1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাবাংলাদেশ

ইসরায়েলকে জার্মানির সামরিক সহায়তায় জাতিসংঘ আদালতের সায়

১ মে ২০২৪

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত আইসিজে মঙ্গলবার প্রাথমিক এক রায়ে ইসরায়েলকে দেওয়া জার্মানির সামরিক সহায়তার পথে বাধা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে৷

৩০ এপ্রিল রায় দেয়ার সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারকেরা
পুরোপুরি খারিজ করতে জার্মানির আবেদন সত্ত্বেও মঙ্গলবার আইসিজের বিচারকেরা বলেছেন মামলাটি চলবেছবি: Peter Dejong/AP Photo/picture alliance

নিকারাগুয়া অভিযোগ করেছিল, জার্মানির ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া ‘গণহত্যা'কে সমর্থন করা৷ নিকারাগুয়া বলছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন চলতে দিয়ে ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে জার্মানি৷

এ মাসে আইসিজেতে শুনানি শুরু হওয়া নিকারাগুয়ার মামলাটি পুরোপুরি খারিজ করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিল জার্মানি৷ কিন্তু আইসিজে বলেছে, মামলাটি চলবে৷ শেষ হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে৷

অভিবাসনের কারণে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে নিকারাগুয়ার ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে৷

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিজের প্রাথমিক রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়৷ এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলছে, ‘‘জার্মানি মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের কোনো পক্ষ নয় - একেবারে বিপরীত৷ আমরা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য দিনরাত কাজ করছি৷ আমরা ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা দেওয়া সবচেয়ে বড় দাতা৷’’

সুইডেনের স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রির হিসেব বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করা দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে জার্মানি৷

গত নভেম্বর থেকে ইসরায়েলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে বলে আইসিজেকে জানিয়েছে জার্মানিছবি: Piroschka Van De Wouw/REUTERS

তবে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর জার্মানির ইসরায়েলে রপ্তানি করা অস্ত্রের ৯৮ শতাংশই ভেস্ট, হেলমেট ও দূরবীনের মতো সাধারণ উপকরণ বলে আইসিজের শুনানিতে জানান জার্মানির প্রতিনিধি ক্রিস্টিয়ান টামস৷

এছাড়া গত নভেম্বর থেকে ইসরায়েলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে বলেও আইসিজেকে জানিয়েছে জার্মানি৷

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু৷ এছাড়া গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ বাসিন্দাকে ঘর ছেড়ে পালাতে হয়েছে৷ হাজার হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় আছেন৷

জার্মানি, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যরা হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ