1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরাত জাহান হত্যা মামলায় বিজেপি অস্বস্তিতে

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৫ জুলাই ২০১৩

২০০৪ সালে ১৯ বছরের তরুণী ইসরাত জাহান ও অপর তিনজনকে এক সাজানো সংঘর্ষে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করে গুজরাট পুলিশ এবং রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ৷ গুজরাট হাইকোর্টে সিবিআই-এর দাখিল করা চার্জশিটে ঠিক এমনটাই বলা হয় ৷

ছবি: AP

প্রায় নয় বছর আগে গুজরাটের আহমেদাবাদ ও গান্ধীনগরের মাঝখানে এক নির্জন সড়কে নিয়ে গিয়ে এক ভুয়ো সংঘর্ষে ১৯ বছরের তরুণী ইসরাত জাহান এবং অপর তিনজনকে হত্যা করা হয় এবং এ জন্য অভিযুক্ত করা হয় গুজরাট পুলিশ এবং রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের সাতজন শীর্ষ কর্তাব্যক্তিকে – এই মর্মে গুজরাট হাইকোর্টে চার্জশিট দাখিল করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই৷

এই চার্জশিট ঘিরে শুরু হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর৷ এই চার্জশিটের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি৷ বলেছে, ইসরাত জাহান ও অপর তিনজনের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের অভিযোগ যে, এরা পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে জড়িত৷ তারা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছিল৷ কিন্তু তাই যদি হয়, তাহলে সেই অভিযোগের সত্য-মিথ্যা চার্জশিটে নেই কেন?

গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সব রহস্য এখনো উন্মোচিত হয় নিছবি: AP

কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন চার্জশিটে মুখ্যমন্ত্রী মোদী এবং তাঁর মন্ত্রীসভার তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম নেই কেন? তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানতেন না তো এটা হতে পারে না৷  গোয়েন্দা দপ্তর থেকে তাঁদের আগাম খবর দেয়া হয়েছিল এবং তাঁদের সম্মতি ছিল, এমনটাই সন্দেহ করা হচ্ছে৷ বলা বাহুল্য, এটা আদালতে প্রমাণ সাপেক্ষ৷ কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, মোদী আপাতত রেহাই পেলেও শেষরক্ষা হবে না৷ মোদীর আসল চেহারা ঠিক বেরিয়ে আসবে, শুধু সময়ের অপেক্ষা৷

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের তরফেই মোদীর নাম চার্জশিটে উল্লেখ না করার জন্য সিবিআই-এর ওপর পরোক্ষ চাপ দেয়া হয়৷ কারণ মোদীর নাম থাকলে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রচারে সেটাকেই হাতিয়ার করবে বিজেপি এই বলে যে, কংগ্রেস সরকার কীভাবে সিবিআই-কে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কাজে লাগিয়েছে৷ সেটা প্রাক-নির্বাচনী বছরে বিজেপির ফায়দা হবে৷ অবশ্য, সিবিআই অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করতে পারে৷ তবে মোদীকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করানো হোক বা না হোক, ঠান্ডা মাথায় এই ধরণের হত্যাকাণ্ড প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদীর ভাবমূর্তিতে কালি ছেঁটাবে৷

এদিকে ইসরাত জাহান হত্যা মামলায় বিজেপি পড়েছে কিছুটা অস্বস্তিতে৷ কয়েক বছর আগে ভুযো সংঘর্ষে শেখ সোহরাবুদ্দিন হত্যা মামলার পর অনুরূপ আরো একটা মামলায় জড়িয়ে গেল মোদী প্রশাসনের পুলিস ও গোয়েন্দা বিভাগ৷ বিজেপি মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, ইসরাত জাহানের অতীত গতিবিধি এবং কার্যকলাপ সরকারের তরফে খোলসা করা উচিত৷ সত্যিই কী তারা সন্ত্রাসবাদী ছিল? সত্যিই কী তারা মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল? বিজেপি মনে করে, আসল অভিযোগ নিরসনে সিবিআই ব্যর্থ৷ ওদিকে সিবিআই-এর তরফে বলা হয়, আদালতের নির্দেশে তারা শুধু ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যার ঘটনা নিয়েই তদন্ত করেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ