বাংলাদেশ এমন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যখন দেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা অনেক বেশি৷ ফলে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা ও নীতিমালা গ্রহণ করতে গেলে তরুণদের পছন্দ, প্রয়োজন ও ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে৷
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো সম্ভাব্য প্রতিশ্রুতিসহ জনগণের নিকট যাচ্ছেন৷ ইশতাহারে কী কী বিষয়ের প্রতিফলন থাকলে তরুণ প্রজন্ম সার্বিক উন্নতি লাভ করতে পারবে, তার সম্ভাব্য কয়েকটি ভাবনা এই লেখায় তুলে ধরা হচ্ছে৷
তরুণরা কি শুধুই একটি ভোট প্রদানের ক্ষমতাসম্পন্ন সত্তা হিসেবে বিবেচিত হবে, নাকি দেশের সার্বিক কল্যাণ, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, উৎকর্ষতা সাধনের সাধক, উন্নয়নের ধারক-বাহক ও চালক হিসেবে বিবেচিত হবে – ইশতাহার তৈরির সময় সেটি বিবেচনায় রাখতে হবে৷
বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য হচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করা৷ সেক্ষেত্রে মানুষের জীবনমান আরও উন্নত করা, মাথাপিছু আয় বাড়ানো, তরুণ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মে নিয়োগ দান, ২২ শতাংশ অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্রচক্র থেকে যত দ্রুত সম্ভব বের করা, কন্যা শিশুসহ মাতৃপ্রধান পরিবারসমূহকে সহায়তা করা ইত্যাদি কাজ করতে হবে৷ শিক্ষিত তরুণরা যেন দেশে-বিদেশে চাকরি করতে পারেন, শ্রমবাজারে ছড়িয়ে পড়তে পারেন সেই ব্যবস্থাও পরবর্তী সরকারকে করতে হবে৷
নির্বাচনে জয়ে ইশতাহারের ভূমিকা কতটুকু?
ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনি ইশতাহার সাধারণ ভোটারদের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে? এগারোজন ভোটারের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছিল ডয়চে ভেলে৷
ছবি: DW/M. Mamun
লিয়াকত আলী বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা
বাবুল স্বাধীনতার পর থেকে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে৷ তিনি কখনোই দলের কোনো নির্বাচনি ইশতাহার পড়ে দেখেননি৷ তবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলেই তিনি আওয়ামী লীগকে ভোট দেন৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারায় সামনেও তিনি তাদেরই ভোট দেবেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
আহমেদ দিপু, শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে বের হওয়া আহমেদ দিপু আগে একবার ভোট দিয়েছেন জাতীয় নির্বাচনে৷ সে সময় যে দলকে ভোট দিয়েছিলেন সেই দলের নির্বাচনি ইশতাহার কী, সেটা জানতেন না৷ পছন্দের দলকেই ভোট দিয়েছিলেন৷ আসন্ন ভোটেও তিনি যে দলকে ভোট দেবেন সে দলের ইশতাহার জানার খুব একটা আগ্রহ তাঁর নেই৷ সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েই রেখেছেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
নূরে আলম, চাকরিজীবী
বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন নূরে আলম৷ দশম জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজের ভোটই প্রয়োগ করতে পারেননি তিনি৷ তবে তিনি যে দলকে ভোট দেন সে দলের নির্বাচনি ইশতাহার জানার প্রয়োজন কখনোই তিনি মনে করেননি৷
ছবি: DW/M. Mamun
আব্দুল মান্নান, ব্যবসায়ী
আব্দুল মান্নান নির্বাচনি ইশতাহার দেখে কখনো ভোট দেন না৷ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বলে সারাজীবনই তাঁর দলকে ভোট দিতে চান তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
সাথী পাল
মানিকগঞ্জের সাথী পাল ভোটের ক্ষেত্রে দলের নির্বাচনি ইশতাহার দেখেন না কখনোই৷ তবে বিভিন্ন সরকারের কাজের মূল্যায়ন করে তিনি ভোটের সিদ্ধান্ত নেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
হুমায়ুন কবির, কৃষক
হুমায়ুন কবির এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন তাতে কখনোই ইশতাহার প্রভাব ফেলেনি৷ এমনকি তিনি কখনো ইশতাহার জানতেও চাননি৷ পছন্দের দলকেই ভোট দিয়েছেন সবসময়৷
ছবি: DW/M. Mamun
আনোয়ার হোসেন, পোশাক শ্রমিক
তিনি ভোট দেন দল দেখে, নির্বাচনি ইশতাহার দেখে নয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
আব্দুর রশিদ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী
রশিদ নির্বাচনি ইশতাহার প্রার্থীদের মুখে শুনলেও তিনি তার প্রতিফলন খুব একটা দেখেননি কখনো৷ তাই ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে দল ও প্রার্থীই তাঁর কাছে মুখ্য৷
ছবি: DW/M. Mamun
প্রশান্ত বণিক, ব্যবসায়ী
প্রশান্ত বণিক কখনোই কোনো দলের নির্বাচনি ইশতাহার দেখেননি৷ শুরু থেকেই একটি নির্দিষ্ট দলের প্রার্থীকে ভোট দেন তিনি৷ দল ভালো করুক কিংবা খারাপ, ভোট সেই দলকেই দেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
নজরুল ইসলাম
নজরুল ইসলামও ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে দলের নির্বাচনি ইশতাহার কখনও দেখেন না৷ পছন্দের দলই তাঁর কাছে মুখ্য বিষয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
জহির উদ্দীন, শিক্ষক
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান দু’টি দলের নির্বাচনি ইশতাহার পড়ে দেখেছিলেন স্কুল শিক্ষক জহির উদ্দীন৷ সে মোতাবেক ভোটও দিয়েছিলেন পছন্দের দলকে৷
ছবি: DW/M. Mamun
11 ছবি1 | 11
দেশের এখন প্রতিটি পরিবার তার সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে চায়, শিক্ষিত করতে চায়৷ দিনমজুর, বাজারের মুদি দোকানদার, কৃষক, রিকশাচালকসহ সকল শ্রেণির মানুষ তাঁদের সন্তানদের শিক্ষিত করতে চান৷ প্রতিটি অভিভাবকের চিন্তা বা উদ্দেশ্য একটিই, তিনি বাবা হিসেবে যে জীবনযাপন করেছেন, তাঁর সন্তান যেন তার চেয়ে আরেকটু উন্নত জীবনযাপন করতে পারে৷
কৃষি বা নিবিড় শ্রমঘন জীবিকার পরিবর্তে চাকরি বা ব্যবসাভিত্তিক জীবিকাই এখন কাম্য৷ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ কোটি কোটি তরুণ, যাদের সমানসংখ্যক ছেলে ও মেয়ে৷ সবাই কাজ করতে চায়, চাকরি করতে চায়৷ তাহলে তরুণদের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচনি ইশতাহারে এর বিশদ প্রতিফলন থাকলে দল উপকৃত হবে, তরুণ প্রজন্ম উপকৃত হবেন, উন্নত হবে দেশ৷
তরুণদের উন্নয়ন কর্মে অন্তর্ভুক্ত করা
দেশে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ তরুণ৷ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হতে গেলে এই বিশাল তরুণ প্রজন্মকে কর্মে নিয়োজিত করতেই হবে৷ ভবিষ্যতে তাঁরা কী ধরণের কর্মে নিয়োজিত হবেন, তরুণদের জন্য কী সুযোগ আছে এবং দলগুলো কী ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করবে, ইশতাহারে তার সুস্পষ্ট উল্লেখ ও বিবরণ থাকা দরকার৷
এবারের নির্বাচনে ১১.৮ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ২৩ লক্ষ নতুন তরুণ ভোটার যুক্ত হয়েছেন৷ দেশের ৩ কোটি ২০ লক্ষ তরুণকে ৩০০ নির্বাচনি আসন দিয়ে ভাগ করলে প্রতি আসনে গড়ে ১ লক্ষ ৬ হাজার তরুণ রয়েছেন৷ দেশের ৪.৫ কোটি পরিবার/খানাকে ৩০০ নির্বাচনি আসন দিয়ে ভাগ করলে প্রতি আসনে গড়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার পরিবার/খানা৷ অর্থাৎ প্রতি পরিবারেই তরুণ আছে৷ নির্বাচনি ইশতাহারে দলগুলোকে সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে যে, এই ১ লক্ষ ৬ হাজার তরুণ কী কাজ করবে৷ সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থীকে পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে হবে যে, উনি কীভাবে এই সংখ্যক তরুণকে কাজে লাগাবেন৷ মনে রাখতে হবে, দেশের একজন দিনমজুরের মজুরি কিন্তু কমপক্ষে ৫০০ টাকা৷ সে অনুযায়ী ১০৬,০০০ জন তরুণের প্রতিদিনের ন্যূনতম মূল্যমান (১০৬,০০০x৫০০= ৫,৩০,০০,০০০) পাঁচ কোটি ত্রিশ লক্ষ টাকা ব্যবহার করতে না পারলে মূল্যবান সম্পদ (তরুণ প্রজন্ম) নষ্ট হবে৷
নির্বাচনি প্রচারণার কয়েকটি নীতিমালা
নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালে ‘সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ প্রণয়ন করে৷ ছবিঘরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম উল্লেখ করা হলো৷
ছবি: Reuters
চাঁদা দেয়া যাবে না
কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষ থেকে অন্য কেউ নির্বাচনের আগে উক্ত প্রার্থীর নির্বাচনি এলাকায় বসবাসকারী কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা উক্ত এলাকা বা অন্যত্র অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো চাঁদা বা অনুদান দেয়া বা দেয়ার অঙ্গীকার করতে পারবেন না৷
ছবি: ROBERTO SCHMIDT/AFP/Getty Images
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন চলবে না
নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বা ফলক উন্মোচন করা যাবে না৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
পোস্টারের আকার
সাদা-কালো রংয়ের ও আয়তন অনধিক ৬০X৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার সাদা-কালো রংয়ের ও আয়তন অনধিক ৩X১ মিটার হতে হবে এবং পোস্টারে বা ব্যানারে প্রার্থী তাঁর প্রতীক ও নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাতে পারবেন না৷ তবে প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত দলের মনোনীত হলে সেক্ষেত্রে তিনি কেবল তাঁর বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে ছাপাতে পারবেন৷
ছবি: Reuters
যেখানে পোস্টার লাগানো যাবে না
কোনো প্রার্থী কিংবা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি সিটি কর্পোরেশন ও পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, দেয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি, সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপনাসমূহ এবং বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিক্সা কিংবা অন্য কোনো প্রকার যানবাহনে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবেন না৷ তবে দেশের যে কোনো স্থানে এসব ঝুলানো বা টাঙানো যাবে৷
ছবি: Reuters
অন্যের পোস্টারে নয়
কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদির উপর অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাবে না এবং উক্ত পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন তথা বিকৃতি বা বিনষ্ট করা যাবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হেলিকপ্টার নয়
কোনো দল বা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ট্রাক, বাস, মোটর সাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল বের করতে পারবেন না কিংবা কোনো শোডাউন করতে পারবেন না৷ প্রচারণাকাজে হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযান ব্যবহার করা যাবে না৷ তবে দলীয় প্রধানরা যাতায়াতের জন্য তা ব্যবহার করতে পারবেন৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto
ভয় দেখানো চলবে না
কোনো দল বা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি প্রচারণার ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাবে৷ তবে প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য প্রচারাভিযান পন্ড বা তাতে বাধা প্রদান বা ভীতিসঞ্চারমূলক কিছু করতে পারবে না৷
ছবি: STRINGER/AFP/Getty Images
দেয়াললিখন নয়
দেয়ালে লিখে প্রচারণা চালানো যাবে না৷ কালি বা রং দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে দেয়াল ছাড়াও কোনো দালান, থাম, বাড়ি বা ঘরের ছাদ, সেতু, সড়কদ্বীপ, রোড ডিভাইডার, যানবাহন বা অন্য কোনো স্থাপনায় প্রচারণামূলক কোনো লিখন বা অংকন করা যাবে না৷ প্রতীক হিসাবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না৷ উপরের ছবিটি প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
খাবার দেয়া যাবে না
নির্বাচনি ক্যাম্পে ভোটারদের কোনোরকম কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনো উপঢৌকন দেয়া যাবে না৷
ছবি: ROBERTO SCHMIDT/AFP/Getty Images
মসজিদ, মন্দিরে নয়
মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোনো নির্বাচনি প্রচারণা চালানো যাবে না৷ প্রচারণার সময় ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বক্তব্য দেয়া বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গবৈষম্যমূলক, সাম্প্রদায়িক বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দেয়া যাবে না৷
ছবি: Reuters/M.P. Hossain
মাইক ব্যবহারের নিয়ম
নির্বাচনি এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী কোনো যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
নিয়ম না মানলে
কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো নিয়ম ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন৷ দলের ক্ষেত্রেও এই শাস্তি প্রযোজ্য হবে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
12 ছবি1 | 12
দেশপ্রেম বনাম উন্নয়ন ভাবনা ও তরুণ প্রজন্ম
আজকের তরুণ প্রজন্মকে দেশীয় পণ্যের বিষয়ে সচেতন করা দরকার৷ দেশের শিল্পসাহিত্য, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত করা; দেশের সফল উদ্যোক্তাদের সম্পর্কে অবহিত করা; সততা, নৈতিকতা এবং নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করার পাশাপাশি বিভিন্ন দলের গঠনমূলক সমালোচনা করার মতো মানসিক সক্ষমতা সৃষ্টি করা আবশ্যক৷ গণতান্ত্রিক দেশে বিভিন্ন দলীয় সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সম্পন্ন মানসিকতা গঠন করা জরুরি৷ তরুণ প্রজন্ম সংশ্লিষ্ট এই বিষয়গুলোর উল্লেখ নির্বাচনি ইশতাহারে থাকতে হবে৷ নতুবা এ বিশাল তরুণ প্রজন্ম ক্রমান্বয়ে দেশের রাজনীতি, দেশের উন্নয়ন, নিজের উন্নয়ন থেকে ছিটকে পড়বে৷ সুতরাং, ইশতাহার হতে হবে বিশাল তরুণ প্রজন্মের ব্যাপক লালনকল্পে৷
নিয়ন্ত্রিত ও দক্ষ তরুণ প্রজন্ম গঠন
ডিজিটাল বাংলাদেশের বিকাশের ফলে অনিয়ন্ত্রিত মোবাইল, ভিডিও ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে৷ যার যেটি ব্যবহার করার কথা তা যেমন করছে, তেমনি যার করার কথা নয়, সেও সেটি ব্যবহার করছে৷ যে বয়সে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা না, সে সেটি ব্যবহার করছে৷ তরুণরা এতে অনিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কিনা, সেটি নিয়ন্ত্রণে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ দরকার৷ ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, স্মার্টফোন, অনিয়ন্ত্রিত ওয়াই-ফাই নিয়ন্ত্রণ করা দরকার৷ দেশে শুধু যেন সনদধারী তরুণ প্রজন্ম তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সতর্কবাণীর বিশেষ প্রতিফলন থাকতে হবে ইশতাহারে৷ শুধু যেন সনদধারী, আয়েশী ও দক্ষতাহীন তরুণ প্রজন্ম গড়ে না উঠে৷
একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্তমানে দেশে ৪০ শতাংশ তরুণ কোনো শিক্ষা গ্রহণ করছে না, কোনো ট্রেনিংও নিচ্ছে না এবং কোনো কর্মেও নিয়োজিত নেই৷ উন্নয়নশীল একটি দেশে কর্মহীন, দক্ষতাহীন তরুণ অকল্পনীয়৷ দেখতে হবে তরুণরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সহজলভ্য প্রযুক্তির ফলে শুধুই কি ভোক্তা হিসেবে গড়ে উঠছে, নাকি উদ্যোক্তাও হতে পেরেছে৷ প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁদের জীবনে, শিক্ষায়, দক্ষতার উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে কতটুকু প্রভাব ফেলছে, তার সুস্পষ্ট হিসাব জানা প্রয়োজন৷
আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো-মন্দ
প্রায় দশ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ৷ এই সময়ে সরকারের কাজে সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির কথা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন দশজন ভোটার৷
ছবি: imago/Xinhua
দীপক চন্দ্র শীল
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করে বের হওয়া দীপক চন্দ্র শীল জানান, তাঁর কাছে গত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের যে কাজটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে তা হলো, যুদ্ধাপরাধীর বিচার৷
ছবি: DW/M. Mamun
রিয়ন সরকার
ঢাকার শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়ন সরকার মনে করেন, সরকারের সবচেয়ে ভালো কাজ ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন৷ এক্ষেত্রে অনেক বাধা পেরিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে নেয়ার উদাহরণ দেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
জাহিদ মাহমুদ প্রান্ত
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জাহিদ মাহমুদ প্রান্ত বলেন, দেশ থেকে জঙ্গি নির্মূল করা আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ৷
ছবি: DW/M. Mamun
মনিকা আক্তার
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মনিকা আক্তার৷ তাঁর দৃষ্টিতে সরকারের সবচেয়ে ভালো কাজ ছিল দশ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া৷
ছবি: DW/M. Mamun
হাসানুর রাজা
নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা সরকারের সবচেয়ে ভালো কাজ ছিল বলে মনে করেন স্কুল শিক্ষক হাসানুর রাজা৷
ছবি: DW/M. Mamun
সবুজ মাতুব্বর
তিনি একজন বেসরকারি চাকরিজীবী৷ তাঁর কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সবচেয়ে খারাপ লাগার বিষয় ছিল দলীয় কিছু নেতা-কর্মীর অপকর্ম, যেমন বেপরোয়া সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতি৷
উপজেলা নির্বাচনে নিজের ভোট প্রয়োগ করতে পারেননি মাছ বিক্রেতা জালাল মিয়া৷ ভোটকেন্দ্রে যাবার আগেই তাঁর ভোট অন্য কেউ দিয়ে ফেলেছিল বলে অভিযোগ তাঁর৷
ছবি: DW/M. Mamun
মাহবুবুল আলম
পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলমের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি তাঁর সবচেয়ে খারাপ লেগেছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
নূর মোহাম্মদ
রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ গত পাঁচ বছরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে খারাপ দিক মনে করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
10 ছবি1 | 10
প্রতিযোগিতামূলক তরুণ প্রজন্ম গঠনে দল
দক্ষতা বৃদ্ধিতে, ভাল কাজ করতে, প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টির অঙ্গীকার ইশতাহারে থাকতে হবে৷ প্রতিযোগিতার জন্য তরুণদের মানসিকভাবে তৈরি করতে হবে যেন, তারা নিজেদের বিশ্বমানের চিন্তা করতে পারে৷ উন্নত দেশে প্রতি পাঁচজন তরুণের মধ্যে ধরে নেওয়া হয় যে, একজন উদ্যোক্তা হবে এবং বাকি চারজনকে চাকরি দেবে৷ দেশে এরকম উদ্যোক্তা সৃষ্টির মানসিকতা তৈরি করা হয়েছে কি? এ বিষয়ে দলগুলো কী ভাবছে? সত্য কথাটা তরুণদের বলতে হবে যে, চাকরির বাজার সীমিত, তবে দক্ষতা থাকলে সমাজে সেবা প্রদানের মাধ্যমে উপার্জন খুবই সম্ভব৷
ইশতাহারে তরুণদের জানাতে হবে যে, আগামী ২০৩০, ২০৩৫ অথবা ২০৪০ সালে দেশে ক্রমবর্ধনশীল অর্থনৈতিক খাতগুলো কী কী হবে এবং সে সকল খাতে সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে তরুণ প্রজন্ম প্রস্তুত কিনা, তা স্পষ্ট করে বলতে হবে৷ ইশতাহার হবে তরুণদের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক খাতগুলোর জন্য যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলার দলিল৷
পরিচ্ছন্ন সমাজ গঠনে তরুণ সমাজকে নিয়ে দল
উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পরিচ্ছনতার বিষয়টি খুবই সম্পর্কিত৷ আজকের বাংলাদেশের সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে তরুণদের কাজে লাগাতেই হবে৷ একইভাবে রাস্তাঘাট, নালা, নর্দমা, ডোবা, মহল্লা পরিচ্ছন্ন রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে৷ পরিচ্ছন সমাজ গঠনে কী কী পদক্ষেপ নেবেন, তরুণরা কীভাবে ভূমিকা রাখবে, তা তাঁদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চত্বর, দেয়াল, শ্রেণিকক্ষ, ছাত্রছাত্রীদের বসবাসের হল, দোকান, বাজার, মহল্লার দালানের মধ্যবর্তী নর্দমা, শহরের বাসাবাড়ির বর্জ্য কবে কতদিনে পরিচ্ছন্ন হবে? পরিচ্ছন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিচ্ছন্ন শহর, পরিচ্ছন্ন আবাসন, পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ কবে হবে? পরিচ্ছন্ন সমাজ গঠনের ফলে সামাজিক, মানসিক, পরিবেশগত, স্বাস্থ্যগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু শত শত কোটি টাকা সাশ্রয় হবে৷ দেশের জিডিপি সাশ্রয়ে এবং বাসযোগ্য পরিবেশ, টেকসই/বজায়যোগ্য পরিবেশ গঠনের ইশতাহার প্রয়োজন৷
জনমত: গত পাঁচ বছরে বিএনপির মূল্যায়ন
রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির গত পাঁচ বছরের সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে ডয়চে ভেলেকে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ৷ গত পাঁচ বছরে বিএনপি কতটা সফল বা ব্যর্থ শুনুন তাঁদের মুখে৷
ছবি: bdnews24.com
কামরুল হাসান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কামরুল হাসানের মতে গত পাঁচ বছরে বিএনপির সবচেয়ে খারাপ কাজ ‘যুদ্ধাপরাধীদের দল’ জামায়াতে ইসলামির সঙ্গ না ছাড়া৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
নাসরিন সুলতানা
বেসরকারি চাকুরিজীবী নাসরিন সুলতানার মতে, বিএনপির অন্যতম ভুল ছিল বিভিন্ন সময়ে হরতাল-অবরোধ ডেকে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলা৷ হরতাল ডেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঠে না নামাটাও ছিল রাজনৈতিক ব্যর্থতা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
দীপঙ্কর সাহা
স্কুল শিক্ষক দীপঙ্কর সাহা মনে করেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে গত পাঁচ বছরে বিএনপির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হচ্ছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়া৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বীথি আক্তার
বীথি আক্তার একজন গৃহিনী৷ তাঁর মতে, রাজনৈতিক দল হিসেবে গত পাঁচ বছরে বিএনপির উল্লেখ করার মতো কোনো সাফল্য নেই৷ তিনি বলেছেন, ‘‘রাজনৈতিক দল হিসেবে পুরোটাই ব্যর্থ তারা৷’’
ছবি: DW/M. M. Rahman
মাহবুবুর রহমান
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান৷ রাজনৈতিক দল হিসেবে গত পাঁচ বছরে বিএনপির সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতেই রাজি হননি তিনি৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
রোমান আহমেদ
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রোমান আহমেদ মনে করেন, রাজনৈতি দল হিসেবে বিএনপির সবচেয়ে বড় সাফল্য প্রবল জনসমর্থন৷ এ সময়ে বিএনপির জন-সমর্থন অন্যান্য সব রাজনৈতিক দলের উর্ধ্বে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
জলিল মিয়া
দিন মজুর জলিল মিয়া মনে করেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে গত পাঁচ বছরে বিএনপির সফলতা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়া৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
মাসুদ রানা গণি
ব্যবসায়ী মাসুদ রানা গনি মনে করেন, গত পাঁচ বছরে বিএনপির উপর অনেক মামলা, জেল-জুলুমের মধ্যেও রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকাই সবচেয়ে বড় সফলতা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
মোহাম্মদ সবুজ
বেসরকারি চাকুরিজীবী মোহাম্মদ সবুজ মনে করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেল দেয়ার পরেও বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ায়ই সবচেয়ে বড় সফলতা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
আব্দুল হালিম
নির্মাণ শ্রমিক আব্দুল হালিম রাজনৈতিক দল হিসেবে গত পাঁচ বছরে বিএনপির তেমন কোনো সফলতার কথা বলতে না পারলেও দলটির ভোট ও সমর্থন অনেক বেড়েছে বলে তিনি মনে করেন৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
10 ছবি1 | 10
সমাজ উন্নয়নে স্বেচ্ছাশ্রমে উদ্বুদ্ধকরণে দল
উন্নয়নের সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত সমাজের ক্ষুধা, দারিদ্র্য জয় করতে, পীড়িত, অসুস্থ, বিধবা, বয়স্ক, এতিম, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানে দলের স্বেচ্ছাশ্রমের বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে৷ একই সাথে, রাস্তাঘাট উন্নয়নে, শিক্ষার মান উন্নয়নে তরুণদের স্বেচ্ছাশ্রম উদাত্ত আহ্বান ইশতাহারে আসলে সমাজের/জাতির প্রভূত কল্যাণ হবে৷ যেমন, দেশের ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণের জন্য দেশের লক্ষ-লক্ষ পুকুরের গভীরতা বাড়ানোর মতো জরুরি কাজে তরুণদের স্বেচ্ছাশ্রম অপরিহার্য৷
যদি শুধু ভোটারকে আকৃষ্ট করার জন্য কোনো নির্বাচনি ইশতাহার হয়, তবে তা দেশের ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে না৷ ইশতাহার হতে হবে তরুণদের দলের জন্য সমর্থন আদায় করা, একইসঙ্গে প্রকৃত অর্থে তরুণদের লালন করা এবং জীবনের জন্য, জনগণের জন্য, দেশের জন্য, সর্বোপরি বিশ্বের জন্য যোগ্য করে তোলা৷ তবেই দেশের সকল পক্ষ (তরুণ প্রজন্ম, রাজনৈতিক দল ও দেশ) লাভবান হবে৷ জাতি গঠনে তরুণ প্রজন্মের উন্নয়ন ভাবনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় এনে ইশতাহার প্রণীত হবে এই কামনা করছি৷ শুধু ক্ষমতায় যাবার মানসে অথবা ভোট-ভান্ডার বৃদ্ধির জন্য যেন ইশতাহার প্রণীত না হয়৷
মো. আমিনুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক