: Fotolia/Karin & Uwe Annas
খুব মুটিয়ে যাওয়া
এসবে অভ্যস্ত হলে অনেক শিশু অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়৷ এর নানা রকমের ক্ষতিকর প্রভাব জীবনের ওপরও পড়ে৷ ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগের ও বেড়ে যায় তাদের৷
ছবি: picture alliance/dpa
উগ্রতা, আগ্রাসন এবং....
গ্যাজেট ব্যবহার করার কারণে শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি যৌনতা, সন্ত্রাস ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পায়৷ ফলে অনেক শিশু খুব আগ্রাসী স্বভাবের হয়৷ কিছু শিশু বড় হয়ে নানা কিছুতে জড়িয়েও যায় ভালো-মন্দ না বুঝে৷
ছবি: Fotolia/somenski
মানসিক অসুস্থতা
গ্যাজেট বেশি ব্যবহার করার ফলে খুব কম বয়সেই অনেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে৷ তাতে এক সময় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে৷ ক্যানাডায় এ সমস্যা বেশ প্রকট হতে শুরু করেছে৷ সেখানে ছয় জন শিশুর মধ্যে অন্তত একজনকে বেশি গেজেট ব্যবহার করার ফলে মানসিক স্বাভাবিকতা ফিরে পেতে নিয়মিত ওষুধ খেতে হচ্ছে৷
ছবি: Colourbox
লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা
ব্যতিক্রম সব কিছুতেই হয়৷ তাই খুঁজলে এমন কিছু শিশু নিশ্চয়ই পাবেন যারা কম বয়সেই মোবাইল নিয়ে খেলেছে, তা দেখে বাবা তাকে নতুন মোবাইল কিনে দিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত সেই শিশু সুস্থ, মেধাবী হিসেবেই বড় হয়েছে৷ তবে উল্টো দৃষ্টান্তও অনেক৷ ১২ বছরের আগে মোবাইল জাতীয় উপকরণে অভ্যস্ত হওয়া শিশুর লেখাপড়ায় উন্নতি খুব ধীর গতিতে হয়৷ দেখা গেছে, সেরকম শিশুদের এক তৃতীয়াংশই শিক্ষাজীবনে খুব সমস্যায় পড়ে৷
ছবি: Fotolia/lassedesignen
ঘুম কম হওয়া
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শতকরা ৬০ ভাগ শিশুর বাবা মা-ই আজকাল কম বয়সি সন্তানের হাতে মোবাইল বা অন্য গ্যাজেট তুলে দেন৷ শতকরা ৭৫ ভাগ শিশুর বাবা-মা তারপর আর খবরই নেন না তাঁদের সন্তান রাতে কখন ঘুমায়৷ বাবা-মায়ের অজান্তেই অনিদ্রাজনিত অসুখ ডেকে আনে সন্তান৷
ছবি: DW
7 ছবি1 | 7
তাই গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে, তিনবছরের কম বয়সি শিশুদের কোনোভাবেই কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেয়া উচিত নয়৷ আর তারচেয়ে বেশি বয়সি শিশুদের দিনে ত্রিশ মিনিটের বেশি এলইডি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেয়া উচিত নয়৷
নারীর বেশিক্ষণ কাজ করা উচিত নয়!
যেসব নারী সপ্তাহে গড়ে ৪৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাজ করেন, তাদের ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে৷ ক্যানাডার একদল গবেষক জানিয়েছেন এই তথ্য৷ তবে, পুরুষের ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য নয়৷ গবেষকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যেসব নারী বেশিক্ষণ কাজ করেন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি, যারা কম কাজ করেন, তাঁদের চেয়ে ৬৩ শতাংশ বেশি৷
গবেষকরা ৭,০০০-এর বেশি কর্মীর উপর বারো বছর ধরে গবেষণার পর এই তথ্য জানিয়েছেন৷ তবে তাঁরা এখনো জানেন না, এক্ষেত্রে ঠিক কী কারণে পুরুষের চেয়ে নারীর ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি৷ তাদের পরামর্শ হচ্ছে, টানা দীর্ঘক্ষণ ডেস্কে বসে কাজ না করে মাঝেমাঝে অল্পসময়ের জন্য হাঁটাহাটি করা উচিত৷ আর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কাজের পর নিয়মিত ব্যায়ামও জরুরি৷
স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ায় যা ঘটছে
এখন স্মার্টফোন ছাড়া আর জীবন কল্পনা করতে পারেন না বিশ্বের অনেক মানুষ৷ বিশ বছর আগে প্রথম বাজারে আসে মোবাইল ফোন৷ দ্রুতগতিতে এর ব্যবহার বাড়ায় কী ঘটছে দেখি চলুন৷
ছবি: DW/M.Bösch
আকর্ষণীয় ‘ডাইনোসর’
পৃথিবীর প্রথম স্মার্টফোনটি দেখতে ছিল এরকম৷ নকিয়া ৯০০০ কমিউনিকেটরে কম্পিউটারের অনেক ফিচারসহ ছিল অফিস সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজিং এবং ফ্যাক্সের সুবিধা৷ ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট এটির বিক্রি শুর হয়, দাম ছিল ১৪০০ ইউরোর মতো৷
ছবি: dpa/Nokia
ওজনে হালকা, তবে শক্তিশালী
গতকয়েক বছরে স্মার্টফোন অনেকটা পথ এগিয়েছে৷ ওজন কমেছে, তবে তার অর্থ এই নয় সেটির ক্ষমতাও কমে গেছে৷ বরং আজকের স্মার্টফোনের কম্পিউটিং পাওয়ার চাঁদে অবতরণের জন্য অ্যাপোলো ১১-তে ব্যবহৃত কম্পিউটারের তুলনায় কয়েক মিলিয়ন গুণ বেশি৷
ছবি: Getty Images
অপ্রত্যাশিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
স্মার্টফোনের জন্য রয়েছে অসংখ্য অ্যাপ, যা এগুলোর ব্যবহারকারীদের সবসময় সক্রিয় থাকতে সহায়তা করে৷ কিছু অ্যাপ আবার কতৃপক্ষকে তথ্যও দেয়৷ ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ বনে অবৈধভাবে কাঠ কাটা রোধে অ্যাপের সহায়তা নিয়ে থাকে৷ এই অ্যাপ গাছ কাটার শব্দ সনাক্ত করে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে৷
ছবি: Getty Images
ফোন যখন ‘ওয়েদারম্যান’
নেটওয়ার্কিং গ্রুপ ওপেনসিগন্যালের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোনে থাকা সেন্সর শুধু ব্যাটারির তাপমাত্রা, আলোর ঘনত্ব এবং চাপই শনাক্ত করতে পারে না, আশেপাশের আবহাওয়ার নিঁখুত হিসেবও নিতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মূত্র দিয়ে মোবাইল চার্জ করা
ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, মানুষ একবার টয়লেটে গিয়ে যে পরিমান প্রস্রাব করে, তা দিয়ে একটি মোবাইল তিন ঘণ্টা পর্যন্ত চালানো সম্ভব৷ এজন্য প্রস্রাবনির্ভর বিশেষ ধরনের ফুয়েল সেল তৈরি করেছেন তারা৷ এর সঙ্গে আরেকটি তথ্য, প্রতিবছর শুধু ইংল্যান্ডেই এক লাখ স্মার্টফোন টয়লেটে পড়ে যায়৷
ছবি: Imago
রোমিং
যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ফ্লোরিডার ক্যালিন অ্যারোনেস কয়েকবছর আগে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন৷ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন বিলটি তিনি দিয়েছেন৷ ক্যানাডায় ছুটি কাটাতে গিয়ে টানা টেক্সটিংয়ের জন্য রোমিং চার্জ হিসেবে তাঁর গুণতে হয়েছিল এক লাখ আশি হাজার ইউরো৷
ছবি: Imago
সাফল্যের অতুলণীয় গল্প
বিশ্বে বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক দশমিক নয় বিলিয়ন৷ সংখ্যাটি ক্রমশ বাড়ছে৷ চলতি বছরের শুরুতে গোটা বিশ্বে ৩৪৯ মিলিয়ন স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে৷ গত বছরের তুলনায় এই বিক্রি ৩ দশমিক নয় শতাংশ বেশি৷ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সেভেন৷ এরপরই রয়েছে অ্যাপলের আইফোন ৬এস এবং ৬এস প্লাস৷
ছবি: Reuters/A. Gea
7 ছবি1 | 7
রক্তে শর্করা কমায় ডাল
খাবারের প্লেট থেকে অর্ধেক আলু বা ভাত কমিয়ে তার বদলে ডাল খেলে তা আপনার শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে৷ ক্যানাডার এক গবেষক দলের দাবি, এটা করতে পারলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নাটকীয়ভাবে কমে যাবে৷ এভাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব৷ আর কেউ যদি ডালের সঙ্গে আলু মিশিয়ে খান, অর্থাৎ মূল খাবার হয় ডাল, তাহলে শর্করার পরিমাণ কমবে ৩৫ শতাংশের মতো৷
ডাল এবং অন্যান্য শিম জাতীয় খাদ্য স্টার্চ থেকে শর্করা রক্তে মেশার প্রক্রিয়াকে মন্থর করে দেয়৷ ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়৷ তাই মোদ্দা কথা হচ্ছে, খাবারের মেন্যুতে মাঝে মাঝে ডাল রাখুন৷ আর বাঙালির জন্যতো এটা কোনো সমস্যা হওয়ারই কথা নয়৷ কারণ, ডাল ভালোবাসেন না, এমন কেউ কি আছেন?
লারিসা ওয়ার্নেক/এআই
আপনার শিশুও কি স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে আসক্ত? লিখুন নিজের কথা, নীচের ঘরে৷
মোবাইল ফোনে আসক্ত? বুঝবেন যেভাবে...
স্মার্টফোনে অতি আসক্তি এক ধরণের রোগ৷ যাঁরা মোবাইল হাতে না থাকলে অস্থির হয়ে যান, বিজ্ঞানীরা বলছেন তাঁরা ‘নোমোফোবিয়া’-য় আক্রান্ত৷ চিনে নিন এ রোগের কিছু লক্ষণ৷
ছবি: Fotolia/Picture-Factory
ব্যাটারির চার্জ ফুরালেই আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কিছু মানুষের মধ্যে স্মার্টফোনের আসক্তির এমন তীব্রতা লক্ষ্য করেছেন যা রীতিমতো বিস্ময়কর৷ তাঁরা দেখেছেন, কিছু লোক মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, যেন মোবাইল বন্ধ হয়ে গেলে জীবনই অচল৷ এমন হলে বুঝতে হবে আপনিও নোমোফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বা অচিরেই হবেন৷
ছবি: picture-alliance/chromorange
ইন্টারনেট-নির্ভরতা
কিছু লোক ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে নারাজ৷ স্মার্টফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জানলেই ওয়াই-ফাই জোন-এ যাওয়ার জন্য তাঁরা হা-হুতাশ শুরু করেন৷ এমন সবারও মোবাইল আসক্তি বাড়তে বাড়তে ‘নোমোফোবিয়া’-র সীমা ছুঁয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Schutt
ইন্টারনেট থাকতেই হবে?
কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে সবার আগে কী কী জানতে চান? ‘‘ওখানে ইন্টারনেট আছে?-’’এই প্রশ্ন করেন? যদি মনে হয়, যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই সেখানে বেড়াতে যাওয়া একদম উচিত নয়, তাহলে ‘নোমোফোবিয়া’ আপনাকেও গ্রাস করছে৷
ছবি: Colourbox
‘স্ট্যাটাস’ না দিতে পারলে হতাশ
ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে প্রতিদিন ‘স্ট্যাটাস’ না লিখলেও অনেকের একদমই চলে না৷ মনে হয়, খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করা হয়নি৷ এমন হওয়াটাও খারাপ কথা, তখন বুঝতে হবে ‘নোমোফোবিয়া’ আপনাকেও পেয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Lei
আরেক ‘সর্বনাশ’
ধরুন, ফোন করতে পারছেন না, এসএমএস-ও না, ফোন বা এসএমএস আসছেনওনা আপনার কাছে৷ কী হয় তখন? স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও খুব অসহায় লাগে? তাহলে আপনাকে নিয়েও চিন্তা আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রিচার্জ করাতে পারেননি....
প্রি-পেইড সিম ব্যবহার করেন এমন অনেকে ফোনের ‘ক্রেডিট’ শেষ হলে, অর্থাৎ ফোন বা এসএমএস করার উপায় না থাকলেই মহাদুশ্চিন্তায় পড়ে যান৷ তখন মনে রাখতে হবে, মোবাইল ফোন ছাড়া এক সময় পৃথিবীর সবারই জীবন চলতো, এ যুগেও কয়েক ঘণ্টা বা কয়েকটা দিন নিশ্চয়ই চলবে৷
ছবি: PeJo/Fotolia
ঘুমের সময় অন্তত অন্য কিছু ভাবুন.....
স্মার্টফোনে মানুষ এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে যে কারো কারো রাতে মোবাইল ফোনে একটা হাত না রাখলে ঠিকমতো ঘুমই হয় না৷ নোমোফোবিয়া-র চূড়ান্ত লক্ষণ এটা৷ সুতরাং এই অভ্যাস ছাড়ুন৷