ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ: নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক অর্জন কী?
২৭ জুন ২০২৫
ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিজ দেশে কিছুটা রাজনৈতিক অর্জন হয়েছে। তবে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে গাজা যুদ্ধের ভবিষ্যতের ওপর।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, সম্প্রতিক জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে৷ ফাইল ফটোছবি: Marc Israel Sellem/POOL/IMAGO
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর মঙ্গলবার জেরুসালেমের রাস্তাঘাট এবং কফি শপগুলো আবারও ব্যস্ত হয়ে ওঠে। সন্ধ্যায়, ইসরায়েলের ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড' সব ধরনের জনসাধারণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
একটি খোলা বাজারে মানুষ আবার কেনাকাটায় ফিরেছে। কেউ কেউ শুধু স্বস্তি অনুভব করছিলেন যে, ১২ দিনের যুদ্ধ, যা ইসরায়েলিদের বারবার আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল, তা শেষ হয়েছে।
"আমি কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি যে, এখন আর যুদ্ধ হচ্ছে না। তবে এটা বিপজ্জনকও হতে পারে, কারণ, আমরা কখনোই জানি না কাকে বিশ্বাস করবো। একদিন যুদ্ধবিরতি, পরদিন আবার যুদ্ধ,” ডয়চে ভেলেকে বলেন লিবা ফারকিশ।
অনেকেই এখানে ইরানে হামলার ব্যাপারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রশংসা করেন।
"আমি মনে করি আমরা সঠিক সময়ে আক্রমণ করেছি, ঠিক যেটা করা দরকার ছিল। নেতানিয়াহু সম্ভবত সেরাটাই করেছেন। তারা আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করতে একদম প্রস্তুত ছিল এবং সত্যি বলতে আমরা শেষ মুহূর্তে রক্ষা পেয়েছি,” বলেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী আদিনা বিয়ার।
ইসরায়েল ডেমোক্র্যাসি ইনস্টিটিউট আইডিআইয়ের পাবলিক অপিনিয়ন এবং পলিসি রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ৮২% ইহুদি ইসরায়েলি ইরানে ইসরায়েলের হামলা এবং এর সময় সমর্থন করেছেন।
নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
মাত্র এক মাস আগেও নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ধাক্কা খাচ্ছিলো। ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী, যাকে প্রায়ই ‘জাদুকর' বলা হয় রাজনৈতিক সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে, গাজা যুদ্ধ পরিচালনা এবং হামাসের সঙ্গে বন্দিমুক্তি চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানানোয় ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েন।
তবে এখন তিনি যুক্তি দিতে পারেন, ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। যদিও ইরান বারবার দাবি করে তার পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং মার্কিন গোয়েন্দারা বলেছে, ইরান বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না, কিন্তু ইসরায়েলি নেতারা বলেন ইরান একেবারে অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে ছিল।
এই হামলা নেতানিয়াহুর ‘শক্তিমান' ভাবমূর্তি আংশিকভাবে পুনরুদ্ধার করেছে, বিশেষ করে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় নিরাপত্তা ব্যর্থতার পরে।
টাইমস অব ইসরায়েল-এর রাজনৈতিক প্রতিবেদক তাল শ্নাইডার ডয়চে ভেলেকে বলেন, "ইরান আক্রমণের ব্যাপারে এখনো অনেক তথ্য অজানা। তবে ৭ অক্টোবর থেকে যা কিছু ঘটেছে, তা মূলত ইরানিয়ানদের মাস্টারপ্ল্যান। তাই সবাই বুঝেছিল সামরিকভাবে কিছু না করলে চলবে না। কূটনৈতিক সমাধানে কেউই আস্থা রাখছিল না।”
‘মর্যাদার’ জন্য পরমাণু সমৃদ্ধকরণ: ইরানি রাষ্ট্রদূত
01:57
This browser does not support the video element.
নেতানিয়াহুর হাতে কতটা রাজনৈতিক সুযোগ আছে?
যদিও জরিপ অনুযায়ী নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি কিছু সমর্থন পেয়েছে সামরিক অভিযানের সফলতা থেকে তবে বাস্তবচিত্র আরো জটিল। বর্তমান জোট সরকার ৬১টি আসনের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হবে বলেই পূর্বাভাস রয়েছে।
তাল শ্নাইডার বলেন, "তিনি নিজে কিছু আসন পেলেও, সেটা এসেছে তার মিত্র চরম ডানপন্থি বেন-গভিরের ইহুদি পাওয়ার পার্টির ক্ষতির বিনিময়ে। ফলে নতুন জোট গঠনে তার হাতে তেমন সুযোগ থাকছে না। মধ্যপন্থি ভোটারদের আকৃষ্ট করতেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।”
গাজা যুদ্ধ নিয়ে চাপ
ইসরায়েলে আবার মনোযোগ ফিরেছে গাজার যুদ্ধের দিকে। বুধবার সকালে সাতজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন বলে খবর এসেছে। তারা একটি সাঁজোয়া যানের ভিতরে ছিলেন। সেটি বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেয়া হয়।
পত্রিকায় বর্ষীয়ান সাংবাদিক বেন কাসপিত লিখেছেন, "কখনো কখনো সঠিক কাজটাই করতে হয়। ট্রাম্প যদি পারেন, আপনিও পারেন। এখনই গাজার এই অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধ থামান। আমাদের সেরা সন্তানরা মারা যাচ্ছে। কেন? আরও কিছু ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো' ধ্বংসের জন্য?”
জরিপে দেখা গেছে, গাজায় হামাসের হাতে আটক থাকা ৫০ জন জীবিত বা মৃত বন্দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য যুদ্ধবিরতি হওয়া দরকার বলে ইসরায়েলিদের বড় অংশ মনে করেন।
আইডিআইর গবেষক তামার হারম্যান ডয়চে ভেলেকে বলেন, "নেতানিয়াহুর নিজের সমর্থকরাও মনে করেন যে বন্দিদের ফিরিয়ে আনা উচিত, এমনকি এর মানে যুদ্ধের বিরতি হলেও। সমর্থন বাড়াতে হলে তাঁকে এই বিষয়ে কিছু করতে হবে।”
নেতানিয়াহু কঠিন চাপে আছেন। একদিকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক সফলতা, অন্যদিকে গাজার যুদ্ধ এবং ভেতরের রাজনৈতিক সংকট। তার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই প্রশ্নের ওপর—তিনি কি গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত, নাকি রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাবেন?
তানিয়া ক্রেমার/জেডএ
যেভাবে ‘বন্ধু’ থেকে পরস্পরের ‘শত্রু’ হলো ইসরায়েল ও ইরান
মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইসরায়েল ও ইরানের সাম্প্রতিক যুদ্ধ বৈরি সম্পর্কেরই পরিষ্কার বহিঃপ্রকাশ৷ কিন্তু দেশ দুটোর সম্পর্ক কি সবসময় এমন ছিল? জেনে নিন ছবিঘরে...
ছবি: MENAHEM KAHANA/AFP/Getty Images
ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৪৮ সালের ১৪ মে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ইসরায়েল৷ নতুন রাষ্ট্রটির প্রতিবেশী হয়ে ওঠে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড, মিশর, জর্ডান, সিরিয়া এবং লেবানন৷ বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে নতুন রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিষয়ে আরব বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ছিল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব৷ ৭ দশক পরেও অনেক আরব রাষ্ট্রের মধ্যে ইসরায়েলের বিষয়ে সেই ‘সংকট’ রয়ে গেছে৷
ছবি: Ahmad Gharabli/AFP
তখনকার ইরান
ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময়ে ইরানের মসনদে ছিলেন দেশটির শাহ বংশের সবশেষ শাসক মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভি৷ বাবা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময়, ১৯৪১ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে ক্ষমতায় আসেন পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত রেজা শাহ৷ সেই থেকে ইরানের ইসলামি বিপ্লব পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি৷
ছবি: PA Wire/picture alliance
ইসরায়েলকে স্বীকৃতি
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন গঠিত সার্বভৌম রাষ্ট্র ইসলায়েলের তখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রয়োজন৷ সেই সময়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় ইরান৷ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় ইরানের শাহ সরকার৷
ছবি: Juergen Schwenkenbecher/picture-alliance
বন্ধুত্বের শুরু
স্বীকৃতি প্রদানের মধ্য দিয়ে পার্সিয়ান সভ্যতার দেশ ইরান আর নতুন জন্ম নেওয়া ইসরায়েলের হাতে হাত রেখে পথচলা শুরু হয়৷ এমন সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে দুই রাষ্ট্রই নিজ নিজ সুবিধা আদায় করে নিতে চেয়েছে৷ ইসরায়েল চেয়েছে, এই অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে আর ইরান চেয়েছে এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়ন করতে৷
ছবি: Bildagentur-online/Schöning/picture alliance
পারস্পরিক সহযোগিতা
নতুন জন্ম নেওয়া ইসরায়েলের তখন জ্বালানি নিরাপত্তাও প্রয়োজন৷ তেলসমৃদ্ধ ইরান নতুন দেশটিকে জ্বালানি সরবরাহে এগিয়ে আসে৷ বিনিময়ে ইরানের নিরাপত্তাবাহিনী গঠন এবং এর আধুনিকায়নে সহযোগিতা করে ইসরায়েল৷ বলা হয়ে থাকে, রেজা শাহ পাহলভির আমলে ইরানের আর্মড ফোর্সেস তৈরিতে সহযোগিতা করে ইসরায়েল৷ তাছাড়া দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্যও বাড়তে থাকে৷
ছবি: Fars/Dehdari
ইরানে ইহুদি সম্প্রদায়
পরিসংখ্যান বলছে, এক সময় ইরানে ইসরায়েলের পর সবচেয়ে বেশি ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করতেন৷ ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর এই সংখ্যা কমতে থাকে৷ তবে এখনো দেশটিতে প্রায় ২০ হাজার ইহুদি বাস করেন৷
ছবি: dapd
ইরানের ইসলামি বিপ্লব এবং সম্পর্কে ভিন্ন মোড়
১৯৭৯ সালে ইরানের বিল্পবের মাধ্যমে মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভি ক্ষমতাচ্যুত হলে ইরানের দায়িত্বে আসেন আয়াতুল্লাহ রুহোল্লাহ খোমেনি৷ এরপর থেকেই ইসরায়েলের সাথে ইরানের সম্পর্ক ভিন্ন দিকে মোড় নিতে থাকে৷ ইসরায়েল রাষ্ট্রকে এই অঞ্চলের জন্য হুমকি মনে করে ইরানের নতুন নেতৃত্ব৷ এমনকি ইসরায়েলকে মুছে ফেলার হুমকিও দেয় তারা৷ সেইসাথে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের বিষয়ে ইসরায়েলের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করে ইরান৷
ছবি: FY/AP Photo/picture alliance
ইরানের প্রক্সি গ্রুপ
এরমধ্যে নিজেদের ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান শক্তিশালী করতে থাকে ইরানের নতুন নেতৃ্ত্ব৷ অভিযোগ আছে, ইসরায়েলের প্রভাব ঠেকাতে আশির দশকের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে বেশকিছু জঙ্গিগোষ্ঠি তৈরি করে ইরান৷ এরমধ্যে রয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস এবং ইয়েমেনে হুতি গোষ্ঠী৷ এই গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করে ইরান৷ এমন অভিযোগের পর ইসরাযেল-ইরান সম্পর্ক চরম অবনতির দিকে যায়৷
ছবি: AP Photo/picture alliance
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া
১৯৬৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে সাক্ষর করলেও ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে গোপনে পরমাণু সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷ এই পরমাণু কর্মসূচি ইসরায়েলের অস্তিত্ব সংকটের মুখে ফেলতে পারে- এই আশঙ্কা থেকে এর বিরোধিতা করে আসছে ইসরায়েল৷ ১৩ জুন ইরানে হামলা চালানো তারই চূড়ান্ত পরিণতি৷ ইসরায়েলের দাবি, পারমাণবিক বোমা তৈরি থেকে মাত্র কয়েক সপ্তাহ দূরে অবস্থান করছে ইরান৷
ছবি: UGC/AFP
ইরানের আঞ্চলিক সহযোগীদের ওপর হামলা
দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে করে আসছে ইসরায়েল৷ প্রতিবেশী দেশগুলোতে থাকা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দেওয়ার অভিযোগেও ইরানের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক ইসরায়েলর৷ এর প্রতিক্রিয়ায় ২০১৯ সালে সিরিয়া, লেবানন এবং ইরাকে হামলা করে ইসরায়েল৷ ইসরায়েলের দাবি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর কাছে ইরানের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে এই হামলা চালানো হয়েছে৷
ছবি: Ayal Margolinc/ JINIPIX/AP/picture alliance
সেনাপ্রধান, বিজ্ঞানী হত্যা
২০১৯ সালে ইরাক সফরকালে গুপ্ত হামলায় নিহত হন ইরানের সেইসময়ের সেনাপ্রধান কাসেম সোলাইমানি৷ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলেকে দায়ী করে ইরান৷ ২০২২ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ ছাড়াও ইরানের এক প্রকৌশলী এবং এক ভূতত্ত্ববিদ হত্যার পেছনেও ইসরায়েল দায়ী বলে ইরানের অভিযোগ৷ এসকল হত্যাকাণ্ডের কোনো কোনোটিতে নিজেদের ভূমিকার কথা পরবর্তীতে স্বীকার করে ইসরায়েল৷
ছবি: Vahid Salemi/AP Photo/picture alliance
সাগরে ছায়াযুদ্ধ
সাগরেও পরোক্ষভাবে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ইরান এবং ইসরায়েল৷ ২০২১ সালে ভূমধ্যসাগরে ইসরায়েল উপকূল থেকে ৫০ মাইল দূরে থাকা এক ইরানি জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটে৷ এ ঘটনার পেছনে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনে ইরান৷ পরবর্তীতে ওমান উপকূল থেকে রওয়ানা দিয়ে আরব সাগরে আসা এক জাহাজে বিস্ফোরণের জন্য ইরানকে দায়ী করে ইসরায়েল৷ ২০১৯ সাল থেকেই লোহিত সাগর এবং ভূমধ্যসাগরে ইরানের তেল ও অস্ত্রবাহী জাহাজে হামলা করে আসছিল ইসরায়েল৷
ছবি: Katsumi Yamamoto/AP Photo/picture alliance
৭ অক্টোবর, ২০২৪ হামাসের হামলা
২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের ভয়াবহ হামলার পেছনেও ইরানের উসকানি রয়েছে বলে অভিযোগ করে ইসরায়েল৷ এই অভিযোগ অবশ্য বরাবরাই অস্বীকার করে আসছে ইরান৷ হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২শ মানুষ নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল৷ ইসরায়েলে এই অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৫ হাজারের ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন৷